সুন্দরবনকে ‘বিপদাপন্ন ঐতিহ্য’ তালিকাভুক্তির সুপারিশ ইউনেস্কোর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘সুন্দরবন সুরক্ষায় ইউনেস্কোর সর্বশেষ সুপারিশ, বনের প্রতি সরকারের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন/ছবি: বার্তা২৪.কম

‘সুন্দরবন সুরক্ষায় ইউনেস্কোর সর্বশেষ সুপারিশ, বনের প্রতি সরকারের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলন/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বন রক্ষায় বাংলাদেশের কৃতকাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় দেশের জাতীয় গর্ব, সম্পদ ও নিরাপত্তা বর্ম সুন্দরবনকে ‘বিপদাপন্ন ঐতিহ্য’ তালিকাভুক্তির সুপারিশ করেছে ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র’ বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বাপা‘র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।

একইসঙ্গে সুন্দরবন তার বর্তমান ‘ঐতিহ্যে’র সম্মানও হারাতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

শুক্রবার (২৮ জুন) বেলা ১১টায় প্রেসক্লাবে ‘সুন্দরবন সুরক্ষায় ইউনেস্কোর সর্বশেষ সুপারিশ, বনের প্রতি সরকারের অবহেলা ও সংশ্লিষ্ট বিষয়াদী’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব জানান।

সুলতানা কামাল বলেন, ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রে’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশের সুন্দরবন বিষয়ে একটি সুপারিশ প্রস্তুত করেছে যা আসন্ন ‘বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটি’র সভায় পেশ করা হবে। ‘বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্র’ বন রক্ষায় বাংলাদেশের কৃতকাজ সন্তোষজনক না হওয়ায় আমাদের জাতীয় গর্ব, সম্পদ ও নিরাপত্তা বর্ম সুন্দরবনকে ইউনেস্কোর ‘বিপদাপন্ন ঐতিহ্য’ তালিকাভুক্তির সুপারিশ করেছে। এই সভা আগামী ৩০ জুন থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত আজেরবাইজানের রাজধানী ‘বাকু’ শহরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আজেরবাইজানের সেই সভায় বিশ্ব ঐতিহ্য কেন্দ্রের সুপারিশ সমূহের উপর আলোচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহিত হবে। সুন্দরবন বিষয়ে ’কেন্দ্রের’ সুপারিশ যদি ’কমিটি’ চূড়ান্ত হিসেবে গ্রহণ, করে তাহলে সুন্দরবন তার বর্তমান‘ঐতিহ্যে’র সম্মান হারাবে। অর্থাৎ সম্মান হারাবে বাংলাশে, সারা বিশ্বে দেশ ও জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এটি একটি বড় অযোগ্যতা, ব্যর্থতা, লজ্জাষ্কর ও অপমানকর বিষয় হিসেবে পরিগণিত হবে।

তিনি আরও বলেন, সরকার নির্বিকার হলে, তার উপর চাপ প্রয়োগের লক্ষ্যে বনকে ‘বিপদাপন্ন তালিকাভুক্ত’ করার ইউনেস্কোর একটি পদ্ধতি রয়েছে, সুন্দরবন বিষয়ে তারা সেটিই গ্রহণ করার চেষ্টা করছে। সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন এলাকা তথা সারা দেশের পরিবেশ সংরক্ষণের বৃহত্তর বিবেচনায়, আমরা মনে করি ইউনেস্কো কেন্দ্র সঠিকভাবেই তাদের এই প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে। সরকার যেহেতু সুন্দরবন ও পরিবেশের প্রতি যত্নশীল নয়, সেক্ষেত্রে বন রক্ষায় আমরা ইউনেস্কোর এই পদক্ষেপকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছি।

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আব্দুল মতিন বলেন, সুন্দরবন এলাকায় উন্নয়নের নামে ধ্বংস চলছে। আমরা সবাই উন্নয়ন চাই, তাই বলে পরিবেশ ধ্বংস করে, বন ধ্বংস করে সে প্রকল্প চাই না। সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন শুধু বাংলাদেশের আন্দোলন নয়, এটি ভারতসহ সারা বিশ্বের পরিবেশ সংরক্ষণবাদী ও সর্বস্তরের জনগনের আন্দোলন।

সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি’র সদস্য এ.বি. এম. শামসুল হুদা, রুহীন হোসেন প্রিন্সসহ পরিবেশবাদী অন্যান্য সংগঠনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও পরিবেশবিদগণ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নদী বিনষ্টকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তন, জলোচ্ছ্বাস, চিংড়ি চাষ ও স্থায়ী জলাবদ্ধতা, পশু শিকার, গাছকাটা, প্রাণী বিলুপ্তি, নৌ-পথ অব্যবস্থাপনা, জাহাজ ডুবি, অপরিকল্পিত পোল্ডার ও মাছ শিকার, জনপদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা সংকট ও ধ্বংসাত্বক উন্নয়ন ও বন দখলে সুন্দরবন ধ্বংস হচ্ছে। সুন্দরবনের পাশ ঘেঁষে নির্মিয়মান ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিতর্কিত, গণনিন্দিত ভয়ংকর রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। গণমাধ্যম সূত্রে বনের পাশেই ফার্নেস তেল ভিত্তিক আরেকটি বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থাপন, বনের কাছে বিমানবন্দর, ইপিজেড আদলের শিল্পায়ন পরিকল্পনা জাতীয় তথ্যও আমরা জেনেছি। বনের পাশ ঘিরে ১৫০টি শিল্প প্লট প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়াও বনের ভেতরে বা পাশেই তৈরি হয়েছে সিমেন্ট কারখানা, সাইলো গুদাম। এমনকি প্রভাবশালী রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তি বনের ভেতরে বা পাশে জমি ক্রয় করে ব্যক্তি মালিকানার সাইনবোর্ড টানিয়েছেন। বনের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে সরকারি মোবাইল ফোনের টাওয়ার, যা বিশেষ করে গাছ ও প্রাণিকুলের প্রজননক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

 

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;