হাজারও মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের ঠাঁই নেই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
সিটে যেতে না পেরে গেটেই দাঁড়িয়ে আছেন শিশুসহ তার মা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সিটে যেতে না পেরে গেটেই দাঁড়িয়ে আছেন শিশুসহ তার মা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে যারা গত ৩১ জুলাই অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন, শুক্রবার (৯ আগস্ট) কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে তারাই বাড়ি ফিরছেন। এ সংখ্যা দুই-একশ’ নয়, হাজার হাজার।

সরেজমিনে দেখা যায়, কমলাপুর স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে দেশের নানা প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন ঘরমুখো মানুষ। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনেও ১ ঘণ্টা থেকে ৩ঘণ্টা দেরি করে ছাড়ছে ট্রেন। এতে যাত্রীরা প্ল্যাটফরেমে ভিড় জমান। ট্রেন আসলে হুড়োহুড়ি করে উঠছেন ঘরমুখো যাত্রীরা। যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। স্ট্যান্ডিং যাত্রীদের ভিড়ে সিটের যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

অন্যদিকে যারা ভেতরে সুযোগ পাননি, তারা ট্রেনের ছাদে উঠছেন। মুহূর্তের মধ্যেও ভরে যায় পুরো ট্রেনের ছাদ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নাড়ির টানে বাড়ি যাচ্ছেন রাজধানীর ব্যস্ততম মানুষ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/09/1565329861200.jpg

স্টেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত দু’দিনের তুলনায় আজ শুক্রবার বেশি মানুষ ট্রেনযোগে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন।

কমলাপুর স্টেশনের প্ল্যাটফরমে সকাল থেকেই কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মনোয়ারা বেগম। তার স্বামী চাকরিজীবী, পরে বাড়ি ফিরবেন। তাই তিন সন্তান নিয়ে তিনি একাই রাজশাহী যাচ্ছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১ ঘণ্টা ২০ মিনিট দেরি করেছে ধূমকেতু এক্সপ্রেস। ব্যাগ-লাগেজ হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছেন এই পরিবার।

ট্রেনটি প্ল্যাটফরমে পৌঁছানো মাত্রই যাত্রীদের হুড়োহুড়ি। ধাক্কাধাক্কি করে ট্রেনে উঠছে সবাই। এই হুড়োহুড়ির মধ্যে তিন সন্তানকে নিয়ে নিজের সিটের বসে পড়েছেন মনোয়ারা বেগম। তবে সেটা যেন রীতিমতো যুদ্ধ করে।

মনোয়ারা বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত যে কষ্ট করছি। তবুও বাড়ি ফিরতে হবে, বাড়ি ফিরলে ভোগান্তি-বিড়ম্বনা হয়তো আর কিছুই থাকবে না।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/09/1565329928221.jpg

এদিকে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেসব ট্রেন দেরিতে এসেছে, সেগুলো প্ল্যাটফরম ছেড়ে যাচ্ছে। হাজারো মানুষের ভিড়ে নিজের সিটে বসতে পারাটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সিরাজগঞ্জের যাত্রী মতিউর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এভাবেই যাচ্ছি প্রত্যেকবার। প্রথমে খারাপ লাগলেও এইটুকু কষ্ট মেনে নিয়ে যেতে হবে, সেটা বুঝতে পেরেছি। তাই আর মন খারাপ হয়না। তবে ঈদ আসলেই শিডিউল বিপর্যয় হয়। এটা যদি ঠিক করা যেত এতটা কষ্ট হতো না সাধারণ যাত্রীদের।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/09/1565329940065.jpg

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার আমিনুল হক জানান, বুধবার থেকে প্রতিদিনই কমলাপুর থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বিভিন্ন প্রান্তে যাচ্ছেন। প্রতিটি ট্রেনেই অতিরিক্ত বগি লাগানো হয়েছে। যাত্রীরা সুষ্ঠভাবেই বাড়ি ফিরছেন। তবে কিছুটা শিডিউল বিপর্যয় ছিল। তাই মাত্রারিক্ত যাত্রী ভিড় করেছে। আশা করি খুব দ্রুতই শিডিউল ঠিক হয়ে আসবে।

   

