চাকুরী নিয়ে কানাডায় পরিবারসহ স্থায়ী হওয়ার সুযোগ



নিউজ ডেস্ক

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী তিন বছরে প্রায় ১০ লাখ অভিবাসী নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল সরকার।

তিনটি ক্যাটাগরিতে এই অভিবাসী নেওয়া হবে। ইকোনমিক মাইগ্র্যান্ট, ফ্যামিলি ও শরণার্থী ক্যাটাগরি। যেহেতু সব প্রোগ্রামে আবেদনকারীগণ সরাসরি বাংলাদেশ থেকে আবেদন করতে পারছে না, তাই প্রয়োজন কানাডা ও বাংলাদেশি অভিবাসন আইনজীবীর সমন্বয়ে আবেদন করা ও প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ করা। প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি বর্তমানে কানাডায় পরিবারসহ বসবাস করেন। কানাডায় মোট জনসংখ্যার পাঁচ ভাগেরও কম নেটিভ, বাকি সবাই অভিবাসী। একটু সচেতনভাবে আবেদন করলে আপনিও পারেন এই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দিতে।

যোগ্যতাসম্পন্ন দক্ষকর্মী এবং পেশাজীবীরাই কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আগেও অনেকে স্থায়ী হয়েছে কিন্তু বর্তমানে শর্ত অনেক শিথিল হয়ে যাওয়ার সুযোগ বেড়ে গেছে। অধিক দক্ষ লোকজনের প্রয়োজন পড়ায় আগামী তিন বছরে কানাডা প্রায় ১০ লাখ নতুন অভিবাসীদের বসবাস ও কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দিবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

অনেকেই মনে করছে কানাডা সরকার শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে লোক নিবে কিন্তু বাস্তবতা হলো এই অভিবাসী শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, সারা পৃথিবী থেকে নেওয়া হবে। শুনতে খারাপ লাগলেও বলা যায়, কানাডার জব মার্কেটে বাংলাদেশিদের দক্ষতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশিদের ইংরেজি বলার দক্ষতা এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার কয়েকটি দেশের তুলনায় কম।

কানাডা অভিবাসন সম্পর্কে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন আইন বিশেষজ্ঞ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, দক্ষ ও সংশ্লিষ্ট পেশায় অভিজ্ঞ লোক ছাড়া কোন অবস্থাতেই কানাডায় জব পাওয়া সম্ভব না। সেই ক্ষেত্রে যাদের প্রকৃত স্কীল্ড সার্টিফিকেট ও সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদেরই সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করতে পারেন।

প্রচলিত এক্সপ্রেস এন্ট্রি, নতুন নতুন পিএনপি এবং ট্রেড স্কিল্ড প্রোগ্রামের আওতায় কানাডা সরকার তাদের চাহিদা পূরণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাংলাদেশি লোকজনদের এই সুযোগটি নেওয়া উচিত। আগ্রহী লোকজন একজন অভিজ্ঞ ইমিগ্রেশন আইনজীবীর মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ ও ফাইলটি প্রসেস করতে পারেন। নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রোগ্রাম নির্বাচন এবং সঠিক সময়ে সঠিকভাবে আবেদন ও ফলোআপ করার মধ্যেই সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূলত ট্রেড স্কিল্ড ও হাই স্কিল্ড ইমিগ্রেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশি যোগ্য লোকজন কানাডায় যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে।

হাই স্কিল্ড ইমিগ্রেশন

এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পিএনপি দুই উপায়ে আবেদন করে স্থায়ীভাবে কানাডায় বসবাস করার সুযোগ পাওয়া যায়।

এক্সপ্রেস এন্ট্রি : সর্বোচ্চ বয়স ৩০, আইইএলটিএস ৭, মাস্টার্স বা অনার্স ডিগ্রি এবং সঙ্গে এক বছরের সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অনেক কম খরচে এক্সপ্রেস এন্ট্রির মাধ্যমে স্বল্প সময়ে পরিবারসহ কানাডায় স্থায়ী হওয়া যায়।

পিএনপি : আইইএলটিএস কমপক্ষে প্রতিটি ব্যান্ডে ৬ এবং ওভারঅল ৬.৫। বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর পর্যন্ত নির্দিষ্ট কিছু পেশাজীবীরা পিএনপি প্রোগ্রামের মাধ্যমেও আবেদন করতে পারেন। এই বিষয়ে দক্ষ আইনজীবীর সহায়তার কোনও বিকল্প নাই।

