মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান: স্বস্তিতে অভিভাবকরা



মুফতি এনায়েতুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

লেখার শিরোনামের সঙ্গে অনেকেই তীব্র আপত্তি জানাতে পারেন। বলতে পারেন কটূকথাও। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে অনেক অভিভাবক স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে বলছেন, একটা ফলাফল না আসা পর্যন্ত অব্যাহত থাকুক এই অভিযান।

আমার পরিচিত অনেক অভিভাবক সন্তানের মাদকসঙ্গ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, মাদকের সহজলভ্য সমাজের মাদক প্রসারের জন্য বেশি দায়ী। চলতি অভিযানে, মাদকের বাজারে ক্রাইসিস দেখা দেবে, তাতে অনেকেই মাদকগ্রহণ বা সেবনের মওকা পাবে না। সুতরাং চলুক এই অভিযান, এটা যেনো বন্ধ না হয়।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাঁড়াশি অভিযানে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক উদ্ধার, এর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার এবং কোনো কোনো মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধের মতো ঘটনা ঘটেছে। এতে গত এক সপ্তাহে পঞ্চাশের বেশি মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে কোটি কোটি টাকা মূল্যের মাদক।

আগেই বলেছি, মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান ইতিবাচক হলেও ‘বন্দুকযুদদ্ধ’র ঘটনা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এভাবে বন্দুকযুদ্ধের নামে প্রাণহানি কাম্য নয়। অপরাধীদের বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি বিধান করতে হবে। বন্দুকযুদ্ধ ছাড়া কি মাদক দমনের অন্য কোনো পন্থা নেই? তবে এ কথা অনস্বীকার্য, সারাদেশে মাদক যেভাবে সর্বগ্রাসী রূপ লাভ করেছে, তাতে এমন ‘অ্যাকশন’ ছাড়া গতি নেই।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মাদক ব্যবসার যারা মূল হোতা তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যবসার যে ‘চেইন’ সৃষ্টি হয়েছে তাতে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে কিছু মাদক উদ্ধার ও বন্দুকযুদ্ধের নামে কিছু লোক নিহত হলেও অন্যরা এ সময় সাবধান হয়ে যাচ্ছে। তারা মাদক ব্যবসা আপাতত বন্ধ করে আত্মগোপনে রয়েছে। অভিযান বন্ধ বা সহনীয় পর্যায়ে এলেই তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে।

দীর্ঘদিন ধরেই দেশে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন চলছে। এক সময় ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে যেমন বানের পানির মতো ফেনসিডিল দেশে প্রবেশ করত, এখন মাদকের নতুন সংস্করণ ইয়াবা প্রবেশ করছে মায়ানমার থেকে। এই মাদক এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সব বয়সীরা এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এমনকি শ্রমিক ও গাড়ি চালকদের মধ্যেও ইয়াবার বিস্তার ঘটেছে।

আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, দেশের ভবিষ্যত যে তরুণ শ্রেণী; তাদের মধ্যে ইয়াবা আসক্তি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। যে পরিবারের তরুণটি মাদকাসক্ত সে পরিবারে কী অশান্তি ও দুর্দশা সৃষ্টি হয়, তা আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি। মাদকাসক্ত পুত্রের হাত থেকে রক্ষা পেতে কোনো কোনো অভিভাবক পুলিশের হাতে পুত্রকে তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। মাদকের টাকার জন্য ছেলে বাবা-মা-ভাই-বোনকে খুন করেছে। বহু পরিবার পথে বসে গেছে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, মাদকের প্রসার এবং এর সঙ্গে জড়িতেদের নিয়ে পত্র-পত্রিকায় বহু বছর ধরেই লেখা হচ্ছে। তাতে ফল খুব কমই পাওয়া গেছে, এটা বলার কারণ নেই। মানুষ সচেতন হয়েছে, কোথাও কোথাও পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে হ্যাঁ, ফলাফল কাঙ্খিত হয়নি। এর কারণ হচ্ছে, যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার; তাদেরই একটি শ্রেণির প্রশ্রয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে ব্যবসা করে চলেছে। সহযোগী এক পত্রিকার রিপোর্টে বলা হয়েছে, খোদ রাজধানীতে প্রায় ৫৪টির মতো স্পটে নিয়মিত মাদকের হাট বসে। এ খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরও এর বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। লেখালেখি হলে কিছুদিন রাখঢাক করে মাদক বেচাকেনা হয়, তারপর আবার তা পুরোদমে চলতে থাকে। অভিযোগ রয়েছে, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একশ্রেণির সদস্যর নিয়মিত যোগযোগ এবং মাসোহারার সম্পর্ক রয়েছে। এমনকি কোনো কোনো সদস্য সরাসরি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এর ফলে কোনোভাবেই মাদকের আগ্রাসন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

