চার কারণে এসিড সন্ত্রাস কমেছে বাংলাদেশে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
এএসএফ'র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

এএসএফ'র অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে চার কারণে এসিড সন্ত্রাস কমেছে বলে জানিয়েছে এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)।

সোমবার (২২ জুলাই) রাজধানীর তোপখানা রোডে সিরডাপ মিলনায়তনে এ নিয়ে আয়োজিত অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় নিজেদের পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন তুলে ধরে সংস্থাটি। প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল ‘লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে ইতিবাচক চর্চা এবং সম্ভাব্য কৌশলসমূহ’।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাস সদস্য অ্যারোমা দত্ত। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আইনুল কবীর ও ঢাকায় নিযুক্ত ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার শর্মিলা রসুল।

এএসএফের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মাসুদ আহমেদের সঞ্চালনায় সভায় যৌথভাবে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ ও প্রধান গবেষক ফজিলা বানু লিলি। গত অক্টোবর ২০১৮ থেকে জুলাই ২০১৯ পর্যন্ত ইউএনডিপির মানবাধিকার কর্মসূচির সহায়তায় এ গবেষণা পরিচালিত হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে এসিড আক্রান্তের সংখ্যা কমিয়ে আনতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে প্রধানত চারটি বিষয় কাজ করেছে। গবেষণা পরিচালনাকালে সাক্ষাৎকার প্রদানকারীদের দেওয়া তথ্য মতামতের ভিত্তিতে এটা প্রতীয়মান হয়। প্রথমত, তাদের ৬২ শতাংশ বলেছেন, এসিড নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০২ এবং এসিড অপরাধ প্রতিরোধ আইন ২০০২ এসিড সন্ত্রাস কমিয়ে আনতে মূল ভূমিকা পালন করেছে। দ্বিতীয়ত, ৭০ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ সাক্ষাৎকার প্রদানকারী মতে, গণমাধ্যমের ভূমিকা ও বিভিন্ন প্রচারাভিযান এসিড সন্ত্রাস কমিয়েছে। তৃতীয়ত, ৩৭ শতাংশের মতে, নারী ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এ ক্ষেত্রে। চতুর্থত, এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের কার্যকর ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ, প্রচারাভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম এসিড সন্ত্রাস কমাতে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।

অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায়, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিরো টলারেন্সের কথা উল্লেখ করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যারোমা দত্ত বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী অনেক দৃঢ় এবং প্রত্যয়ী। গবেষণার ফলাফল বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য এএসএফের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এই সংসদ সদস্য আরও বলেন, এসিড সন্ত্রাসের শিকার হয়ে যারা জীবনযুদ্ধে লড়েন, তারা কী বেদনা নিয়ে বেঁচে থাকেন তা সমাজকে অনুধাবন করতে হবে।

এই ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠীকে যোদ্ধা আখ্যায়িত করে তাদের সহায়তায় এবং এসিড সন্ত্রাস নির্মূলে সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে নিয়ে একটি প্ল্যাটফর্ম গড়ার তাগিদ দেন অ্যারোমা দত্ত।

অতিরিক্ত সচিব আইনুল কবীর বলেন, সরকার নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা কমাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ সহিংসতা নির্মূলে কিশোর-কিশোরীদের নৈতিক শিক্ষায় গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

ইউএনডিপি প্রতিনিধি শর্মিলা রসুল বলেন, সাসটেইনঅ্যাবল উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জন করতে হলে নারী-পুরুষ সমতা অর্জন করতে হবে। সহিংসতা কমিয়ে আনতে হবে। আর এটা করার জন্য এসডিজি স্বাক্ষরকারী হিসেবে বাংলাদেশের একটা বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এএসএফের নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমের ভূমিকার ধারাবাহিকতা, পরিবারে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, গণমাধ্যমসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের দ্রুত সাড়া, পুরুষদের কার্যকর অংশগ্রহণ, ক্ষমতাবানদের চাপ মোকাবেলার মত আইন প্রণয়ন এসিড সহিংসতা নির্মূলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ)। জন্মলগ্ন থেকেই এসিড সহিংসতা প্রতিরোধ, এসিড সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের চিকিৎসাসেবা প্রদান, আইনি সহায়তা ও পুনর্বাসন এবং মর্যাদাপূর্ণ জীবন প্রতিষ্ঠা ও এসিড সন্ত্রাস নির্মূলের লক্ষ্যে সারা দেশে সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে একযোগে কাজ করছে সংস্থাটি।

