ঘর পুড়েছে, বিশ্বাস করেন না আখি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আগুন তার ঘরে লাগেনি সেটাই বিশ্বাস করেন আখি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আগুন তার ঘরে লাগেনি সেটাই বিশ্বাস করেন আখি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মিরপুরের-৭ সেকশনে আগুনে বস্তির অধিকাংশ ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সঙ্গে পুড়েছে অনেক স্বপ্ন। তবে পুড়ে যাওয়া হাজার হাজার ঘরের মধ্যে হয়তো নিজের ঘরটি নেই, অক্ষত আছে আগের মতোই। তেমন বিশ্বাস নিয়েই বস্তির দিকে তাকিয়ে আছেন আখি।

রাত ১১টায় যখন আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে, তখনও ফায়ার সার্ভিসের ভাষ্য পুড়ে ছাই হয়েছে সব ঘর। তবে সেসব কথায় বিশ্বাস নেই আখির। তার দাবি যখন বস্তি থেকে দৌঁড়ে বেড়িয়েছে তখনও দেখেছেন তার ঘরে আগুন লাগেনি, সেই ছোট্ট ভরসাই এখনও দমাতে পারেনি তাকে।

আরও পড়ুন: মিরপুরে বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে

ঘর এখনো ঠিক আছে এমন তথ্য তিনি কীভাবে নিশ্চিত হয়েছেন জানতে চাইলে, বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে থাকলেন দীর্ঘক্ষণ। ক্ষনিক ভেবে সরল উত্তর, 'আমি যহন বাইর অইসি তহন আমগো ঘরে আগুন লাগে নায়। মনে অয় না আগুন লাগছে আমগো ঘরে।'

খুকি আন্টির কাছ থেকে নেওয়া ভাড়া করা দুই রুমের বস্তিঘরে থাকতেন খুকি। একমাত্র মেয়ে নিয়ে দুই রুমে ছোট ঘরেই আখির সংসার। ফরিদপুরের মেয়ে আখি পাঁচ বছর ধরে আছেন এই বস্তিতে।

আরও পড়ুন: তিন ঘণ্টায় আগুনে পুড়ে ছাই বস্তিটি

আগুনের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'আমরা সন্ধ্যায় ঘরে বইয়া আছিলাম, পরে শুনি আগুন লাগছে। বাচ্চা আর ঘরের যা যা পারছি নিয়া বাইর আইসি। পরে যখন আসতাছিলাম তখন দেখলাম সবাই যা যা পারতাছে নিয়া বাইর হইতাছে।'

এখন কি করবেন, কোথায় থাকবেন জানতে চাইলে পুরনো উত্তর, আমগো ঘর তো পুড়ে নায়। ঘরেই থাকুম।

আরও পড়ুন: চোখের সামনে সব পুড়ছে, আহাজারি বস্তিবাসীর

   

রায়পুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গেছে দুই কিশোরের শরীর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর বৃহত্তর রায়পুরায় উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঝলসে গেছে দুই কিশোরের শরীর। পরে আশঙ্কজনক অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পলাশতলী ইউনিয়নের আশারামপুর বাজারের সমতা সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা হলো- আশারামপুর বাজার এলাকার রিকশা চালক তাহের মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া (১৬) ও সৌদি প্রবাসি কাইয়ূম শিকদারের ছেলে আরিফুল শিকদার (১৭)।

প্রত্যক্ষদর্শী সুফিয়া বেগম জানান, তিনি ছাদে ধান শুকানো কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ওই সময় ছাদের এক কোণে আরিফুল ও নাঈম নামে দুই কিশোর দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি বিকট শব্দ হয়। পাশে ফিরে তিনি দেখতে পান ছাদে পাশাপাশি পড়ে রয়েছে তারা।

পরে এগিয়ে গিয়ে ওই দুই কিশোরের জামা ও শরীর পুড়ে যাওয়া দেখতে পান তিনি। আশারামপুর বাজারের সমতা সুপার মার্কেটের ছাদ থেকে পাঁচ মিটার দূরে রয়েছে ৩৩ কেভি বিদ্যুৎ লাইন। তবে কিভাবে ওই লাইন থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েছে তার ধারণা দিতে পারেননি ওই নারী।