কক্সবাজারের এক এমপি তো রীতিমতো ‘ইয়াবা সম্রাট’ হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ থাকলেও কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বলা হয়ে থাকে, ইয়াবার মূল রুট কক্সবাজার-টেকনাফ তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। আমরা মনে করি, মাদক ব্যবসায়ী এবং এদের পৃষ্ঠপোষক ও নেটওয়ার্ক যতই শক্তিশালী হোক না, যে কোনো মূল্যে তা নির্মূল করতে হবে।

মাদক নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা বাঞ্চনীয়। এর কোনো বিকল্প নেই। তবে এমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত নয়, যা বিতর্ক সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা মনে করি, কথিত বন্দুকযুদ্ধে এ পর্যন্ত যারা নিহত হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের বিস্তারিত বিবরণ জনসম্মুখে তুলে ধরা অপরিহার্য। তারা মাদকব্যবসায়ী বলে ঘোষণা দিয়ে দায় সারলে হবে না। মাদকের সঙ্গে তাদের যথাযথ সম্পৃক্ততা আছে কিনা, তার অনুপুঙ্খ বিবরণ তুলে ধরতে হবে। আবার মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে নিরীহ কেউ যাতে এর শিকার না হয়, এদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। রাজনৈতিক শত্রুতার জের ধরে মাদকের নামে যাতে কাউকে বন্দুকযুদ্ধে পড়তে না হয় এ ব্যাপারেও সচেতন থাকতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা, গুলি করে মাদকের মতো সর্বগ্রাসী একটি সমস্যা সমাধান করা সম্ভব নয়। এতে সাময়িক স্বস্তি হয়তো পাওয়া যাবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে বা পুরোপুরি নির্মূল করা যাবে না। এক্ষেত্রে সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে বেশি জরুরি। পরিবার ও সমাজের অভিভাবকদের এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। তাদের সন্তান এবং এলাকার তরুণদের প্রতি দৃষ্টি দিতে হবে। তারা কোথায় যায়, কী করে, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে- এ ব্যাপারে অভিভাবকদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত হবে এলাকাভিত্তিক মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করে জনগণকে সম্পৃক্ত করা। পাশাপাশি নিজেদের বাহিনীর যারা মাদক ব্যবসাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং নিয়মিত মাসোহারা নিচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, ‘সর্ষের মধ্যে ভূত থেকে গেলে, সে ভূত কখনোই তাড়ানো যায় না।’ কাজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লক্ষ্য হওয়া উচিত মাদকের সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক এবং যতই প্রভাবশালী হোক, তাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ হওয়া।

মনে রাখতে হবে, মুসলমানদের জন্য মাদক হারাম। ইসলাম মনে করে, মাদক ব্যক্তি, দল, সমাজ, দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর।

   

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধে বিআরটিএ'র জরুরি বিজ্ঞপ্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চালনা বন্ধ কারণে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

রোববার (১৯ মে) বিআরটিএ সদর কার্যালয় থেকে জরুরি এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

ঢাকাসহ মহাসড়কে লাইট ভাঙ্গা, সিট ভাঙ্গা মোটরযান চলাচলের কারণে প্রায়শঃ সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ বর্তমানে একটি উন্নয়নশীল দেশ। ফলে ঢাকা মহানগরে চলাচলরত গণপরিবহনের সৌন্দর্যের উপর নগরের সৌন্দর্য ও দেশের ভাবমূর্তি অনেকাংশে নির্ভর করে। সড়ক দুর্ঘটনা পরিস্থিতি উন্নতির লক্ষে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযান চলাচল বন্ধ করা প্রয়োজন।


