সাংবাদিক দিপুকে দেওয়া চিঠির কার্যকারিতা শেষ: দুদক
সাংবাদিক দিপু সারোয়ারকে দেওয়া চিঠিতে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছিল বুধবার (২৬ জুন)। কিন্তু দিন পার হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ওই চিঠির কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে গেছে।
সকালে রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব)। পরে দুদকের পক্ষ থেকে জনসংযোগ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে চিঠির মেয়াদ শেষ, তা নিয়ে আর কথা বলার কোনো মানে হয় না। আমরা প্রশাসনিক ভাষায় এটাকে বলি 'ফেড অ্যাকমপ্লিট'। যেহেতু তারিখ পেরিয়ে গেছে, সুতরাং এ চিঠি নিয়ে আর কিছু করার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না। আমরা দুদক ও সাংবাদিকরা এক সাথে কাজ করি। আমরা সাংবাদিকদের রিপোর্ট অনুসন্ধান করি, আমরাও সাংবাদিকদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করি। অনেক অনুসন্ধানের উৎস থাকে শুধু সাংবাদিকদের প্রতিবেদন। আমরা মিলে মিশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিঠিটি লেখা হয়েছে ২০১২ সালের এক অনুমোদিত ফরমেটে। এখানে দুইটা বিষয় থাকে, এক অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আর অপরটি সাক্ষী। দিপু সারোয়ার সাক্ষী।
তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে কার বিরুদ্ধে, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, যাদের (ডিআইজি মিজান ও দুদক কর্মকর্তা এনামুল বাছির) বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া অব্যাহত থাকবে।
দুদক পরিচালক ফানাফিল্যার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তাকে শোকজ করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে তাকে দুই রকম চিঠি দেওয়ার কারণ জানাতে বলা হয়েছে।
এসময় দুদক কর্মকর্তা প্রণব কুমারের বক্তব্য প্রত্যাহার করে পাল্টা বক্তব্য দেন ক্র্যাব সভাপতি আবুল খায়ের। তিনি বলেন, তিনি (প্রণব কুমার) চিঠির কার্যকারিতা শেষ হয়েছে বলেছেন। কিন্তু আসলে এসব নোটিশের কার্যকারিতা শেষ হয় না। কাউকে পাঠানো একটি আদেশ সময়মত না পৌঁছালে সে আদেশের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় না। তারা আসলে এ চিঠি নথিতে রাখবেন এবং যেকোনো সময় এ আদেশ বলে তারা আমাদের সহকর্মী সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করতে পারবেন। আমরা অনতিবিলম্বে এ চিঠি প্রত্যাহার করার দাবি জানাই।