শহরটাই যেন ময়লার ভাগাড়!



রেজা উদ্ দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সুপ্রিমকোর্টে আইন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার স্থানে আবর্জনার স্তূপ | ছবি: সুমন শেখ

সুপ্রিমকোর্টে আইন কর্মকর্তাদের গাড়ি রাখার স্থানে আবর্জনার স্তূপ | ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় দুই কোটি মানুষের বসবাস ঢাকা শহরে। সময়ের প্রয়োজনে, জীবিকার তাগিদে, উন্নত জীবনের আশায় মানুষের ঢল এখন গ্রাম থেকে শহরমুখী। এই জনস্রোতে তরুণদের সংখ্যাই বেশি।

কিন্তু এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে গ্রহণ করতে আদৌ কি সক্ষম এ মহানগরী? বায়ু দূষণ, যানজট, বিশুদ্ধ পানির অভাব, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত রাজধানীর মানুষ। তবুও জীবন-জীবিকার তাগিদে শহরের নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যুদ্ধ করে টিকে থাকার অদম্য সংগ্রাম চলছে তাদের।

ঢাকা শহরের নোংরা পরিবেশের জন্য বিশেষভাবে দায়ী নগরের অদক্ষ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। ঢাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেশ নাজুক৷ দুটি সিটি করপোরেশন নগরীর বিপুলসংখ্যক বাসিন্দার প্রতিদিনের বর্জ্য অপসারণে যেমন অদক্ষ, তেমনি শহরের বেশির ভাগ বাসিন্দাই আবর্জনা ফেলার ব্যাপারে অসচেতন ও উদাসীন৷ এ কারণে গোটা নগরীকে মনে হয় বিশাল একটি ময়লার ভাগাড়। রাজধানীর মূল সড়কগুলো যেখানে ময়লার স্তূপে পরিণত হয়েছে সেখানে গলি কিংবা ছোট সড়কের অবস্থা আরও ভয়াবহ।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791094908.jpg
সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের কয়েকটি ওয়ার্ডের বাসিন্দা, ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে এবং সরেজমিনে বেশকিছু এলাকা এসব চিত্র দেখা যায়।

বেলা সাড়ে ১১টায় পশ্চিম শেওরাপাড়া এলাকার বেগম রোকেয়া সরণিতে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার উপরে খোলা জায়গায় ফেলা ময়লার স্তূপ থেকে আবর্জনা ট্রাকে তুলছেন সিটি করপোরেশনের কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী। দুর্গন্ধে সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়। এখান থেকে ময়লা তুলে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে ফেলেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, ময়লার কন্টেইনার নেই দেখে রাস্তার উপরেই ময়লা ফেলেন এলাকার বাসিন্দারা। তারা জানান, প্রতিদিনের গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা একটি ঝুড়িতে জমিয়ে ভোর বেলায় নিজ নিজ ফ্ল্যাটের সদর দরজার সামনে রেখে দেন। সেখান থেকে সেগুলো সংগ্রহ করেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি। তাকে মাসিক ভিত্তিতে বেতন দেওয়া হয়। বেতনভোগী ওই ব্যক্তি তার নির্দিষ্ট এলাকার মানুষের প্রতিদিনের গৃহস্থালি আবর্জনা ভ্যানে করে নিয়ে এসে ফেলেন সড়কের উপরে কিংবা পাশে থাকা কন্টেইনারে অথবা খোলা জায়গায়। সেখান থেকেই কয়েকদিন পর পর সিটি করপোরেশনের গাড়িতে করে সেগুলো ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নেওয়া হয়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791120853.jpg
এলাকাবাসী জানান, নিয়মিত সিটি করপোরেশনের লোক না আসায়, ভাঙাচোরা কন্টেইনার থাকায় সেগুলো থেকে প্রায় ময়লা-আবর্জনা উপচে পড়ে রাস্তায় ছড়িয়ে থাকে। মানুষের পায়ে পায়ে, গাড়ির চাকায় ঘুরে ময়লাগুলো গোটা রাস্তাতেই ছড়িয়ে যায়। খোলা জায়গায় ময়লা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে কষ্ট করে চলতে হয় পথাচারীদের৷ কোথাও কোথাও কটু গন্ধে নাক-মুখ চেপে ধরে চলাচল করতে হয়। শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট অবর্ণনীয়।

