রাতের বাস মিলবে সকালে, দিশেহারা ঘরমুখো মানুষ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল কেরসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাসের শিডিউল বিপর্যয়ে কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বাসের শিডিউল বিপর্যয়ে কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কল্যাণপুর থেকে: রাতের নির্ধারিত বাসগুলো মিলবে সকালের দিকে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্যামলী পরিবহন (এনআর) কাউন্টার থেকে যখন এমন ঘোষণা ভেসে আসে তখন যাত্রীদের হাসিখুশি মুখগুলো হঠাৎ মলিন হয়ে যায়। যারা এতক্ষণ স্বজনদের সঙ্গে হাসি তামাশায় মগ্ন ছিলেন, তারাও যেন বাকরুদ্ধ হয়ে গেলেন ক্ষণিকের জন্য। কেউ কেউ সরকারকে, আবার কেউ নিজের কপালকেই দুষতে থাকলেন।

শুধু শ্যামলী পরিবহন নয় এখানে থাকা সব পরিবহনের একই দশা। সন্ধ্যার গাড়িগুলোও ছেড়ে যায়নি এখনো। বিকেল থেকেই অপেক্ষায় আছেন ঘরমুখো মানুষ। তাদেরকে আশা দেওয়া হচ্ছে গাড়ি কাছাকাছি এসেছে, এলেই পেয়ে যাবেন।

হানিফ কাউন্টারের সামনে বসা যাত্রী আব্বাস আলী। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সাড়ে ৭টায় গাইবান্ধার গাড়ি তিন ঘণ্টা পরও দেখা মেলেনি। কাউন্টার থেকে বলা হয়েছে গাড়ি এখন ঢাকায় প্রবেশ করেনি। সাভারের কাছাকাছি রয়েছে। এলেই পেয়ে যাবেন।’

গাড়ির জটে অপেক্ষমান যাত্রীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ কল্যাণপুর এলাকা। কাউন্টারের ভেতরের জায়গা অনেক আগেই পূর্ণ হয়ে গেছে। সামনে পাতানো চেয়ার পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় অনেকে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে আছেন বাসের অপেক্ষায়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/09/1565371968288.jpg

রাস্তায় যানজটের কারণে শিডিউলের বিপর্যয় ঘটছে বলে জানিয়েছে শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শাকিল মিয়া। তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, সকালের দিকে যে গাড়িগুলো ঢাকার পথে রওয়ানা করেছে, সে বাসগুলো এখনো পথে পড়ে আছে।

হানিফ পরিবহনের হেলপার সুজন মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১১টায় কুড়িগ্রাম থেকে ছেড়েছিলাম। ঢাকায় পৌঁছতে ১৬ ঘণ্টা লেগেছে। গাবতলী থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে জ্যাম রয়েছে। থেমে থেমে চলছে গাড়ি।’

এদিকে, কল্যাণপুরে অবস্থিত বেশিরভাগ কাউন্টার থেকে নৈশকোচের যাত্রীদের ফিরে যেতে বলা হচ্ছে। তাদেরকে সকালে দিকে আসতে বলা হচ্ছে।

   

মুক্তগাছায় টানা ২য় বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত আবদুল হাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় টানা দ্বিতীয় বার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুল হাই আকন্দ।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে উপজেলার ১১৮ টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ কর হয়েছে। ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করেন মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং অফিসার মাহমুদা হাসান ।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে ৬৭ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেনবীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই আকন্দ । নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো.আরব আলী দোয়াত-কলম প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৩৮ ভোট।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন মো.জাহিদুল ইসলাম টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৫৯ হাজার ৮২৪ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো.মাহমুদুল হাসান মুকুল মাইক প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ২৮২ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার পদ্মফুল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৫৯৫ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ইসরাত জাহান ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ৫৫ ভোট।

;

তৃতীয় লিঙ্গের মুন্নী আক্তার হলেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মুন্নী আক্তার।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা জাহিদ হাসান প্রিন্স বেসরকারি ভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।

এ উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছেন ৬ জন। তৃতীয় লিঙ্গে মুন্নী আক্তার সেলাই মেশিন প্রতীকে ২৩ হাজার ৭৬৮ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাজেদা বেগম কলস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২১ হাজার ১৮৪।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা জাহিদ হাসান প্রিন্স বার্তা২৪ ডট কম-কে বলেন, ৭৪ টি ভোট কেন্দ্রের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

;

লক্ষ্মীপুরে এমপির বোন জামাই ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলের জয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে লক্ষ্মীপুরে দুই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রভিত্তিক গননাকৃত ফলাফলের ভিত্তিতে বেসরকারী ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

এতে রায়পুর উপজেলায় আনারস প্রতীকে স্থানীয় এমপি নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের বোন জামাই ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মো. মামুনুর রশিদ এবং রামগঞ্জ উপজেলায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ছেলে ও জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইমতিয়াজ আরাফাত বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

এর মধ্যে রায়পুর উপজেলায় আনারস প্রতীকে মো. মামুনুর রশিদ ৩৬ হাজার ৫৩৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন মাষ্টার ৩৩ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়েছেন।

রামগঞ্জে মো. ইমতিয়াজ আরাফাত আনারস প্রতিক নিয়ে ৪৪ হাজার ০৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মো. বাচ্চু মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন রাতে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাচনী কন্ট্রোলরূম থেকে জেলা রিটানিং কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দত্ত বেসরকারিভাবে এই ঘোষণা দেন।

ফলাফল ঘোষণার পরই দুই উপজেলাতেই বিজয়ী প্রার্থীর পক্ষে পৃথক আনন্দ মিছিল ও পথসভা করেন। রায়পুরে আনন্দ মিছিল শেষে পথসভায় বক্তব্য দেন লক্ষ্মীপুর-২ আসবের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলী সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। এসময় তিনি বিজয়ী প্রার্থী মামুনের পক্ষের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অতিউৎসাহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত না হওয়ার আহবান জানান। একই সাথে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন।

এই দুই উপজেলার মধ্যে রায়পুরে ৭৯ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৪৬ হাজার ৮৬৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৭ হাজার ৫০২ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৬ জন।
রামগঞ্জে ১০২ টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬১০ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ২৮ হাজার ১৮ জন।

;

কটিয়াদীতে বিজয়ী দুজনেই নতুন মুখ, একজন সাবেক



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী ( কিশোরগঞ্জ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নতুন দুজন বিজয়ী হয়েছেন৷ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাবেক একজন বিজয়ী হয়েছেন৷

মঙ্গলবার (২১ মে) অনুষ্ঠিত ভোটের ফলাফল দেওয়া হয়েছে রাত সাড়ে এগারোটায়।

এর আগে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় কোন অঘটন ছাড়াই শেষ হয় ভোটগ্রহণ৷ তাই কোন চাপ ছাড়াই ভোট গ্রহণ সংশ্লিষ্টরা স্বাভাবিক দিনপার করেছেন। খোশমেজাজে সময় কাটান নিয়জিত নিরাপত্তা কর্মীরা।

এতে চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন,মইনুজ্জামান অপু (ঘোড়া) ৪৪৩০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আলী আকবর (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১৯৮৮৭ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বদরুল আলম নাঈম (চশমা) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪৩০৫৮ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শিকদার (তালা) পেয়েছেন ২৯৪৫৮ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাথী বেগম (কলস) ৩৮৭৩৫ ভোট৷ তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রোকসানা।

কটিয়াদী সম্মেলন কক্ষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান৷

১০১ টি মোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কটিয়াদী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১,৮৬ হাজার ৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৯.১১৪ জন। মহিলা ভোটার ১,৬৩,৫১২ জন।

;