ঢাকার মাদক সাম্রাজ্য শতাধিক ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে!



সিনিয়র ও স্টাফ করেসপন্ডেন্টস

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা: রাজধানীর মাদকের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী। প্রশাসনের নাকের ডগায় বসেই বছরের পর বছর ধরে নিজেদের সাম্রাজ্যের পরিধি বাড়িয়ে চলেছেন তারা। এমনটিই উঠে এসেছে পুলিশের দেওয়া তথ্যে।

প্রতিদিন শহরের ৫ শতাধিক স্পটে মাদকের কেনাবেচা চলছে অনেকটা খোলামেলাভাবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাদক দমনের নির্দেশনার পরই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ইতিমধ্যে তৈরি করেছে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা। এসব মাদক ব্যবসায়ীদের কেউবা হোটেল ব্যবসা কেউবা আবার জড়িত মানি এক্সেচেঞ্জ ব্যবসায়ের সাথে। মূলত এসব হোটেল ও মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ের আড়ালেই তারা সম্প্রসারিত করে চলেছে নিজেদের মাদকের সাম্রাজ্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মাদক ব্যবসায়ের নিয়ন্ত্রণকারীরা মূলত স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় তাদের কাযর্ক্রম পরিচালনা করে। পুলিশের সূত্র মতে, বর্তমানে মোহাম্মদপুরের মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণ করছে নাদিম ওরফে পচিশ, আবদুল্লাহপুর নিয়ন্ত্রণ করছে ফজলুর রহমান, কাওলায় আধিপত্য বিস্তার করছে মহুয়া হোটেলের মালিক তৈমুর। এমন শতাধিক গডফাদার রয়েছে ঢাকাতেই। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।

মোহাম্মদপুরের মাদক ব্যবসায় নিয়ন্ত্রণকারী নাদিম ওরফে পচিশ সম্পর্কে র্যাব-২ এর কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল আনোয়ারুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমাদের কাছে মাদক ব্যবসায়ীর যে তালিকা আছে, সেই তালিকা উপর ভিত্তি করেই বিশেষ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। এই তালিকার যে মাদক ব্যবসায়ীদের নাম আছে, তাদের একজনও অভিযান থেকে বাদ যাবে না। সেটা যে কেউ হোক না কেন।

তবে মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি এখনো শেষ হয়নি বলে জানান পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের হাতে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা রয়েছে। তবে এই তালিকা দিনে দিনে আরো দীর্ঘ হচ্ছে। আর এসব মাদক ব্যবসায়ীদের যারা আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন তারাও রেহাই পাবেন না। তাদেরকেও এই তালিকায় আনা হবে।

র্যাব-পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযাান শুরু হয় চলতি মাসের চার তারিখে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে ২৫ জনের বেশী মাদক ব্যবসায়ী। ২ হাজার ৪৭১ জন গ্রেফতারের পাশাপাশি ২৮ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য জব্দ করেছে র্যাব। অন্যদিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চলতি বছরের প্রথম চার মাসে ৬৩ লাখ ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করেছে। একই সময়ে ফেনসিডিল আটক করা হয়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২২৬ বোতল। অভিযান শুরুর পর থেকে অনেক মাদক ব্যবসায়ি ইতিমধ্যে গা-ঢাকা দিয়েছে। তাদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে র্যাব-পুলিশ।

এদিকে সারাদেশে চলমান আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় সোমবার (২১ মে) রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ১১ জন মাদক ব্যবসায়ীসহ গত ৫ দিনে ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

বন্ধুকযুদ্ধে নিহতের বিষয়ে র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ বলেন, সারদেশে একযোগে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। এত বড় একটা ঘটনা, এখানে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ১০/১১ জন নিহত হতেই পারে, এটা স্বাভাবিক ঘটনা।