মিরপুর সড়কে ধানমন্ডির শেখ জামাল ক্লাবের মাঠের পাশেই রয়েছে ময়লার বিশাল একটি ভাগাড়। এখানকার বাতাসের কটু গন্ধে দম বন্ধ হয়ে আসতে চায়।

বাসযাত্রী হিমেল সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত ভার্সিটিতে যাওয়া-আসা করি। সবসময় দোয়া করি যেন এ জায়গায় গাড়ি জ্যামে না পড়ে। বিশেষ করে তীব্র গরমে যখন হাঁসফাঁস অবস্থা তখন এখানকার কটু বাতাস নাকে গেলে প্রায়ই বমি চলে আসতে চায়।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791142722.jpg
এ তো গেল গৃহস্থালি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিত্র। কিন্তু এর বাইরেও অনেক আবর্জনা আছে যার জন্য নগরবাসীরাও কম দায়ী নন। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কয়েক বছর আগে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন রাস্তার পাশে ফুটপাতের উপরে স্থাপন করেছিল কয়েক হাজার ঝুলন্ত ডাস্টবিন৷ সেগুলো ব্যবহার তো দূরে থাক অল্প দিনের মধ্যেই এ সব ডাস্টবিনের বড় একটি অংশ চুরি হয়ে যায়, পড়ে থাকে শুধু তার স্ট্যান্ডগুলো৷ নগরবাসীর অবহেলা আর সিটি করপোরেশনের যথাযথ তত্ত্বাবধানের অভাবে চুরি যাওয়া ডাস্টবিনের সেসব স্ট্যান্ড এখন পথচারীদের চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সিটি করপোরেশনের বসানো সড়কের পাশের যেসব ডাস্টবিন এখনও টিকে আছে সেসব ডাস্টবিন খালি থাকা সত্ত্বেও ময়লা ফেলা হয়েছে বাইরে।

জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এম এ হামিদ খান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ঝুলন্ত এসব ডাস্টবিন ছিল পথচারীদের ব্যবহারের জন্য। কিন্তু তাদের ৯০ শতাংশ চোখে দেখেও সেগুলো ব্যবহার করেননি। হাতে যাই থাকে সেটা যেন সড়কে ছুড়ে ফেলাতে তাদের আনন্দ!

নগরীর পরিচ্ছনতার বিষয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা মহানগরীকে পরিচ্ছন্ন ও জলাবদ্ধতামুক্ত রাখতে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা প্রতিনিয়ত তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কিন্তু আমরা কি যত্রতত্র পলিথিন ও ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করেছি?
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563791166725.jpg
মেয়রের কথার স্বাক্ষী যেন গোটা রাজধানীর রাস্তাগুলি। সোমবার দুপুরে শিশু হাসপাতালের সামনের ফুটপাত ঘেঁষা রাস্তায় বেশ কয়েক মিটার দীর্ঘ আবর্জনার স্তূপ দেখা গেল। ড্রেনের চিহ্ন বলে কিছু নেই সেখানে।

নীলক্ষেত থেকে হাতিরপুল সড়ক দিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশের ড্রেনগুলো পলিথিন, প্লাস্টিকের বোতল, বিভিন্ন পণ্যের মোড়ক, ভাঙা ইট পাথর, বালি দিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। পানি প্রবাহের কোন জায়গা নেই।

শাহবাগ মোড়, মগবাজার মোড়, সাতরাস্তার মোড়সহ নগরীর প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সড়কেই একই চিত্র। পানি প্রবাহের ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে ডুবে যায় অধিকাংশ সড়ক। কোথাও কোথাও বাসাবাড়িতে উঠে যায় দূষিত পানি।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/22/1563795772162.jpg
তাই রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর করে গড়ে তোলার জন্য নাগরিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মেয়র আতিক। তিনি বলেন, নগরবাসী সচেতন হলে রাজধানীর পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা সম্ভব।

অন্যদিকে নগরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতের জন্য আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কাঠামো নিশ্চতকরণ, বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান, দীর্ঘ মেয়াদে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন চালানোসহ একাধিক পরামর্শ রয়েছে নগরবাসীর।

   

লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করে অটোচালকদের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধের প্রতিবাদে মিরপুরে লাঠিসোটা নিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন চালকেরা।

রোববার (১৯ মে) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মিরপুর সাড়ে ১১ ও মিরপুর ১০ নম্বর সড়কে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে মিরপুর ১০, ১১ ও ১২ নম্বরগামী যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।

