‘কাজীরা অর্থ-সম্পদ ও শক্তিতে শেখদের সাথে টিকতে পারে নাই’



রেজা-উদ্-দৌলাহ প্রধান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র প্রচ্ছদ/ ছবি: সংগৃহীত

‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র প্রচ্ছদ/ ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘একজন মানুষ হিসেবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসেবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্পৃক্তির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা, যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি ও অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে।’

কথাগুলো বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এই কয়েকটা লাইনের মধ্যেই একটা মানুষের জীবন দর্শন, রাজনীতির প্রেরণা, মনস্তত্ব অবলীলায় উঠে এসেছে। তবুও তাঁর বিশাল ব্যক্তিত্বের অনেক কিছুই যেন এখনো মানুষের জানা বাকি রয়ে গেছে।

বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে জানার জন্য তাঁর লেখা দুইটি অমূল্য গ্রন্থ আছে। একটি ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অন্যটি ‘কারাগারের রোজনামচা’। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ডায়েরির লেখাগুলো সংগ্রহ করে অসমাপ্ত আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছে।

২০০৪ সালে হঠাৎ করেই শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা চারটি খাতা বঙ্গবন্ধুকন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে আসে। খাতাগুলি ছিল অতি পুরনো, পাতাগুলি জীর্ণপ্রায় ও লেখা প্রায় অস্পষ্ট। আদতে সেটি ছিল বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী। বন্ধুবান্ধব, সহকর্মী, স্ত্রীর চাপে যা তিনি ১৯৬৭ সালে জেলে বসে লেখা শুরু করেছিলেন। তবে সেটা তিনি শেষ করে যেতে পারেননি বলে নাম দেওয়া হয় ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী।’

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধুর জন্ম, বংশ পরিচয়, শৈশব, কৈশোর, শিক্ষাজীবন, তৎকালীন সামাজিক ও রাজনৈতিক পারিস্থিতি, দুর্ভিক্ষসহ নানান কিছু।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ বংশে। শেখ বংশের ইতিহাস কিছুটা অস্পষ্ট। তবে একসময় তারা ছিল অর্থবিত্তে ধনী, ক্ষমতায় পরাক্রমশালী।

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লেখেন- ‘আমার জন্ম হয় ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে। আমার ইউনিয়ন হল ফরিদপুর জেলার দক্ষিণ অঞ্চলের সর্বশেষ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের পাশেই মধুমতী নদ। মধুমতী খুলনা ও ফরিদপুর জেলাকে ভাগ করে রেখেছে। আমার জন্মহয় এই টুঙ্গিপাড়া শেখ বংশে। শেখ বোরহানউদ্দিন নামের এক ধার্মিক পুরুষ এই বংশের গোরাপত্তন করেছেন বহুদিন পূর্বে। শেখ বংশের যে একদিন সুদিন ছিল তার প্রমাণ স্বরূপ মোগল আমলের ছোট ছোট ইটের দ্বারা তৈরি চকমিলান দালানগুলি আজও আমাদের বাড়ির শ্রীবৃদ্ধি করে আছে।’

টুঙ্গিপাড়ায় শেখ বংশের পাশেই ছিল কাজী বংশ। শেখদের সঙ্গে কাজীদের যেমন আত্মীয়তা ছিল তেমনি ছিল বহু পুরনা বিরোধ ও তিক্ততার ইতিহাস। নিজের বংশের ইতিহাস শুনে শুনে বড় হয়েছেন বঙ্গবন্ধু। খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের মানুষের মুখে শোনা যায় শেখ বংশ ও কাজী বংশের বিরোধের ইতিাহাস।

বঙ্গবন্ধু লেখেন, ‘টুঙ্গিপাড়া শেখ বাড়ির পাশেই আরেকটা পুরানা বংশ আছে, যারা কাজী বংশ নামে পরিচিত। এদের সাথে শেখদের আত্মীয়তা আছেও। আত্মীয়তা থাকলেও রেষারেষি কোনোদিন যায়নি। কাজীরা অর্থ-সম্পদ ও শক্তিতে শেখদের সাথে টিকতে পারে নাই, কিন্তু লড়ে গেছে বহুকাল। যে কাজীদের সাথে আত্মীয়তা ও ঘনিষ্ঠতা ছিল তারা শেখদের সমর্থন করত। কাজীদের আরেকটা দল রাণী রাসমণির সাথে যোগদান করে। তারা কিছুতেই শেখ দের আধিপত্য সহ্য করতে পারছিল না। তাই তারা এক জঘন্য কাজের আশ্রয় নিল শেষ পর্যন্ত। অধিকাংশ কাজী শেখদের সাথে মিশে গিয়েছিল। একটা দল কিছুতেই শেখদের শেষ না করে ছাড়বে না ঠিক করেছিল।’

