প্রাণের সাবান মিশ্রিত দুধে মৃত্যুঝুঁকি!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গবাদি পশুর দুধ অন্যতম প্রধান উৎস। পুষ্টিগুণের কারণে দুধকে আদর্শ খাদ্যও বলা হয়। কিন্তু এই দুধ পুষ্টির যোগানদাতা না হয়ে মৃত্যু ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা এক গবেষণায় দেখেছেন ‘প্রাণ’ কোম্পানির পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে এমন সব মারাত্মক উপাদান রয়েছে যা মানুষের মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাণের পাস্তুরিত দুধে পাওয়া গেছে— মানব দেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক, কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়া ও ডিটারজেন্ট বা সাবান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ও বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ড. আ ব ম ফারুক প্রাণের পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বার্তা২৪.কমের কাছে তুলে ধরেন। প্রাণের পাস্তুরিত দুধে পাওয়া তিনটি উপাদান মানব শরীরে কী ধরনের ক্ষতি করে সে ব্যাপারেও কথা বলেন তিনি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/25/1561476463353.jpg
অধ্যাপক ফারুক বলেন, প্রাণসহ আরও কয়েকটি কোম্পানির পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মারাত্মক কিছু উপাদান রয়েছে, যা গবেষণায় উঠে এসেছে। এসব উপাদান মানব শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক, যা মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিবায়োটিক, কলিফর্ম ও সাবান।

প্রাণের দুধে অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়ার বিষয়ে ড. আ ব ম ফারুক বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক দুই প্রকার। একটি মানবদেহের চিকিৎসার জন্য, আরেকটি প্রাণী দেহের চিকিৎসায় ব্যবহার হয়। কিন্তু প্রাণের দুধের মধ্যে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিবায়োটিক পাওয়া গেছ। যা মারাত্মক একটি বিষয়। এই অ্যান্টিবায়োটিক মিশ্রিত দুধ খেলে শরীরে আর কোনদিন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ কাজ করবে না। ফলে মানুষ রোগে আক্রান্ত হয়ে অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করলে তা আর কাজে দেবে না।

প্রাণের দুধে পাওয়া কলিফর্মের বিষয়ে অধ্যাপক ফারুক বলেন, কলিফর্ম মানে এর মধ্যে ইকোলাই নামে জীবাণু আছে। যা খেলে মানবদেহে মৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। ইকোলাই’র কারণে তন্ত্র সম্পর্কিত নানা সমস্যারও সৃষ্টি হয়। এছাড়া ইউটিআই ও টাইফয়েড রোগেরও সৃষ্টি হয় ইকোলাই খেলে।

প্রাণের দুধে সাবান বা ডিটারজেন্ট থাকার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, প্রাণের দুধে ডিটারজেন্ট বা সাবানের উপস্থিতি থাকা আরেকটি মারাত্মক ঘটনা। সাবান বা ডিটারজেন্ট মানুষের দেহে গেলে পাকস্থলি ও লিভার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এছাড়া শরীরে আরও বেশকিছু রোগের সৃষ্টি হতে পারে সাবান খাওয়ার ফলে।

ড. আ ব ম ফারুক প্রাণের পাস্তুরিত দুধে এসব ভেজাল থাকার বিষয়ে বলেন, প্রথমত পাস্তুরিত দুধে এসব সমস্যা থাকার কথা নয়। দুধ পাস্তুরিত করা হয় যেন এসব সমস্যা না থাকে। কিন্তু সমস্যাগুলো যেহেতু পাওয়া যাচ্ছে তার মানে হচ্ছে কোম্পানিগুলো দুধ ঠিকভাবে পাস্তুরিত করছে না। এছাড়া দুধে মেলামাইন পাওয়া যাচ্ছে, যা খেলে কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের এই গবেষণা সম্পর্কে অবগত আছে বলে জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার অধিদফতর। সংস্থাটির উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বার্তা২৪.কমকে বলেন, পণ্যের মানের দিক বিবেচনা করে বিএসটিআই। তারা যদি কোন পণ্য মানহীন বলে তবে আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

   

বগুড়ায় ১৪০ জাল নোটসহ কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার কাহালু থেকে জাল নোট কারবারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার হেফাজতে থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার খাসর পারইল গ্রামের বাসিন্দা।  

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কাহালু উপজেলার কাজীপাড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি পুলিশের ইনচার্জ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাহালুর কাজীপাড়া বাজার এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল পুলিশকে জানায়  কোরবানির গরুর হাটে জাল নোট চালানো উদ্দেশ্যে তিনি বগুড়ায় আসেন। তার নামে জাল নোট এবং চেক জালিয়াতির অভিযোগে নওগাঁ সদর, রানীনগর, বগুড়ার আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া ৫ টি মামলা রয়েছে বলে ডিবি পুলিশ জানায়।

রফিকুল ইসলামের নামে ডিবি পুলিশের এসআই মজিবর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলা করেছেন।

;

বাসাবোতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

নিহত শ্রমিকরা হলেন- আলতাবুর, অন্তর ও মফিজুল। সর্বশেষ মুক্তা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুল।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, বাসাবো একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা পবন থেকে পড়ে আলতাবুর ও অন্তর সকালে মারা যান। এ ঘটনায় শ্রমিক মফিজুল গুরুতর আহত হলে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মফিজুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলতাবুর ও অন্তরের মরদেহ আগেই দাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০ তলা ভবনের উপর থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

;

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের অজ্ঞাত থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার গলা ও কানে পরিধেয় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে খুন করে পূর্ব পরিচিত বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। প্রথমে কিল-ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর মরদেহ গুম করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবার (১৫ মে) মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ধরা পড়ে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু ঈশ্বরী ত্রিপুরা বিষয়টি জানিয়ে দিবেন বলায় ভয়ে তাকে হত্যা করে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

;

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;