ট্রাকভর্তি চামড়া ফেলে পালালেন ব্যবসায়ী!



মনি আচার্য্য, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সাভারের হেমায়েতপুর ট্যানারি পল্লীতে ট্রাকভর্তি চামড়া ফেলে পালিয়েছেন এক ব্যবসায়ী/ ছবি: সুমন শেখ

সাভারের হেমায়েতপুর ট্যানারি পল্লীতে ট্রাকভর্তি চামড়া ফেলে পালিয়েছেন এক ব্যবসায়ী/ ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের হেমায়েতপুর ঘুরে এসে: সারাদেশে কাঁচা চামড়ার বাজারে হাহাকার। কেনা দামের থেকে কম মূল্যে চামড়া বিক্রি করে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ক্ষোভে অনেক ব্যবসায়ীই মাটিতে চামড়া পুঁতে ফেলছেন। আবার কেউ কেউ আড়তদারদের সামনে চামড়া ফেলে রেখে চলে যাচ্ছেন।

 

তবে এবার ঘটল আরেকটি ভিন্ন ঘটনা। সিলেটের এক ব্যবসায়ী এক ট্রাক চামড়া ফেলে পালিয়েছেন। ট্রাকের চালককেও দিয়ে যাননি ভাড়ার টাকা। এছাড়া ৩০০ চামড়ায় লবণ ছিটানো শ্রমিকদের পাওনাও দেননি।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে সাভারের হেমায়েতপুরে অবস্থিত বেসিক শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত ট্যানারি পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ট্যানারি পল্লীর চৌধুরী এন্ড কোং নামে একটি ট্যানারির সামনে একটি ট্রাকে কাঁচা চামড়া পরে আছে। এছাড়া ট্যানারিটির প্রধান ফটকের সামনে পড়ে আছে আরও কতগুলো চামড়া। এদিকে ট্রাকটিকে ঘিরে রেখেছেন স্থানীয় শ্রমিকরা। ট্রাকের দিকে অসহায় দৃষ্টিতে তাকানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারছেন না চালক।

ট্রাকের চালক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক ব্যবসায়ী সোমবার (১৩ আগস্ট) সিলেট থেকে প্রায় এক হাজার ৫০০ কাঁচা চামড়া নিয়ে এসেছেন চৌধুরী এন্ড কোং ট্যানারির কাছে বিক্রি করতে। ঐ দিন রাতে প্রায় ৩০০ চামড়া নামিয়ে লবণ ছিটানো হয়। বাকি চামড়ার কাজ সকালে করার কথা শ্রমিকদের। সকালে উঠে শ্রমিকরা ও ট্রাক চালক দেখেন, ট্রাকে চামড়া পড়ে রয়েছে কিন্তু ব্যবসায়ী নেই। বার বার তার মোবাইল ফোনে কল করেও খোলা পাওয়া যায়নি। পরে তারা নানাভাবে নিশ্চিত হয়েছেন তিনি পালিয়ে গেছেন।

ট্রাক চালক মো. রিপন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘সোমবার ভোর ৫টার দিকে চামড়া নিয়ে সিলেট থেকে রওয়ানা হয়ে সন্ধ্যা ৬টায় হেমায়েতপুরে পৌঁছায়। পরে সকালে উঠে দেখি ব্যবসায়ী পালিয়ে গেছেন। আমাকে ভাড়ার টাকা না দিয়ে তিনি পালিয়েছেন। ট্রাকের সব চামড়া পচে গেছে, কেউ নামাচ্ছেন না। হাতে টাকাও নেই। এখন কিভাবে আমি সিলেট যাব?’

স্থানীয় শ্রমিক মো. শান্ত বলেন, ‘রাতে আমাদের দিয়ে ৩০০ চামড়ায় লবণ ছিটানো হয়। ব্যবসায়ীর কাছে আমরা ৩২ হাজার টাকা পাই। এখন তার নাম ঠিকানা কিছুই জানি না। শুধু ফোন নম্বর আছে, কিন্তু কল করলে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের টাকা না পাওয়া পর্যন্ত ট্রাক ছাড়ব না।’

এ বিষয়ে চৌধুরী এন্ড কোং ট্যানারির স্বত্বাধিকারী হাসান চৌধুরী বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘ঐ ব্যবসায়ীর নাম ঠিকানা কিছুই জানা নেই। ট্রাকের চালক বলছেন, তারা নাকি সিলেট থেকে এসেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীকে পাওয়া যাচ্ছে না। লোকসান হবে বলে হয়তো তিনি পালিয়ে গেছেন। কাউকে টাকা না দিয়ে। এছাড়া ১২ ঘণ্টার ভেতরে লবণ না পড়ায় সব চামড়া পচে গেছে।’

এদিকে একাধিক ট্যানারি শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর চামড়ার ব্যবসায়ীরা অনেক টাকা লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই কেউ চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলছেন, নয়তো চামড়া ফেলে খালি হাতে চলে যাচ্ছেন।

   

বগুড়ায় ১৪০ জাল নোটসহ কারবারি গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ার কাহালু থেকে জাল নোট কারবারি চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তার হেফাজতে থাকা ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

গ্রেফতার রফিকুল ইসলাম নওগাঁ জেলার রানীনগর উপজেলার খাসর পারইল গ্রামের বাসিন্দা।  

বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে কাহালু উপজেলার কাজীপাড়া বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি পুলিশের ইনচার্জ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাহালুর কাজীপাড়া বাজার এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামকে আটক করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ১৪০ টি ৫০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল পুলিশকে জানায়  কোরবানির গরুর হাটে জাল নোট চালানো উদ্দেশ্যে তিনি বগুড়ায় আসেন। তার নামে জাল নোট এবং চেক জালিয়াতির অভিযোগে নওগাঁ সদর, রানীনগর, বগুড়ার আদমদিঘী ও দুপচাঁচিয়া ৫ টি মামলা রয়েছে বলে ডিবি পুলিশ জানায়।

রফিকুল ইসলামের নামে ডিবি পুলিশের এসআই মজিবর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় মামলা করেছেন।

;

বাসাবোতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

নিহত শ্রমিকরা হলেন- আলতাবুর, অন্তর ও মফিজুল। সর্বশেষ মুক্তা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুল।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, বাসাবো একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা পবন থেকে পড়ে আলতাবুর ও অন্তর সকালে মারা যান। এ ঘটনায় শ্রমিক মফিজুল গুরুতর আহত হলে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মফিজুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলতাবুর ও অন্তরের মরদেহ আগেই দাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০ তলা ভবনের উপর থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

;

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের অজ্ঞাত থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার গলা ও কানে পরিধেয় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে খুন করে পূর্ব পরিচিত বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। প্রথমে কিল-ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর মরদেহ গুম করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবার (১৫ মে) মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ধরা পড়ে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু ঈশ্বরী ত্রিপুরা বিষয়টি জানিয়ে দিবেন বলায় ভয়ে তাকে হত্যা করে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

;

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;