‘বৃদ্ধ এক কাজী তার নাম সেরাজতুল্লা কাজী। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে ছিল। ছেলেরা এক ষড়যন্ত্র করে এবং অর্থের লোভে বৃদ্ধ পিতাকে গলা টিপে হত্যা করে শেখ বাড়ির গরুর চালের উপর রেখে যায়। এ ঘটনা শুধু তিনভাই ও একবোন জানত। বোনকে ভয় দেখিয়ে চুপ করিয়েছিল। শেখ বাড়িতে লাশ রেখে রাতারাতি থানায় যেয়ে খবর দেয় এবং পুলিশ সাথে নিয়ে এসে লাশ বের করে দেয় এবং বাড়ির সকলকে গ্রেফতার করিয়ে দেয়। এতে শেখদের ভীষণ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়।’

‘আমার দাদার চাচা এবং রেণুর দাদার বাবা কলকাতা থেকে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে চলে আসেন বাড়িতে। কলকাতার সম্পত্তি শেষ হয়ে যায়। তারপর যখন সকলে গ্রেফতার হয়ে গেছে , দেখার কেউ নেই-বড় বড় ব্যবসায়ী,মাঝি ও ব্যাপারীরা নৌকা ডুবিয়ে উধাও হতে শুরু করল। এর পূর্বে তমিজুদ্দিনের খুনে যথেষ্ট টাকা খরচ হয়ে গেছে। জমিদারিও নিলাম হয়ে প্রায় সবই চলে যেতে লাগল।বহুদিন পর্যন্ত মামলা চলল।নিচের কোর্টে সকলেরই জেল হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে মামলা শুরু হল।আমাদের এডভোকেট হাইকোর্টে দরখাস্ত করল সিআইডি দ্বারা মামলা আবার ইনকোয়ারি করাতে। কারণ এ মামলা ষড়যন্ত্রমূলক।’

‘হাইকোর্ট মামলা দেখে সন্দেহ হলে আবার ইনকোয়ারি শুরু হল। একজন অফিসার পাগল সেজে আমাদের গ্রামে যায় আর খোঁজ খবর নেয়। একদিন রাতে সেরাজতুল্লা কাজীর তিন ছেলের মধ্যে কি নিয়ে ঝগড়া হয় এবং কথায় কথায় এক ভাই অন্য ভাইকে বলে, বলেছিলাম না শেখদের কিছু হবে না,বাবাকে অমনভাবে মারা উচিত হবে না। অন্যভাই বলে, তুইতো গলা টিপে ধরেছিলি তাই বাবা মারা গেল’। বোনটা বলল, বাবা একটু পানি চেয়েছিল, তুই তো তাও দিতে দিলি না।’ সিআইডি এই কথা শুনতে পেল তাদের বাড়ির পিছনে পালিয়ে থেকে। তার কয়েকদিন পরেই তিনভাই ও বোন গ্রেফতার হল এবং স্বীকার করতে বাধ্য হল তারাই তাদের বাবাকে হত্যা করেছিল।’

‘শেখরা মুক্তি পেল আর ওদের যাবজ্জীবন জেল হল। শেখরা মামলা থেকে বাঁচল কিন্তু সর্বশান্ত হয়েই বাঁচল। ব্যবসা নাই, জমিদারি শেষ, সামান্য তালুক ও খাস জমি,শেখ বংশ বেঁচে রইল শুধু খাস জমির জন্য। এদের বেশ কিছু খাস জমি ছিল।আর বাড়ির আশপাশ দিয়ে কিছু জমি নিষ্কর ছিল। খেয়ে পরার কষ্ট ছিল না বলে বাড়িতে বসে আমার দাদার বাবা-চাচারা পাশা খেলে দিন কাটাতেন।’