ট্রেড স্কিল্ড প্রোগ্রাম

অতি সম্প্রতি কানাডার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী আগামী তিন বছরে এই প্রোগ্রামসহ অন্যান্য প্রোগ্রামে প্রায় ১০ লাখ লোক কানাডায় কাজ করার সুযোগ পাবেন। তবে যেহেতু কানাডায় ট্রেড স্কিল্ডে কাজের সুযোগ বেশি এবং প্রচুর লোকজনের প্রয়োজন হয় সুতরাং শুধুমাত্র এই ক্যাটাগরিতেই সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন অভিবাসনের সুযোগ পাবেন। তবে মনে রাখতে হবে ট্রেড স্কিল্ড এর মেয়াদকাল অন্ততপক্ষে ০২ বছর হতে হবে অথবা এইচ.এস.সি ভোকেশনাল, যেমন: ক) ইলেক্ট্রিকাল ওয়ার্কস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স খ) ইলেকট্রনিক্স কন্ট্রোল অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স গ) মেশিন টুলস্ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স ঘ) অটোমোবাইল ঙ) বিল্ডিং কন্সট্রাকশন আন্ড মেইনটেন্যান্স চ) কম্পিউটার অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স। প্রচুর বেতন, থাকা খাওয়ার সুবিধা, ভালো কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্থায়ী হবার অপার সম্ভবনা ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনা করলে এই প্রোগ্রামটি অনেকের জন্যই একটি উপযুক্ত একটি প্রোগ্রাম।

অধিক ও মানসম্পন্ন বেতন, থাকা-খাওয়ার সুবিধা, ভালো কাজের পরিবেশ, সামাজিক নিরাপত্তা, স্থায়ী হওয়ার অপার সম্ভাবনা ইত্যাদি বিষয়াদি বিবেচনা করলে এই প্রোগ্রামটি অনেকের জন্যই একটি উপযুক্ত একটি প্রোগ্রাম।

এই সব প্রোগ্রামের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পেশাজীবীর আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। এই বিষয়ে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের।

এই বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধুমাত্র প্রকৃতপক্ষেই যারা যোগ্যতা রাখেন তাদের আর দেরি করা ঠিক হবে না। ২০১৮ সালে যেহেতু দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকজনের কোটা অনেক বেশি সুতরাং আবেদন করতে ইচ্ছুক লোকজনদের সবকিছু জেনে প্রস্তুতি নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, অযোগ্য ব্যক্তিরা অযথাই আবেদন করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না।

আগ্রহী ব্যক্তিরা এই বিষয়ে সরাসরি আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ আলহাজ শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।

আপনার পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল [email protected] ঠিকানায়। এ ছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com ওয়েবসাইটে। ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের অফিসেও সরাসরি এসে খোঁজ নিতে পারেন।

এছাড়া ফোনে প্রাথমিক তথ্যর জন্য কথা বলতে পারেন ০১৯৬৬০৪১৫৫৫, ০১৯০৪০৩৬৮৯৯, ০১৯৯৩৮৪৩৩৪০, ০১৯০৯০৮৩৯৬২, ০১৯০৯০৮৩৯৬৩, ০১৯০৪০৩৬৮৯৮, নম্বরে। হাল নাগাদ তথ্য পেতে ভিজিট করতে পারেন www.facebook.com/WorldwideMigrationConsultantsLtd এই ঠিকানায়।

   

আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন সরকারি কর্মচারীরা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি কর্মচারীদের বেতন ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি ও বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা না করলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ৩য় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি।

শনিবার (১৮ মে) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি'র সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সমিতির মহাসচিব মো. ছালজার রহমান।

তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০১৫ সালে ৮ম জাতীয় বেতনস্কেল প্রদানের পর বিগত ১০ বছরে গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, ঔষধ, চিকিৎসা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শতভাগ মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারি কর্মচারীরা অর্থকষ্টে জীবনযাপন করছেন। এ অবস্থা উত্তরণে অন্তর্বর্তীকালীন বিশেষ সুবিধা ৫% থেকে ৩০% উন্নতি করা এবং অবিলম্বে জাতীয় ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণার বিকল্প নাই।

সংবাদ সম্মেলন থেকে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে সৃষ্ট বৈষম্য নিরসনকল্পে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ১৯৭৩ সালের ১ম জাতীয় বেতন স্কেলের ন্যায় ২০ ধাপের পরিবর্তে ১০ ধাপে বৈষম্যহীন ৯ম জাতীয় বেতনস্কেল ঘোষণা, কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী রেশনিং পদ্ধতি চালু, সচিবালয়ে এবং সচিবালয়ের বাইরে সকল পদের জন্য এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রণয়ন, সকল ডিপ্লোমাধারীদের ১০ম গ্রেড প্রদান, পূর্বের ন্যায় শতভাগ পেনশন প্রথা চালু টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড প্রদান, অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর এবং ইনক্রিমেন্টের শেষ ধাপ ব্লক না রেখে নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট চালু রাখতে জোড় দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে দাবি আদায়ের কর্মসূচির ঘোষণা দিয়ে সমিতির সভাপতি মো. লুৎফুর রহমান বলেন, আগামী ২১ মে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৬ থেকে ৩০ মে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ ও দাবি সম্বলিত লিফলেট বিতরণ এবং ১ জুন প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে।

