ডেঙ্গু রোগীদের সেবাতেই ঈদ আনন্দ চিকিৎসকদের



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
ডেঙ্গু রোগীদের নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মমেক হাসপাতালের ডাক্তাররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ডেঙ্গু রোগীদের নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন মমেক হাসপাতালের ডাক্তাররা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'এবারের ঈদটি আমার কাছে একদমই ভিন্ন রকম। আমি এই প্রথম ঈদে বাড়ি না গিয়ে রোগীদের সেবায় কাজ করছি। সব ঈদেই নিজের সময়টুকু বাসায় পরিবারকে দেই। এই ঈদটা আমার পেশার স্বার্থে আমার রোগীদের জন্য উৎসর্গ করলাম।'

বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-এর সঙ্গে আলাপকালে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. সোহেল আল মুজাহিদ।

প্রতিবার ঈদ পরিবার-পরিজনের সাথে কাটলেও এবার সেই সুযোগ হচ্ছে না তার। ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করায় চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের ছুটি বাতিল হওয়ায় এবার তারা ঈদ কাটাচ্ছেন হাসপাতালেই।

ডেঙ্গু রোগীদের সেবাতেই ঈদ আনন্দ চিকিৎসকদের

তা নিয়ে অবশ্য খুব বেশি আক্ষেপ নেই ডা. সোহেল আল মুজাহিদের। তিনি বলেন, 'পরিবারের সঙ্গে সময়টুকু কাটাতে পারলে অবশ্যই ভালো লাগত। কেননা এবার আমি জমজ সন্তানের বাবাও হয়েছি। কিন্তু রোগীদের সেবার ব্রত নিয়েই যেহেতু আমি এই পেশায় এসেছি। তাই দুর্যোগপূর্ণ এই সময়ে রোগীদের যথাযথ সেবাটুকু যে দিতে পারছি সেজন্য আমি নিজেকে গর্বিতও মনে করছি। তাদের সেবা করার মধ্যেই আমার ঈদের আনন্দ।'

৪৮ শয্যার এই ১৫ নম্বর ওয়ার্ডটি ডেঙ্গু রোগীতে ভরে গেছে। এখনো ভর্তি আছেন প্রায় আড়াইশো রোগী। প্রতিদিনই ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। তাই শয্যায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকের থাকতে হচ্ছে মেঝেতে। এই ওয়ার্ডে একজন অধ্যাপক, একজন সহযোগী অধ্যাপক, দুইজন সহকারী অধ্যাপক, দশজন করে চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ডেঙ্গু রোগীদের জন্য করা আলাদা মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছেন। নিয়মিত ওয়ার্ডে রাউন্ড দিয়ে রোগীদের খোঁজখবরও রাখছেন।

ডেঙ্গু রোগীদের সেবার মাধ্যমেই ঈদ আনন্দ

ঈদে পরিবার-পরিজন ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে না পেরে কিছুটা মন খারাপ হলেও এসব রোগী রেখে ছুটি কাটানো অমানবিক হিসেবে মনে করেন এই ওয়ার্ডের রেজিস্ট্রার ডা. খাইরুল ইসলাম আরিফ।

তিনি বলেন, 'দেশের এরকম একটি কঠিন মুহূর্তে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে না পারাটা একজন চিকিৎসকের জন্য স্বাভাবিক। তবে কিছুটা খারাপ লাগাতো থাকবেই।'

ডা. আরিফের ভাষ্যে, 'প্রতিটি ঈদ আমরা পরিবারের সঙ্গে কাটাই। সকল বন্ধু-বান্ধব এলাকায় চলে এসেছে। আর আমি সকালে প্রস্তুত হয়ে হাসপাতালে এসেছি এজন্য কিছুটা খারাপ লাগছে। কিন্তু রোগীরাও তো অনেক অসুস্থ। তাদের এ অবস্থায় রেখে ছুটি কাটানো পুরোপুরি অমানবিক। কেননা রোগীর সুস্থতার ওপরই একজন চিকিৎসকের সার্থকতা।'

মমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট সকলের ছুটি বাতিল হওয়ায় তারা নিয়ম অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছেন।

   

