চলছে মানব পাচার, মামলাতেও সমাধান নেই!



শাহরিয়ার হাসান, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সাগর পথে মানবপাচার, ছবি: সংগৃহীত

সাগর পথে মানবপাচার, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যু ঝুঁকি জেনেও ভাগ্য বদলাতে মানব পাচারকারীদের প্রলোভনের শিকার হচ্ছে মানুষ। স্বচ্ছল জীবনের আশায় তারা ঝুঁকিপূর্ণ পথ ব্যবহার করে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসতে হচ্ছে এসব আশাহত মানুষকে। মানব পাচারের শিকার হওয়া এমন মানুষের মধ্যে বাংলাদেশিদের নাম বারবারই উঠে আসে।

সর্বশেষ মে মাসে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর হয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। সেখানে নিখোঁজ ৩৯ বাংলাদেশির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে ২২ জন ছিলেন বৃহত্তর সিলেটের অধিবাসী।

এ সকল ঘটনায় র‍্যাব পুলিশ, দালাল চক্রের একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। কিন্তু মামলার দীর্ঘসূত্রিতা আর বাদীর মামলার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় শেষ পর্যন্ত তারাও আইনের ফাঁক গলে বের হয়ে যায়।  আবার কোন কোন ক্ষেত্রে পাচারকারীদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের আপস-মীমাংসাও হয়।

জানা যায়, ২০১২ সালে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন প্রণয়নের পর থেকে এই আইনে অনেক মামলার হলেও নিষ্পত্তির হার কম।

পুলিশ সদর দফতরের মানব পাচার মনিটিরিং সেল সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মানব পাচার আইন কার্যকরের পর থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত সারা দেশে ৫ হাজার ৭১৬টি মামলা হয়েছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এর মধ্যে মাত্র ২৪৭টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। আদালত স্থানান্তর করা হয়েছে ১ হাজার ৩৭৫টি মামলার। এখনো বিচারাধীন আছে প্রায় ৪ হাজার ৯৪টি মামলা। এমন বিচারহীনতার কারণে জামিনে বের হয়ে আবারো পাচার কাজে জড়িয়ে পড়ে আসামিরা।

এদিকে ২০১৮ সালের অক্টোবরে মেক্সিকোর দুর্গম পথে প্রায় ২০০ বাংলাদেশি আটক হন। তাঁদের গন্তব্য ছিল যুক্তরাষ্ট্র। জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছাতে আগ্রহী অবৈধ অভিবাসীদের দুবাই থেকে ব্রাজিলে নেওয়া হয়। এরপর বলিভিয়া, পেরু, ইকুয়েডর, পানামা সিটি আর গুয়াতেমালা হয়ে নেওয়া হয় মেক্সিকোতে।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে আটক করা হয় ১৯২ জন বাংলাদেশিকে। তাঁদের গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া।

এত অঘটনের পরও কেন মানবপাচার থামছে না? এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয় সূত্র বলছে, মানব পাচার সমস্যার সমাধান খুঁজতে পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়কে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকেই এই সংকটের সমাধানের পথ আসবে।

তবে অনেকেই বলছেন, মানবপাচারকারী চক্রের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে এ সমস্যার সমাধান হবে।

র‍্যাবের মুখপাত্র এমরানুল হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, যাদের মাধ্যমে মানুষ পাচার হচ্ছে। সেই গ্রুপ বা সিন্ডিকেটের প্রায় শতাধিক সদস্যকে আটক করেছি আমরা। এ সিন্ডিকেটের সক্রিয়তাকে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে র‍্যাব।

অন্যদিকে মানব পাচার কমিয়ে আনার সমাধান কী জানতে চাইলে, মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সালমা সুলতানা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে অনেকে আদালত থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। আবার অনেক সময় পুলিশও মানব পাচার মামলার আসামিদের ধরতে অনীহা দেখায়। সবকিছু মিলে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা সুযোগ পেয়ে যায়। এ বিষয়গুলোতে নজর দিতে হবে।

একই বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, মানবপাচার আইনটি চমৎকার একটি আইন। তদন্ত, শাস্তিসহ বেশ কিছু বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে। মামলাগুলো নিষ্পত্তি যদি একটু দ্রুত হত। সেক্ষেত্রে অপরাধীরা শাস্তি পেলে মানব পাচারের ঘটনাগুলো কমে আসতো।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;