   

চুয়াডাঙ্গায় নকল স্যালাইন জব্দ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় নকল ওরস্যালাইন বিক্রির অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (১৯ মে) দুপুরে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়িয়া ও হাটবোয়ালিয়া এলাকায় অভিযান চালান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সহল আহমেদ। অভিযানে সার-কীটনাশক, মুদি দোকান, স্যালাইনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করেন তিনি।

অভিযান সূত্রে জানা যায়, ভাংবাড়ীয়া এলাকায় মেসার্স মারিফুল স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিকালে এসএমসির ওরস্যালাইন এন-এর নকল স্যালাইন বিক্রয়ের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসময় প্রায় ১ কার্টুন (৫০০ প্যাকেট) নকল স্যালাইন জব্দ করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মূল্যে সার বিক্রয় ও সারের ক্রয়-বিক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. মারুফুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪১ ও ৪৫ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

পরবর্তীতে মারুফুলকে নিয়ে তার দেওয়া তথ্যমতে নকল ওরস্যালাইন-এর সাপ্লায়ার মেসার্স লিটন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামান প্রথমে নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার বাড়ি ও গোডাউন তল্লাশি করতে চাইলে এক পর্যায়ে তিনি নকল স্যালাইন বিক্রয়ের বিষয়টি স্বীকার করেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে ৬ কার্টুন (৩ হাজার প্যাকেট) নকল এসএমসির ওরস্যালাইন এন জব্দ করা হয়। নকল ভেজাল স্যালাইন বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক লিটনুজ্জামানকে ৪১ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং জব্দ করা নকল স্যালাইন আগুনে পুড়িয়ে নষ্ট করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, সবাইকে যথাযথভাবে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। প্রতিনিয়ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় কোনো পণ্য ক্রয়ের আগে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে কেনার জন্য ভোক্তাদের অনুরোধ করেন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতায় ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের একটি টিম।

;

গৌরীপুরে ৭ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের শ্যামগঞ্জ বাজারে সাতটি দোকান আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় দুই কোটি টাকা। অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও সূত্রপাত সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

রোববার (১৯ মে) ভোররাতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে উপজেলার শ্যামগঞ্জ বাজারে সাংবাদিক তিলক রায় টুলুর মার্কেট রয়েছে।

রোববার ভোররাতে ওই মার্কেটে আবুল মিয়ার লেপ-তোশকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই সে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে মালামালসহ সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে নেত্রকোনা, পূর্বধলা ও গৌরীপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা রাতে দোকান ভালো করে পরিষ্কার করে সব দেখেশুনে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যাই। পরে পাহারাদার ও অন্যান্য লোকজনের ডাকাডাকির পরে বের হয়ে দেখি, দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে।

তিলক রায় টুলু বলেন, আমাদের মার্কেটে ১৫টি দোকান রয়েছে। এর মধ্যে আগুনে মালামালসহ সাতটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দুই কোটি টাকা।

তিনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। আমরা চাই, পুলিশ তদন্ত করে বেরে করুক এটা দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা।

নেত্রকোনা ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রধান খানে আলম জানান, এ ব্যাপারে আবেদন করলে আমরা তদন্ত করে বলতে পারবো, ঘটনাটি নাশকতা নাকি শর্টসাকিট থেকে বা অন্যকিছু থেকে আগুন লেগেছে।

গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল আহমেদ, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করে দেখবে, আসলে এটি নাশকতা নাকি অন্যকিছু।

;

শতভাগ ই-ফাইলিং নিশ্চিতে কর আহরণ বাড়বে ৫ শতাংশ: সিপিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

শতভাগ ই-ফাইলিং নিশ্চিত করতে পারলে কর আহরণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) পাঁচ শতাংশ বাড়বে বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

এর ফলে, প্রথম বছরেই কর আহরণ ৫ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং চতুর্থ বছরে ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বাড়বে, যা বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী ৯০ হাজার ৮৬২ কোটি টাকার সমান।

‘বাংলাদেশে কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক এক ডায়ালগে রোববার (১৯ মে) এই তথ্য তুলে ধরেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান।

রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় আয়োজিত ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়াতে না পারায় অর্থনীতির জন্য বিপদজনক একটা পরনির্ভরশীলতা গড়ে উঠছে। এর ফলে বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) পুরোটাই ঋণ নিয়ে বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সরকারের পরিচালনা ও অনুন্নয়ন ব্যয় মেটাতে রাজস্ব আহরণের পুরোটাই ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে রাজস্ব আহরণের কোন অর্থ উন্নয়নে ব্যয় করা যাচ্ছে না।

সিপিডির এই সম্মাননীয় ফেলো বলেন, সরকারের সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় রাজস্ব জিডিপি অনুপাত ২০২০ সালের মধ্যে ১৪ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য থাকলেও অর্জনের ধারে কাছেও ছিল না। চলতি অর্থবছরে জিডিপির ৯ শতাংশের বেশি কর আহরণের যে লক্ষ্য রয়েছে তা অর্জন করাও সম্ভব হবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, জিডিপির ১৪ শতাংশ কর আহরণ করতে পারলে এ সময়ে এসেও সরকারের বাজেট বাস্তবায়নে এটা পয়সাও ঋণ করতে হবে না।

কর আহরণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সক্ষমতা বাড়ানো, দক্ষ জনবল ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, শতভাগ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অন্যান্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে কর আহরণ ১৬৭ বিলিয়ন ডলারে উঠবে।

আর প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে না পারলে ওই সময়ে কর আহরণ হবে সর্বোচ্চ ৯০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার কর আহরণ প্রায় ৮৬ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে।

ডায়ালগের শুরুতেই সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, দেশের চলমান উন্নয়ন ধরে রাখতে বড় ধরনের বিনিয়োগ দরকার। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বিনিয়োগের চাহিদা বাড়লেও এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন বা কর আহরণ বাড়ছে না।

এরই মধ্যে বহিস্থ খাত থেকে কিছু চাপ আসছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে আসার পর বিদেশি ঋণে সুদের হার বাড়বে। তাছাড়া বিদ্যমান ঋণের পরিশোধ ও সুদ বাবদ বড় একটা অর্থ চলে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণের কোনই বিকল্প নেই।

কর আহরণে সমস্যাগুলো খুবই পুরাতন এবং এগুলো ইতোমধ্যেই চিহ্নিত আছে দাবি করে তিনি বলেন, কর ব্যবস্থা আধুনিকায়ন করতে এনবিআরকে শক্তিশালী করতে হবে। দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে।

‘মানুষ কর জালে আসতে একটা ভয়ের মধ্যে থাকে। কর আহরণ ব্যবস্থাকে সহজ করে করদাতাদের এই ভয় দুর করতে হবে, বলেন ড. ফাহমিদা খাতুন।

অনুষ্ঠানে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম ও সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।

;

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ও স্বাচিপ এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন।

রোববার (১৯ মে) স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, যতদিন শেখ হাসিনার হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর আজকে যদি আমাদের নতুন প্রজন্ম জানতে চায়, বাংলাদেশ কেমন আছে? আমরা বলব অবশ্যই ভালো আছে। করোনা মহামারির সময় বাংলাদেশ সফলভাবে সেটি মোকাবিলা করেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন ও জনসেবায় চিকিৎসকদের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কাজ করতে হবে। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।

স্বাচিপ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন। উদ্বোধন শেষে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। নেত্রী আছেন সংসদে, আমরা আছি রাজপথে। এই কথাটি যেন আক্ষরিক অর্থে সব সময় সত্য হয়। কখনো যেন এটির ব্যতয় না ঘটে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নেত্রী সংসদ থেকে নির্দেশ দিবেন, আমরা সেই নির্দেশ পালন করব। শুধু চিকিৎসক সমাজ নয়, দেশের সর্বত্রই স্বাধীনতার পক্ষের মানুষদের সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে সমাজ গঠনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

স্বাচিপ রাজশাহী জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ চিন্ময় কান্তি দাসের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, স্বাচিপ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন চৌধুরী মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ মোঃ কামরুল হাসান মিলন, বগুড়া-৭ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোস্তফা আলম নান্নু, সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আব্দুল আজিজ, নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক (সাগর) প্রমুখ।

এর আগে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ অন্যান্য অতিথিরা।

এর আগে সকাল ১১টায় জাতীয় পতাকা ও সংগঠনের পতাকা ও বেলুন-ফেস্টুন উড়িয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এরপর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যগণ, জাতীয় চার নেতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক সহ সকল অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

;