স্থানীয় যুবক মনির হোসেন বলেন, শব্দ শুনে মার্কেটের তৃতীয় তলার ছাদে গিয়ে দেখতে পান আহত নাঈমের শরীরের অর্ধেক অংশ ছাদের ওপর ও বাকি অংশ বাহিরে থাকা অবস্থায় পড়ে আছে। তার পুরো শরীর পুড়ে গেছে। আহত আরিফুলের পুড়ে গেছে বাঁ পাশের হাত ও হাঁটু থেকে পা পর্যন্ত। পরে তাদের উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

আহত আরিফুল শিকদারের মা আঁখি নূর জানান, তার ছেলে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আরিফুলের হাত ও পা থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঝলসে গেছে।

আহত নাঈমের বাবা রিকশা চালক তাহের মিয়া বলেন, তার ছেলে সদ্য প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। নাঈমের পুরো শরীর পুড়ে গেছে। ছেলের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চান তিনি।

আহত নাঈম বর্তমানে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে আহত নাঈমের স্বজনরা জানান, নাঈমের শরীরিক অবস্থা আশঙ্কাজন।

পলাশতলী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, আহত নাঈম শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও পাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) রয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহত আরিফুল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে চিকিসাধীন বলে জানান তিনি।

;

ইছামতি নদী থেকে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার দেবহাটার ইছামতি নদী থেকে আহছান হাবিবুল হক (৪৫) নামের এক ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার আয়নাল হকের ছেলে।

মঙ্গলবার (২১ মে) ভারত-বাংলাদেশ সীমানার কোমরপুর এলাকার নদীরচর থেকে এ মরদেহ উদ্ধার হয়।

কোমরপুর বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার এনামুল হক জানান, ইছামতী নদীতে ভেসে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা আমাদের খবর দেয়। পরে দেবহাটা থানা পুলিশ ও বিজিবি’র উপস্থিতিতে অজ্ঞাত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশের পরনে ছিল কালো টি শার্ট ও জিন্স প্যান্ট তার গায়ের রং শ্যামলা। মরদেহের প্যান্টের পকেটে থাকা আইডি কার্ডের মাধ্যমে তার পরিচয় সনাক্ত করে ভারতীয় বিএসএফকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। উদ্ধারকালে দেবহাটা থানা পুলিশ ও ১৭ বিজিবি শাখরা ক্যাম্পের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মাহমুদ জানান, ভারতীয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিজিবি’র পক্ষ থেকে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে কথা হয়েছে। বিষয়টি সরকারি নিয়ম মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

ইসি থেকে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব হলেন জাহাংগীর আলম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমকে বদলি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ ঘোষণা করা হয়।

সরকারের সচিব মো. জাহাংগীর আলম ২০২২ সালের ২ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব পদে যোগদান করেন। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ওই বছরের ২৭ অক্টোবর তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়।

সচিব হওয়ার আগে মো. জাহাংগীর আলম জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মো. জাহাংগীর আলম সচিব থাকার সময়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি ১৯৬৯ সালের ১৫ মে পটুয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করেন। বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের সদস্য হিসেবে ২৫ এপ্রিল ১৯৯৪ সালে সহকারী কমিশনার হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় যোগদান করেন।

;

মানিকগঞ্জের তিন উপজেলায় বিজয়ী যারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতীকে মো.আব্দুর রহিম খান, ঘিওর উপজেলায় শালিক প্রতীকে মাহাবুবুর রহমান জনি এবং দৌলতপুর উপজেলায় দোয়াত কলম প্রতীকে এস.এম শফিকুল ইসলাম শফিক বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার ১৮০টি ভোট কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মঙ্গলবার রাতে শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের প্রাপ্ত ভোটের মাধ্যমে শিবালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো.আব্দুর রহিম খান, ঘিওরে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মাহাবুবুর রহমান জনি এবং দৌলতপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস.এম শফিকুল ইসলাম শফিককে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

২য় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুর উপজেলায় চেয়ারম্যানপদে ১৮জন, পুরুষ ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১৬জন এবং নারী ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ১৩জন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকরেন।

;