সরেজমিনে মিরপুর সাড়ে ১১-তে গিয়ে দেখা যায়, রিকশাচালকরা হাতে লাঠিসোটা নিয়ে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তারা পূরবী এলাকা দিয়ে কোনো যানবাহন চলতে দিচ্ছেন না। কেউ যানবাহন নিয়ে যেতে চাইলে তাকে ধাওয়া দিচ্ছেন।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে মিরপুর ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিরপুর-১১, মিরপুর-১, আগারগাঁও ও কালশী এলাকায় কয়েকশ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

বিক্ষোভকারীরা যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, রিকশাচালকদের বিক্ষোভের কারণে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের।

;

উত্তরা-টঙ্গী রুটে হবে মেট্রোরেলের ৫টি স্টেশন: এমএএন সিদ্দিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ৭.৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রুটে নতুন ৫টি স্টেশন হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক।

রোববার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ঢাকা মেট্রোরেলের ব্র্যান্ডিং সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

এদিকে, রাজধানীর দ্রুতগামী গণপরিবহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬। বর্তমানে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত কাজ শেষে যাত্রীরা চলাচল করছেন এ রুটে।

এই রুটে বর্তমানে মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারণের কাজ চলছে। এখন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত কাজ সম্প্রসারণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

এমএএন সিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এই রুটের কাজ শেষ হলে মেট্রোরেল অতিরিক্ত ৫ লাখ যাত্রী বহন করতে পারবে। উত্তরা উত্তর থেকে টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত এ রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৭.৫ কিলোমিটার। এ রুটে হবে নতুন ৫টি স্টেশন। এগুলো হলো- দিয়াবাড়ী বাজার, সোনারগাঁও জনপদ রোড পূর্ব, পশ্চিম, টঙ্গী বাজার ও টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশন।

এসময় এমআরটি রুট অ্যালাইনমেন্ট বরাবর যানজট কমে গেছে দাবি করেন মেট্রোরেল এমডি।

;

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সৌজন্য: ফোকাস বাংলা

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বে অস্থিরতার প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে। এসব পরিস্থিতি থেকে সৃষ্টি হওয়া চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তার মধ্যেও মূল্যস্ফীতি যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। সেজন্য নিজস্ব উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এবং মহামারি করোনার কারণে সমস্ত কাজ বন্ধ, রপ্তানি বন্ধ, আমদানি বন্ধ সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি এবং নানারকম সমস্যার সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও এ ধাক্কাটা এসে পড়েছে। এর সাথে যুক্ত আছে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের যুদ্ধ। বিদেশ থেকে যে পণ্যগুলো আমদানি করতে হয় তার প্রত্যেকটার দাম বেড়েছে। যার একটা প্রভাব আমাদের দেশে পড়ছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি। এটা শুধু করতে পারব, যখন আমরা নিজস্ব উৎপাদন বাড়াতে পারব।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতার লোভে নিজের স্বপ্ন অন্যের হাতে তুলে দেইনি। তরুণদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে ক্ষমতায় এসে কাজ শুরু করে আওয়ামী লীগ সরকার।

তিনি বলেন, আমাদের শিল্পখাতকে পরিবেশবান্ধব করতে চাই। এজন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। শুধু উৎপাদনের দিকে নজর দিলেই হবে না পাশাপাশি উৎপাদিত পণ্যের বাজার তৈরির দিকেও নজর দিতে হবে। 

এসময় তিনি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;

জাতীয় এসএমই পুরস্কার-২০২৩ পেলেন ৭ উদ্যোক্তা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

পণ্য উৎপাদন, বিপনন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ৭ বর্ষসেরা শিল্পোদ্যোক্তাকে জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার-২০২৩ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার প্রাপ্তদের নগদ পুরস্কার, ট্রফি ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।

জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার পেলেন যারা

বর্ষসেরা নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা স্বপ্না রাণী সেন, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. শাফাত কাদির, বর্ষসেরা পুরুষ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা মো. ওয়ালিউল্লাহ ভূঁইয়া, বর্ষসেরা ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তা তাসলিমা মিজি, বর্ষসেরা পুরুষ মাঝারি উদ্যোক্তা আশরাফ হোসেন মাসুদ, বর্ষসেরা মাঝারি নারী উদ্যোক্তা সীমা সাহা ও বর্ষসেরা স্টার্ট আপ মদিনা আলী।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান প্রমুখ।

;