অন্যদিকে হযরত শাহজলাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করছেন মাদক ব্যবসায়িরা। এই বিমানবন্দরটির মতো দেশের সীমান্তের ৬৭টি পয়েন্টকে মাদকের বিষয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এই বিষয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন শিমুল বার্তা২৪কমকে বলেন, বিমানবন্দরকে মাদক পাচারের রুট হিসেবে ব্যবহার করার সাহস মাদক ব্যবসায়ী আর পাচ্ছে না। এই এলাকায় কোন অপরাধী, একচুলও ছাড় পাবে না।

   

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক হাজতি মারা গেছেন। মারা যাওয়া হাজতি নীলফামারীর ডোমার থানার মটুকপুর গ্রামের রুমেল হোসেনের মেয়ে আমিনা বেগম (৪০)। কারাগারে তার হাজতি নং- ৩৯৪/২৪।

শনিবার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মহিলা কারাগারে বন্দি আমিনা বেগমের হঠাৎ বুকে ব্যথা হয়। পরে তাৎক্ষণিক কারাগার থেকে তাকে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান মিয়া বলেন, বুকে ব্যথা উঠলে আমিনাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি মেনে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

;

শিশু জায়েদ হাসানের দায়িত্ব নিচ্ছেন না মামা, দেওয়া হচ্ছে দত্তক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে দুর্ঘটনায় নিহত মা ও বেঁচে যাওয়া দেড় বছরের শিশু জায়েদ হাসান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা এখন পুরাপুরি সুস্থ। উচ্চ আদালত শিশুটিকে তার মামার জিম্মায় দেওয়ার নির্দেশ দিলেও জায়েদের সুন্দর ভবিষ্যত ও নিজের পরিবারের অবস্থার কথা চিন্তা করে দায়িত্ব নিচ্ছেনা মামা রবিন মিয়া। এ কারণেই দেওয়া হবে দত্তক।

আগামীকাল রবিবার(১৯ মে) শিশু কল্যাণ বোর্ডের সভার আগ পর্যন্ত দত্তক দেওয়ার জন্য আবেদন গ্রহণ করা হবে ও সব আবেদন বোর্ড সভায় পেশ করা হবে এবং আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি পরিবারের কাছে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হবে।

শিশু জায়েদের মামা রবিন মিয়া বলেন আমি পেশায় একজন পিকআপ চালক। মা, বাবা পরিবার ও তিন সন্তান নিয়ে অনেক কষ্ট করে দিন চলে। তাই আমি চাই না আমার কাছে এসে ভাগিনার সুন্দর জীবনটা নষ্ট না হয়। আমি চাই সে একজন ভালো মানুষের ঘরে গিয়ে মানুষের মত মানুষ হোক আমি শান্তি পাবো। সেজন্যই শিশু কল্যাণ বোর্ডের কাছে একটি অনাপত্তি পত্র দিয়েছি।

ময়মনসিংহ জেলা সমাজসেবা বিভাগের উপপরিচালক ও শিশু কল্যাণ বোর্ডের সদস্য সচিব আব্দুল মজিদ বলেন জায়েদের মামা চান ভাগ্নের সুন্দর ভবিষ্যত। এজন্য শিশু কল্যাণ বোর্ডের প্রতি আস্থা রেখে একটি অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি পরিবার জায়েদকে পেতে আবেদন করছে। তাদের মধ্যে থেকে যাচাই-বাছাই করে আগামীকালের বোর্ড সভা সিদ্ধান্ত হবে জায়েদকে কোন পরিবারে দেওয়া হবে ।

উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাত তিনটার দিকে ভালুকা উপজেলার স্বয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় শিশু জায়েদ ও তার মা জায়েদা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ভোররাতেই সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে করে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। শিশুটিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ও শিশুর মা'কে হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। পরদিন সকালে শিশুটির মা মারা যায়। তবে,আহত শিশুটি হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডেই চিকিৎসাধীন থাকে।

;