লোকসভা নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা



আজিজুল হক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা জনিত কারণে শুক্রবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামী (২০ মে) ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধু মাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত। ২১ মে থেকে এ বন্দর দিয়ে স্বাভাবিক হবে সব ধরনের যাত্রী যাতায়াত।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ৯টায় ভারতীয় ইমিগ্রেশনের বরাত দিয়ে এতথ্য নিশ্চিত করেন বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি আজহারুল ইসলাম।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সমস্ত আন্তর্জাতিক রুট সিল করা প্রয়োজন। এজন্য ১৭ মে সন্ধ্যা থেকে ২০ মে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত লোক ও যানবাহন যাতায়াত সংক্ষিপ্ত করা হলো। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত শুধুমাত্র মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা বেনাপোল-পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ৩ দিন বন্ধ থাকবে ট্যুরিষ্ট ভিসায় যাতায়াত।

বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ওপারে নির্বাচনে ৩ দিন ট্যুরিষ্ট ভিসায় ভারত ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি তিনি অবগত আছেন জানিয়ে বলেন, ইমিগ্রেশন খেকে তিনি এ বার্তা পেয়েছেন। তবে ট্যুরিষ্ট, ষ্টুডেন্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী যাতায়াত বন্ধ থাকলেও জরুরী মেডিকেল ও ভারতীয় ভোটার পাসপোর্টধারীরা যাতায়াতে বাধা নেই।

জানা যায়, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহার করে মেডিকেল, বিজনেস, ভ্রমন ও ষ্টুডেন্ট ভিসায় প্রতিদিন ভারত-বাংলাদেশে প্রায় ৭ হাজার পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন। ভারত ভ্রমণে ১২ বছরের ঊর্ধ্বে যাত্রীদের ভ্রমণ কর ১০৫৫ টাকা এবং ৫ বছর থেকে ১২ বছর পর্যন্ত যাত্রীদের ৫৫৫ টাকা পরিশোধ করতে হয়। আর ০ থেকে ৫ বছরের যাত্রীদের বন্দর কর ৫৫ টাকা।

এদিকে চেকপোষ্টের পাশাপাশি সীমান্ত পথে যাতে কোন অবৈধ অনুপ্রবেশ না ঘটে সেখানে সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের টহল জোরদার দেখা গেছে।

;

সাতক্ষীরায় সাপের কামড়ে সাত বছরের শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে সাপের কামড়ে শারাফাত হোসেন সিফাত নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সিফাত সাতক্ষীরা শহরের শাহিন আলমের ছেলে। তবে, বাবা-মায়ের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ায় সিফাত এবং তার মা আটুলিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া (ক্লাব মোড়) এলাকায় তার নানা মোস্তফা মোল্লার বাড়িতে থাকতেন।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মা তাকে হাঁস-মুরগি ঘরে উঠেছে কিনা দেখতে বললে সে তা দেখতে যায়। এসময় মুরগির ঘরের পাশের চালা (গর্ত) থেকে একটি সাপ এসে তাকে দংশন করে। প্রথমে স্থানীয় ওঝার মাধ্যমে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাত ৮টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

ইউপি সদস্য মো. রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার সকালে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে।

;

ঢাকার বাতাস আজও খুব 'অস্বাস্থ্যকর'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দিন দিন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে বায়ুদূষণ। দীর্ঘদিন ধরেই মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও বাড়ছে দূষণ। শুক্রবার (১৭ মে) সকালে ঢাকার বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। যদিও সবচেয়ে বেশি দূষণ কঙ্গোর কিনশাসা শহরের বাতাসে।

এদিন সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৪৮ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

দূষিত শহরের তালিকায় ১৭৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চিয়াং মাই। এ ছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের শহর দিল্লির স্কোর ১৭২। আর ১৬০ স্কোর নিয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে যথাক্রমে জার্মানির শহর মিউনিখ ও নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা ভিয়েতনামের হ্যানয় শহরের স্কোর ১৫৫।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;

নীলফামারীতে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে অমিচা বেওয়া (৫৬) নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (১৬মে) তার নিজ বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত বৃদ্ধ উপজেলার কালিকাপুর হাজি পাড়া গ্রামের বাসিন্দা। 

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে পেট ব্যথাজনিত রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার তার প্রচণ্ড পেট ব্যথা উঠলে সহ্য করতে না পেরে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করেন। পরে স্বজনরা তার মরদেহ ঝুলতে দেখে পুলিশে খবর দেয় পুলিশ এসে উদ্ধার করে। 

থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পলাশ চন্দ্র মন্ডল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। 

;