ট্রাম্পের কাছে করা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিলেন প্রিয়া সাহা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রিয়া সাহা, ছবি: সংগৃহীত

ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে প্রিয়া সাহা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিয়ে অভিযোগকারী নারী প্রিয়া সাহা বলেছেন, 'এ কথাগুলো আমি কেন বলি, এগুলো আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথা। ২০০১ সালে যখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপরে নির্বাচনোত্তর ৯৪ দিন ধরে চরম নির্যাতন চলছিল, আজকের প্রধানমন্ত্রী তখন বিরোধীদলীয় নেত্রী। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার জন্য তিনি সারা পৃথিবীতে ঘুরেছেন, সমস্ত জায়গায় বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে তার অনুসরণ করে এসব বলেছি। যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেকোনো জায়গায় বলা যায়, এটা আমি তার কাছে শিখেছি।'

রোববার (২১ জুলাই) ইউটিউবে প্রকাশিত এক ভিডিও কথোপকথনে এসব কথা বলেন তিনি। ৩৫ মিনিটের দীর্ঘ ভিডিওটিতে মোবাইলে আসা প্রশ্নে প্রিয়া সাহা তার যুক্তরাষ্ট্রে গমন, ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সাক্ষাৎকার পরবর্তী পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।

কেমন আছেন জানতে চাইলে প্রিয়া সাহা জবাব দেন, 'আমি ভালো নাই। আপনারা দেশে আছেন। প্রতিটা বিষয় আপনারা অবজার্ভ করছেন। প্রতিটা বিষয় কী অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সংবাদ মাধ্যমে কিংবা বিভিন্ন ব্যক্তি, সকল পর্যায় থেকে। সে বিষয়ে আপনারা খুব ওয়াকিবহাল।'

ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হুমকি-ধমকি বেড়ে গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমার পরিবার ভীষণ সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হল আমার পরিবারের ছবি ছাপিয়ে দেওয়া হয়েছে পত্রিকায়। কথা বলেছি আমি। তারা আমার ছবি দিতে পারত। কিন্তু পরিবারের ছবি পত্রিকায় দিয়ে তাদের সবার জীবনকে বিপন্ন করে তোলা হয়েছে। তারা আমার কাজের সাথে কোনো অবস্থাতেই কেউ যুক্ত নয়।'

যুক্তরাষ্ট্রে কারা পাঠিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'হিন্দু-বৌদ্ধ, খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ আমাকে পাঠায়নি। আমাকে আইআরএফ থেকে সরাসরি মেইল করা হয়েছে, তাদের পক্ষ থেকে ফোন করে স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসছে এখানে।'

৩৭ মিলিয়ন সংখ্যালঘু নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছেন বলে যে দাবি ট্রাম্পের কাছে করেছেন সেটা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাংলাদেশের ২০০১ সালের যে পরিসংখ্যান বই রয়েছে তাতে যে ধর্মীয় সংখ্যালঘু যে চ্যাপ্টার রয়েছেন। সেখানে এ বিষয়গুলো লেখা আছে। দেশভাগের সময় দেশের সংখ্যালঘু ছিল ২৯.০৭ ভাগ, এখন সেটা ৯.০৭ ভাগ। দেশের মোট জনসংখ্যা এখন ১৮০ মিলিয়ন। তাহলে যদি ওই শতাংশ জনসংখ্যা যদি একইভাবে বৃদ্ধি পেত তাহলে আমি যে ৩৭ মিলিয়নের কথা বলেছি সেটা মিলে যায়।'

ট্রাম্পের সঙ্গে কথোপকথনে প্রিয়া সাহা ‘ডিজিপিয়ার্ড’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। সেই শব্দের ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, 'ডিজিপিয়ার্ড শব্দের মধ্যদিয়ে আমি যেটা বুঝাতে চেয়েছি, এই পরিমাণে লোক থাকার কথা ছিল যদি স্বাভাবিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে প্রক্রিয়া, যেভাবে বাংলাদেশে জনগণ বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই একইভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা যদি ২৯.০৭ শতাংশ থাকতো তাহলে এই জনসংখ্যাটা হত। কিন্তু তারা নেই। এই যে নাই, এটা যে ক্রমাগতভাবে ক্রমে গেছে সেটাই আমি বুঝাতে চেয়েছি।'

সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত না থেকেও সাম্প্রদায়িক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি এই কথার সঙ্গে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করি। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ কোনো সাম্প্রদায়িক সংগঠন নয়। যেকোনো সাম্প্রদায়িক সংগঠনের তার নিজস্ব সম্প্রদায়ের জন্য এজেন্ডা থাকে। অনেক কিছু করে সেটা আপনি জানেন। হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ শুধু একটা কাজই করছে। সেটা হল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষার জন্য কাজ করছে। যেটা বর্তমান সরকারও করছে। তাদের সুরক্ষা, তাদের নিরাপত্তা এই কাজটাই তারা করে। এবং অধিকার নিয়ে কাজ করে। একটা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কেমন করে সাম্প্রদায়িক সংগঠন হলো সেটা আমার বোধগম্য নয়।'

হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদে মুসলমানরা নেই কেন জানতে চাইলে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রিয়া সাহা বলেন, 'আপনি জানেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হয়েছিল ১৯৮৮ সালে। সেই সালেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার পরেই দেশের অনেকে এই তিন সম্প্রদায়ই শুধু না, বাংলাদেশের অনেক মুসলিমও এদের সাথে থেকে ওইটার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার জন্য এই সংগঠনটার জন্ম হয়। যেহেতু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হওয়ার বিরুদ্ধেই সংগঠনটা, সেকারণেই হয় মুসলিম সম্প্রদায় এই সংগঠনটার সদস্য হিসেবে নাই। কিন্তু আপনি জানেন দেশের প্রথিতযশা অসাম্প্রদায়িক লোক আমাদের উপদেষ্টা আছেন। আমাদের মিছিল মিটিংয়ে সর্বসময়ই বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক শক্তি, সিভিল সোসাইটি সবাই আমাদের সাথে আছেন। সকল রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমাদের প্রোগ্রামে সহমর্মিতা পোষণ করেন।'

তিনি বলেন, 'দেশবাসীর কাছে আমার আহ্বান থাকবে তারা পরিসংখ্যান থেকে সত্যটা জানবেন। দেশের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলার ইচ্ছে আমার কোনোকালেই ছিল না। কোনদিনও হবে না। দেশটা আমার। আমার পরিবারও যুদ্ধ করেছে দেশটা স্বাধীন করার জন্য। এই ভূমির জন্ম থেকে আমার পূর্বপুরুষেরা এখানে বসবাস করে। এই দেশের কোনো রকমের কোনো অমঙ্গল হোক, অকল্যাণ হোক সেটা কোনোকালেই আমার চাওয়া নয়। সেটা আমি করতে পারি না, করি নাই ,করব না।'

   

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;