যশোরে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিবারকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করায় যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ারকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সভাপতি ডেইজি সারোয়ার ও সাধারণ সম্পাদক শারমিন সুলতানা লিলি স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার ১৬ মে প্রেসক্লাব যশোরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জামাতাও বিএনপি করেন। তার এমন একটি বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যে বক্তব্য দেওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলো যশোর জেলা আওয়ামী লীগ। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কাছে দলীয় পদ থেকে বাতিল ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিত সুপারিশ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

শুক্রবার রাতে যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ওহিদুল ইসলাম তরফদারের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহবায়ক ও আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন। এই সাংবাদিক সম্মেলনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

তার বক্তব্যের বিষয়টি যশোর জেলা আওয়ামী লীগের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তাকে যুব মহিলা লীগের আহবায়ক পদ ও প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিলসহ কেন্দ্রের কাছে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর সুপারিশও করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ফাতেমা আনোয়ারের স্বামী আনিসুর রহমান লিটন ওরফে ফিঙ্গে লিটন পুলিশের মোস্ট ওয়ান্টেডভুক্ত আসামি। তিনি খুন-গুম, মাদক, সোনা, অস্ত্র চোরাচালানসহ একাধিক অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে দেশের বাইরে পলাতক অবস্থায় আছেন। দেশের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। তিনি ইন্টারপোলেরও ওয়ান্টেড আসামি।

এই বিষয়ে ফাতেমা আনোয়ার সাংবাদিকদের বলেন, একজন রাষ্ট্রনায়ককে নিয়ে কেউ কথা বা মন্তব্য করবে এটা রাষ্ট্রের নাগরিকের অধিকার। আমার বিরুদ্ধে জেলা আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা আমাকে অবিচার করছে বলে মনে করছি।

;

স্বেচ্ছাসেবক লীগের মিছিল শেষে কথা কাটাকাটির জেরে তরুণ খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে মানিকমিয়া এভিনিউর সংসদ ভবন এলাকায় কথা কাটাকাটির জেরে ছুরিকাঘাতে এক তরুণকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মেহেদী হাসান (১৮)।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে শোভা যাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাশীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শোভাযাত্রায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মো. চয়নের ভাগ্নে সদ্য এসএসসি পাশ করা ছাত্র মেহেদী অংশ নেন। শোভাযাত্রা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মিছিলে কথা কাটাকাটি হয় অন্য এক গ্রুপের সঙ্গে। কথা কাটাকাটির জেরে সবার সামনেই সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে হামলা চালায় অপর পক্ষ। সেই চাকুর আঘাতে প্রাণ যায় মেহেদীর।

শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগর এলাকায় সংসদ ভবন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মেহেদী ছোলমাইদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবার এসএসসি পাস করেছেন।

নিহতের মামা চয়ন বলেন, মিছিল শেষ করে আমরা এলাকায় যাওয়ার জন্য রওনা দিয়েছিলাম। আমাদের জন্য বাস রেডি ছিল। বাসে ওঠার সময় রাস্তা পারাপার নিয়ে আমার এক বন্ধুর সঙ্গে কয়েকটি ছেলের কথা কাটাকাটি হয়। তখন হুট করে ওই ছেলেগুলো সুইচ গিয়ার বের করে আঘাত করা শুরু করে। তখন আমার ভাগ্নে তাদের থামাতে যায় এবং কথা কাটাকাটি হয়। তখন ওরা মেহেদীকে চাকু দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে।

তিনি বলেন, যারা চাকু দিয়ে মেরেছে তাদের আমি চিনতে পারিনি। সবার সামনে এভাবে মেরে ফেললো আমার ভাগ্নে কে। আমরা পারিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ করি। মেহেদীর মা আওয়ামী লীগ নেত্রী। আমার ভাগ্নের এমন হত্যার বিচার চাই।

এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহাদ আলী বলেন, ঘটনা শুনেছি। এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। এই বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;