মোটরযান চালক, যাত্রী, পথচারীসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ১ জুলাই -এর মধ্যে এ ধরনের ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানকে ত্রুটিমুক্ত ও দৃষ্টিনন্দন করার জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায়, আগামী ১ জুলাই থেকে ত্রুটিপূর্ণ মোটরযানের বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন এবং বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

;

কর আাদয়ের সক্ষমতার হিসাব না করেই টার্গেট নির্ধারণ হয়: রহমাতুল মুনিম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় বাজেটে কর আহরণ সংক্রান্ত লক্ষ্য নির্ধারণের সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এবিআর) অসহায়ত্ব প্রকাশ পেয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন সরকারের কর সংক্রান্ত সংস্থাটির চেয়ারম্যান ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেছেন, আাদয়ের সক্ষমতার হিসাব না করেই অর্থমন্ত্রনালয় থেকে বড় একটা টার্গেট নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ইনোভেটিভ কোন কর্মপরিকল্পনা বা রিফর্মের কোন চিন্তা করারও সুযোগ থাকে না।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে "বাংলাদেশে কর ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশন: পরবর্তী করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি বক্তব্যে রোববার (১৯ মে) তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সিপিডির এই যৌথ আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থপ্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংস্থাটির ডিশটিংগুইশড ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ ছাড়াও সরকারের পলিসি মেকার, রাজনীতিবিদ, ব্যক্তিখাতের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য রাখেন।

স্বচ্ছতার সাথে গুনমান নিশ্চিত করে সরকারি অর্থ ব্যয় হলে কর আদায় বাড়তে পারে মন্তব্য করে সংলাপে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, গণপরিবহণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নিরাপত্তাসহ সরকারি সেবার উন্নতির সম্ভাবনা থাকলে নাগরিকদের কর প্রদানে উৎসাহ বাড়ে।

এক্ষেত্রে শুধুমাত্র কর আহরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন না করে ব্যযের ক্ষেত্রেও আধুনিকায়নের তাগিদ দেন তিনি।

এ অর্থনীতিবিদ আরও বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর বাস্তবায়ন পর্যালোচনায় কত টাকা বরাদ্দের বিপরীতে কত ব্যয় হেয়েছে সেই হিসাব হয়ে থাকে। সরকারি ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন কাজের ভৌত অগ্রগতি, গুনগত অগ্রগতি ও প্রভাবমূল্যায়ন নিশ্চিত করার তাগিদ দেন।

কর ফাঁকিতে সংশ্লিষ্টদের প্রভাবশালী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, যারা কর দেয় না, দেশ থেকে টাকা পাচার করে, তারা রাজনৈতিকভাবে এবং আর্থিকভাবে আনেক শক্তিশালী। তাদের কাছ রেথকে কর আদায় করতে গিয়ে এনবিআর কর্মকর্তারা ঝুকির মধ্যে পরেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এনবিআর কর্মীদের অসহায় আখ্যায়িত করে তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে সুরক্ষা দিয়ে কর আদায়ে সমর্থন দিতে তিনি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
বাজেটে রাজস্ব আদাযের টার্গেট নির্ধারণের সময় এনবিআর এর অসহায়ত্ব উঠে আসে মন্তব্য করে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, ”তার্গেট একটা দিয়ে দেয়া হল। সক্ষমতা কতটা আছে? এবং তার্গেটটা অলৌকিক।”

তিনি বলেন, সক্ষমতা হিসাব না করেই টার্গেট দেয়া হয়। আবার টার্গেটের সঙ্গে মিল রেখে সরকারের ব্যযের খাত চূড়ান্ত করায় আদাযে তাদিও দেয়া হয়।
এ সময় তিনি আরও বলেন, আগের অর্থবছরের মোট আদায়ের সঙ্গে একটা প্রবৃদ্ধি ধরে নতুন অর্থবছরের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হলে এই লক্ষ্য পূরণের কিছুটা সম্ভাবনা থাকে।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, আগের বছরের লক্ষ্যের সঙ্গে তুলনা করে পরের বছরের রাজস্বের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়।