নারী সাংবাদিকতার বিকাশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান সরকারের সময়ে সংবাদপত্রের পথচলা সহজ হয়েছে। এই সরকার প্রচুর সংখ্যক অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে অনুমোদন দিয়েছে। সরকার সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। একই সাথে নারী সাংবাদিকতার বিকাশে প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) দুপুরে রাজধানী সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র কর্তৃক আয়োজিত '৪র্থ জাতীয় সম্মেলন' এ নারী পুরুষের সমতা অর্জনে কলম হোক হাতিয়ার প্রতিপাদ্যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী ক্ষমতায়নের রোল মডেল। তিনি নারীর প্রতি সকল প্রকার বৈষম্য নিরসন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে নারীদের সহযোগিতা দান, ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা প্রেরণের মাধ্যমে নারীর সার্বিক অবস্থা উন্নয়নে কাজ করে চলেছেন। বিশ্বায়নের যুগে তথ্য প্রবাহ ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে খাপ খাওয়াতে নারী সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিত করা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার মত চ্যালেঞ্জিং পেশায় নারীরা প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের দীর্ঘ ২৪ বছরের পথচলা সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে এক অনন্য অর্জন। তিনি বলেন, নারী সাংবাদিকদের পেশাগত ঝুঁকি নিরসনে সংগঠনটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। সাইবার সিকিউরিটি নিশ্চিত করা, ফেক নিউজ চিহ্নিত করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের জন্য বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সহযোগিতা করতে পারে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্র এর সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু এর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা। নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের প্রতিনিধিবৃন্দ, দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলী, দেশবরেণ্য সাংবাদিকবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ১৬ হাজার ৯৭০ কর্মী, তদন্তে কমিটি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্রসহ দরকারি সব কাগজপত্র পেয়েও ১৬ হাজার ৯৭০ জন কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।

রোববার (২ জুন) বিকেলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩১ মে পর্যন্ত ৫ লাখ ২৬ হাজার ৬৭৬ জনকে মন্ত্রণালয় (প্রবাসী কল্যাণ) অনুমোদন দিয়েছে। বিএমইটির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪২ জনকে। আর ৩১ মে পর্যন্ত ৪ লাখ ৭৬ হাজার ৬৭২ জন গেছেন মালয়েশিয়ায়। সে হিসেবে কমবেশি ১৬ হাজার ৯৭০ জন যেতে পারেননি। সংখ্যাটা কিছুটা কমবেশি হতে পারে।

নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যেতে না পারার কারণ খুঁজতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এই কমিটির কাছে ভুক্তভোগীদের যে কেউ অভিযোগ করতে পারে, বলেন তিনি।

বিপুল সংখ্যক এই কর্মী না যাওয়ার পেছনে সিন্ডিকেটভুক্ত ১০০টি এজেন্সি দায়ী, যার মধ্যে ৪ জন সংসদ সদস্যের নাম এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হবে– এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যিনি বা যারা দায়ী থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমপি চিনি না। তাদের সাথে কোন ডিল নাই। আমরা শুধু এজেন্সিকে কাজ দিব।

ভবিষ্যতে আবার সিন্ডিকেট হবে কিনা এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না। যে দেশ কর্মী নেবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন এজেন্সি কর্মী পাঠায়। আমরা চাই আমাদের নিবন্ধনকৃত আড়াই হাজার এজেন্সির সবাই যেন কর্মী পাঠাতে পারে।

এ সময় প্রবাসী কল্যাণ সচিব রুহুল আমিন বলেন, মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকরা তদন্ত কমিটির কাছে অভিযোগ করতে পারবে। তাদের টাকা ফেরত দেওয়ার পরিকল্পনা আছে।

;

আদাবরে চাঁদা না পেয়ে চা-দোকানির ওপর হামলা যুবলীগ নেতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আদাবর থানার ১৬ রোড এলাকায় চাঁদা না পেয়ে এক চা-দোকানির ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে।

অনুসারীদের দিয়ে চা-দোকানির ওপর হামলা করিয়েছেন যুবলীগের ওই নেতা। এ সময় চা-দোকনি ও তার স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হামলা নির্দেশদাতা যুবলীগ নেতার নাম- আব্দুর রাজ্জাক। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর আদাবর থানার ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। শুক্রবার (৩১ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় আদাবর ১৬ নম্বর কাঁচা বাজারের সামনে চা দোকানদারকে মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী চা-দোকানি সেদিন বিকেলে আদাবর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। রোববার (২ জুন) এ তথ্য প্রকাশ পায়।

মারধরের শিকার ভুক্তভোগী চা-দোকানি তোফাজ্জল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি আদাবর ১৬ নম্বর ব্রিজের ওপর চা দোকান বিক্রি করি। পাশাপাশি আমার কয়েকটা রিকশা আছে। সেগুলো দিয়ে কোনোরকমে সংসার চালাই।

