মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও বাহিনীর সাত জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রিন্সিপাল ডেপুটি মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল।
ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্টেট ডিপার্টমেন্টের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র র্যাবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করছে না। এই দাবিগুলো মিথ্যা। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো আচরণের পরিবর্তন এবং জবাবদিহিতার প্রচার।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৪ মে) রাতে ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিষয়টি মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে সম্পৃক্ত, যা হোয়াইট হাউস এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে স্বাধীন ও পৃথক। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে।’
সালমান এফ রহমান বলেন, হোয়াইট হাউস ও স্টেট ডিপার্টমেন্ট র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পক্ষে, তবে তা বিচার বিভাগের ওপর নির্ভর করছে।
গত সপ্তাহে ৩ দিনের ঢাকা সফরে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অব স্টেট ডোনাল্ড লু'র সঙ্গে নৈশভোজের পর সালমান বলেন, ‘বিষয়টি একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ডোনাল্ড লু দায়িত্ব পালনের সময় ‘মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা’ দেখানোর ক্ষেত্রে র্যাবের ‘অসাধারণ অগ্রগতির’ প্রশংসা করেছিলেন।
সে সময় তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘র্যাবের বিষয়ে আমাদের মধ্যে বেশ আলোচনা হয়েছে। আপনারা যদি এ সপ্তাহে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি দেখে থাকেন, তারা স্বীকৃতি দিয়েছে এবং আমরা র্যাবের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হ্রাসের ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির স্বীকৃতি দিয়েছি।’
লু আরও বলেন, ‘যা দারুণ কাজ। এতে বুঝা যায়, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়ে র্যাব সন্ত্রাসবিরোধী এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।’