”এই টার্গেটের বোঝা থাকার কারণে অনেক সময় ইনোভেটিভ আইডিয়া ও রিফর্মের বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ থাকে না,” বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, চলতি বাজেটে শতভাগ লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করার শর্তে করপোরেট করে বেশ কিছু ছাড় ঘোষণা করা হলেও ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ নিতে পারেননি।

তিনি বলেন, বড় ব্যবসায়ীরাই লেনদেনে নগদ টাকাকে প্রাধান্য দিলে ক্যাশলেস সোসাইটি গড়ে তুলা কঠিন হবে।

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে কর-জিডিপির অনুপাত বাংলাদেশে সর্বনিম্ন। এর ফলে জিডিপির তুলনায় সরকারি ব্যয়ের হারেও বাংলাদেশ পিছিয়ে আছে। শতভাগ ই ফাইলিং নিশ্চিত করে করের হার জিডিপির পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বা্ড়ানো সম্ভব বলে অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, শতভাগ ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে অন্যান্য পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও ২০৩০ সালের মধ্যে কর আহরণ ১৬৭ বিলিয়ন ডলারে উঠবে।

আর প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে না পারলে ওই সময়ে কর আহরণ হবে সর্বোচ্চ ৯০ বিলিয়ন ডলার। এ হিসাবে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার কর আহরণ প্রায় ৮৬% বাড়াতে সহায়তা করবে।

কর বাড়াতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের অভাব রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখানে ২৫ পয়সা বিনিয়োগ করলে সরকারের আয় বাড়ে ১০০ টাকা। অন্যান্য দেশে একই পরিমাণে রাজস্ব আদায় বাড়াতে বাংলাদেশের তুলনায় তিন গুন বিনিয়োগ করতে হয়,” মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য কর আহরণ খাতের তুলনায় লাভজনক কোন খাতই থাকতে পারে না।

;

হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

হাতিয়ায় ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর দ্বীপাঞ্চল উপজেলা হাতিয়া থেকে ৩০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণের ১টি চামড়া, ১টি মাথা ও চারটি পা উদ্ধার করা হয়।  

রোববার (১৯ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে কোস্ট গার্ড এ মাংস জব্দ করে। তবে এ সময় কাউকে আটক করতে পারেনি কোস্টগার্ড।  

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিএন এইচ এম এম হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মেঘনা নদী সংলগ্ন ঢালচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৩০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোস্ট গার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পালিয়ে যায়। পরে জব্দকৃত মাংস হাতিয়া বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।  

;

এবছর ২৪ লাখ বৃক্ষে শোভিত হবে চট্টগ্রাম: ডিসি ফখরুজ্জামান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, গতবারের রোপণ করা ২৩ লাখ হতে যেগুলো টিকেনি সেগুলোর অডিটিং করে পুনঃস্থাপন করা হবে ও গতবারের ২৩ লাখের সাথে আরও ১ লাখ যোগ করে ২৪ সালে ২৪ লাখ বৃক্ষ শোভিত হবে চট্টগ্রাম।

রোববার (১৯ মে) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সম্মেলন কক্ষে জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় বিনা অনুমতিতে গাছ কাটার ব্যাপারে সম্মানিত জেলা প্রশাসক কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। প্রয়োজনে বন আইন কিংবা পরিবেশ আইনে সংশোধনের কথাও বলেন। তিনি ২০২৩ সালের রোপণ করা ২৩ লাখ বৃক্ষের বর্তমান অবস্থা জানতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের দ্রুত অডিট করতে নির্দেশ দেন।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম রেজিস্ট্রেশনে চট্টগ্রাম জেলা সর্বাধিক ৪০ হাজারের অধিক রেজিস্ট্রেশন নিয়ে এক নাম্বারে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ দেন। এই অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয় সেদিকে লক্ষ্য্য রাখার আহ্বান জানান। তবে একই সাথে তিনি জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনের ব্যাপারে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেন। এছাড়াও আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তিনি কোরবানির হাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল মহোদয়, চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারাসহ অন্যান্য দফতরের কর্মকর্তারা।

;