কয়েকদিন আগে আমার দোকানে যুবলীগ নেতা রাজ্জাক ও তার সহযোগী সোহাগসহ কয়েক জন এসে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা চান।

দোকান চালাতে হলে এককালীন ২০ হাজার টাকাসহ প্রতি মাসে এক হাজার টাকা করে চাঁদা দিতে বলেন।

এরপর শুক্রবার দুপুরের নামাজের আগে রাজ্জাকের অনুসারী সোহাগ, শাকিল, শাকিলের বোনের স্বামী ‘অটো জামাল’সহ প্রায় ৭০-৮০ জনের একটি বিশাল দল আমার এক রিকশাচালককে রিকশাসহ আটক করে মারধর করেন। আমি রিকশাচালককে বাঁচাতে গেলে আমাকেও আটকে মারধর করা হয়।

এ সময় আমার চিৎকার শুনে স্ত্রী রাশিদা বেগম, ছেলে রাসেলসহ স্বজনরা এগিয়ে এলে তাদেরও মারধর করা হয়। পাশেই কাঁচা বাজারের তিন চারজন দোকানদার আমাকে বাঁচাতে এলে তাদেরও মারধর করে।

যারা আমার ওপর হামলা করেছেন, তারা সবাই ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের সহযোগী ও কিশোর গ্যাং সদস্য।

এ ঘটনায় আমি থানায় শুক্রবার বেলা আড়াইটায় হাসপাতালের কাগজপত্রসহ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশের কোনো ভূমিকা চোখে পড়েনি।

এমন নৃশংস হামলার পরও পুলিশ নিস্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। হামলার পর শুক্রবার রাতে রাজ্জাক আমার দোকানে এসে আবারও আমাকে হুমকি দিয়ে যায়।

ওই সময় বলে যায়, ‘আজকে মাল (ধারালো অস্ত্র) ছাড়া পোলাপাইন হালকার ওপর দিয়ে গেছে। এরপর আবার আসতে হলে হাত-পা, মাথা আলাদা করে দিয়ে যাবে। তার আগেই টাকা রেডি রাখ’।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, অন্য একটি ঘটনা সমাধান করতে আমাকে আদাবর থানার এক এসআই ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমার সঙ্গে তোফাজ্জল হোসেনের কোনো বিরোধ নেই।

চাঁদা দাবির বিষয়ে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো চাঁদা চাইনি। এমন কী কোনো ছেলেকে আমি তার কাছে পাঠাইনি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে, আমি আরো ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেবো।

ঢাকা মহানগর উত্তর ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান জানান, আব্দুর রাজ্জাক আমাদের ৩০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি। মারামারির খবর আমরা পেয়েছি। তবে এ বিষয়টি সমাধান করার জন্য সন্ধ্যার পর আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসবো।

এ বিষয়ে আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুল হক জানান, এ বিষয়টি আমার জানা নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজখবর নিচ্ছি।

;

রাঙ্গাবালী উপজেলায় সেই তিন প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলায় ত্রাণ বিতরণ কালে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়রম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের প্রার্থীর পক্ষে ত্রান প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্য ভোট দেওয়ায় আহব্বান জানানোর কারণে শুনানি শেষে তিন জনের প্রার্থীতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

রোববার (২ জুন) বিকেলে শুনানি শেষে এই নিশ্চিত করেছে ইসি অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

এর আগে এই ঘটনায় বিকেল তিনটায় ত্রাণ ও দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এমপি সশীরের এসে নির্বাচন কমিশনের কাছে এসে ভোট প্রকাশ্য ভোট চাওয়ার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত তিন প্রার্থীর শুনানি হয়। শুনানি শেষে তাদের প্রার্থীতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন ইসি।

তারা হলেন, চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সাইদুজ্জামান মামুন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রওশন মৃধা ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বেগম ফেরদৌসী।

এর আগে, গত ৩১ মে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে প্রতিমন্ত্রীকে শোকজ করে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া ঘাট নামক স্থানে এবং চালতাবুনিয়া ইউনিয়নের চালতাবুনিয়া বাজারে ত্রান বিতরণের সময় প্রতিমন্ত্রী প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। যা বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এই কার্যক্রম উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬ এর লঙ্ঘন।

সেজন্য আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে কেন দোষী সাব্যস্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে আজ নির্বাচন কমিশনে (কক্ষ নং-৩১৪, নির্বাচন ভবন, আগারগাঁও, ঢাকা) ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য চিঠিতে বলা হয়েছিল।

;