তথ্যসূত্র: অসমাপ্ত আত্মজীবনী

   

শ্রমিক সঙ্কটে শেষ মুহুর্তে বিপাকে নরসিংদীর কৃষকরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদী জেলা কৃষি নির্ভর এলাকা। এখানকার মাটি আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দিন দিন কৃষিতে ঝুঁকছেন চাষিরা। এখন বোরো ধান কাটার মৌসুম চলছে। তাই প্রতিদিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত পুরোদমে চলে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। ধান ঘরে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার চাষিরা।

তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনেও শ্রমিক সঙ্কট ও তাদের উচ্চ মজুরীতে বিপাকে চাষীরা। জেলার রায়পুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোরে সূর্য ওঠার আগেই কাস্তে হাতে শ্রম বিক্রির হাট থেকে শ্রমিক নিয়ে মাঠে ছুটছেন কৃষক। মাঠে মাঠে ধান মাড়াই ও শুকানো হচ্ছে।

ধানের শ্রমিকরা জানান, ময়মনসিংহ নেত্রকোনা কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে দৈনিক মজুরিতে কাজ করতে এ এলাকায় আসেন। এলাকায় ধান কাটা থাকায় অনেকেই আসতে পারেননি।
যার জন্য এই মুহুর্তে ধান কাটার শ্রমিকের সঙ্কট রয়েছে।

স্থানীয় কৃষকরা জানান, বাম্পার ফলনেও শ্রমিকের মজুরি বেশি শ্রমে-ঘামে ফলানো ধান নিয়ে বাজারে ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষকের হাসি মলিন হচ্ছে। ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের শ্রমিকরা এখনো পুরোদমে না আসার কারণে শ্রমিকের সংকটে তীব্র। ফলে বেশি মজুরি দিয়েই ধান কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।

রায়পুরার কৃষক আব্দুল করিম জানান, 'আগে দৈনিক ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকা মজুরিতে শ্রমিক নিতাম। এবার তারা এক দিনের জন্য ৮ শ থেকে ১ হাজার টাকা নিচ্ছে।

একই কথা বলছেন কৃষক মো. সোহেল মিয়া, তিনি জানান, ধান কাটার মৌসুমে জেলার আশপাশের বিভিন্ন অঞ্চলের শ্রমিকরা কাজ করতে আসে। এ বছর তারা যে পরিমাণ মজুরি চাচ্ছে তাতে লাভ দূরের কথা ফসল ফলানোর খরচ তোলা যাবে না। আড়াই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো হলেও লাভ নেই বলে জানান তিনি।

রায়পুরা উপজেলার নলবাটা গ্রামের কৃষক শরিফুল ইসলাম জানান, 'চলতি মৌসুমে বড় কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়নি। ২বিঘা জমিতে ধান চাষ করে ইতিমধ্যে ধান ঘরে তুলেছেন। ২ বিঘা জমিতে ৬০ মণ ধান পেয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। শ্রমিক, সেচ, সার কীটনাশকের যে দাম সেই তুলনায় ধানের দাম কম। ধার দেনা দিতেই ধান বিক্রি করতে হবে। খরচ তুলতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে অনেকেই ধান চাষে মুখ ফিরিয়ে নেবে।

নরসিংদী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৫৬ হাজার ৫৪২ হেক্টর জমিতে ধানের ফলন হয়েছে। উফশী জাতের ধান ৫১ হাজার ৪৬৩ হেক্টর, হাইব্রিড ৫ হাজার ও স্থানীয় জাত ৫০ হেক্টর চাষাবাদ করা হয়। উৎপাদনের সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৮০৫ মেট্রিক টন। বিঘা প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচে ২২ থেকে ২৪ মণ ধান পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো.আজিজুর রহমান বলেন, সারাদেশে একযোগে ধান কাটা চলছে যার ফলে শ্রমিক কিছু সংকট থাকতে পারে। যার জন্য শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। এছাড়া কম্ভাইন্ড হারভেস্টার দিয়েও ধান কাটা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ জমির ধান কাটা হয়েছে। এর আগে কৃষকের বিনামূল্যে বীজ ও সারসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।

;

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

প্রয়োজনের তুলনায় সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ কম উৎপাদন হয়

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, দেশে ছয় হাজার মেট্রিক টন পাট বীজ প্রয়োজন, অথচ উৎপাদন হয় মাত্র এক হাজার পাঁচশত মেট্রিক টন। বাকী সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন বীজ ভারত থেকে আমদানি করতে হয়। কাজেই ব্যাপকভাবে পাট বীজ উৎপাদনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে হবে। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার পাটের গৌরবময় সোনালী ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে কাজ করছে। এজন্য পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা মহানগরীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন (বিজেএ)’র সঙ্গে কাঁচাপাট রপ্তানি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বিজেএ দেশব্যাপী কৃষকদের পাট বীজ উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য কর্মশালার আয়োজন করছে। এ ধরনের কার্যক্রমে আমিও শামিল হবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হস্তশিল্প মেলায় অংশ নিতে আমাকে জার্মানীর ফ্রাস্কফুর্টে পাঠান। সেখানে আমাদের দেশের পাটপণ্যের ৫০টি স্টল ছিলো। বিদেশি ক্রেতারা সেখানে ক্রয় আদেশ দিচ্ছে। বিদেশে পাটপণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে।

কাঁচাপাট রপ্তানি যেন বাধাগ্রস্ত করা না হয়- ব্যবসায়ীদের এরকম আবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের কথা বিবেচনা করে কাঁচাপাট রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং তাদের সমস্যাসমূহ সমাধানে সাহায্য করা হবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চান সোনালী আঁশের আভিজাত্য ফিরিয়ে আনতে। সেজন্য আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

বিজেএর চেয়ারম্যান মো. ফরহাদ আহমেদ আকন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন- খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

;

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

মারামারি-চাঁদাবাজি: চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা ও আধিপত্য নিয়ে মারামারির পর চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে।

শনিবার (১৮) রাতে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে কমিটি বিলুপ্তের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সাংগঠনিক অনিয়ম এবং বিশৃঙ্খলার কারণে বিগত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে মাহমুদুল করিমকে সভাপতি এবং সুভাষ মল্লিক সবুজকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চট্টগ্রাম কলেজ শাখা কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হল।’

বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে অস্থিরতা চলছিল। এক পক্ষের তোপের মুখে পড়ে কয়েক মাস আগেই ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত হন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম। তার এক সময়ের অনুসারীরা শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে নতুন করে সংঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। তবে মনিরের সঙ্গে মিলে রাজনীতি করতে অস্বীকৃতি জানান সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারির পর মনিরের অনুসারীরা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনকেই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এই সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিভিন্ন কুর্কীতির ভিডিও ফাঁস হয়। বিশেষ করে চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এক তরুণকে স্ত্রীর সামনে মারধর, কলেজের প্রধান সহকারীকে থাপ্পড় দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্তের ঘোষণা আসল।

কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম কলেজে সাম্প্রতিককালে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এই কমিটির মেয়াদও ছিল না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হচ্ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হবে।’

;

কিরগিজস্তানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ঘরে থাকার পরামর্শ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিরগিজস্তানে বিদেশি শিক্ষার্থীদের হোস্টেলে হামলার ঘটনায় দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

শনিবার (১৮ মে) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ পরামর্শ দেওয়া হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের দূতাবাস কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। সেখান থেকে বিশকেকের সহিংসতার ঘটনায় বর্তমানে কিরগিস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও দূতাবাস যোগাযোগ করছে। কিরগিজ প্রজাতন্ত্রের প্রাসঙ্গিক কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পরিস্থিতি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তের জন্য বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে যেকোনো সমস্যায় ২৪ ঘণ্টা উজবেকিস্তানে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার মো. নাজমুল আলমের সঙ্গে (+998930009780) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলো।

জানা গেছে, গত ১৩ মে একদল মিশরীয় শিক্ষার্থীর সঙ্গে কিরগিজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তবে কী নিয়ে তাদের মধ্যে এই বিরোধ বেঁধেছিল তা নিশ্চিত নয়। তবে ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার রাতে কিরগিজ রাজধানীতে বেশকিছু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেল ও বেসরকারি আবাসনে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এসব হোস্টেল ও ভবনে মূলত বিদেশি শিক্ষার্থীরা বসবাস করেন।

;