তিনি আরও বলেন, এ সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি আদায় না হলে পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তৃতীয় শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি জাতীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ ছাড়াও আরও উপস্তিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের রফিকুল ইসলাম মামুন, সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের নূরনবী, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে'র সেলিম মোল্লা, মুগদা মেডিকেল কলেজের মনিরুল ইসলাম, ক্যান্সার হাসপাতালের তাপস কুমার সাহা, মাহবুব, কুষ্ঠ হাসপাতালের মো. রায়হান উদ্দিন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মফিজুল ইসলাম পিন্টু, জাতীয় আর্কাইভের মনির হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মোফাজ্জল হোসেন, বিএসটিআই'র ইব্রহিম মিয়া, আনোয়ার হোসেন, বিএসএমএমইউ'র সিরাজুল ইসলাম, শেখ রাসেল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের আনোয়ার হোসেন, মৎস অধিদপ্তরের আরিফুল ইসলাম, লিপি আক্তার, মৃত্তিকা সম্পদ অধিদপ্তরের হাদিউজামান, ইবনে ফারুক, টেমো'র আরিফুল ইসলাম, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের কামরুন্নাহার, গণপূর্তের রেখা, মোহাম্মদ আলী, রেজিস্ট্রি অফিসের রুবি, কিডনি হাসপাতালের সাইদুর রহমান, বিএসইটি'র সাজেদুল ইসলাম, নিপোর্ট'র মোজাম্মেল হক, বিআইডারটিএ'র সাব্বির রহমান, ঢাকা জজ কোর্টের আসাদুজ্জামান পিয়াল, সিজিএম কোর্টের আব্দুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিসের জহিরুল ইসলাম, শেবাকৃবি'র নূর-ই মোফাজ্জল, বক্ষব্যধির শাহজাহান, ঢাবির কবির, বিজি প্রেস'র ইলিয়াস হোসেন, খামারবাড়ির ইমরানসহ ঢাকা মহানগরীর সকল দপ্তরের নির্বাচিত কর্মচারী প্রতিনিধিরা।

;

ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে প্রাণ গেলে দুই ভাইয়ের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে দুই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। তারা দিনাজপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার চকদফরপুর গ্রামের বাসিন্দা। নিহতরা সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।

স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে উপজেলার আউলিয়াবাদ বাজারে ঘরভাড়া নিয়ে সেখান থেকে আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ধান কাটার কাজ করতো আফজাল হোসেন ও আমির হোসেন। আজ শনিবার ভোরে বীর বাসিন্দা ইউনিয়নের নোয়াবাড়ি গ্রামের হযরত আলীর ধান ক্ষেতে ৬ জন শ্রমিক ধান কাটতে ছিল। এসময় বৃষ্টি শুরু হলে ধান ক্ষেত থেকে দৌঁড়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় আফজাল ও আমিরের ওপর বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।

বীর বাসিন্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন জানান, আজ সকালে কয়েকজন শ্রমিক হযরত আলীর ক্ষেতে ধান কাটতে যান। এসময় গুড়িগুড়ি বৃষ্টি সাথে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও চারজন। তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

কালিহাতী থানার এসআই রাজীব জানান, নিহতের স্বজনেরা অপমৃত্যু মামলা দায়ের করলে ওসি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পৃথিবীর কোন দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকে অবাধে সাংবাদিকরা ঢুকতে পারে প্রশ্ন রেখে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সবই ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে। আপনার জানবার বিষয় থাকলে আপনি ভেতরে ঢুকবেন কেন?

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

দেশের রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন ১৩ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসায় সরকার উদ্বিগ্ন কী না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে বলল আপনাকে ১৩ বিলিয়ন ডলার? নিউজে বলছে সাংবাদিকদের এমন উত্তরে তিনি বলেন, 'কোন নিউজে বলছে আপনাকে?' আমাদের কাছে হিসাব আছে। তখন সাংবাদিকরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরই বলেছেন ব্যবহার করার মতো ১৩ বিলিয়ন ডলার আছে। তখন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাহলে গভর্নরকে জিজ্ঞেস করুন যে কী কারণে এইটা এই পর্যায়ে আসল? আমরা তো এটা জানি না, আমরা জানি ১৯ থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার, এর মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে।

রিজার্ভ কমে ১৩ বিলিয়নে নেমে আসায় অর্থনীতিবিদরা অনেকে উদ্ধেগ প্রকাশ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কয় বিলিয়ন ডলার নিয়ে আমরা স্বাধীনতার পর যাত্রা শুরু করেছি। ডলার ছিল আমাদের? বিএনপি কয় বিলিয়ন ডলার রেখে গেছে আমাদের? তিন বিলিয়ন প্লাস। তাহলে এখন ১৯-২০ বিলিয়ন ডলার আছে এটা কি কম নাকি? এখন আমাদের রফতানি আয় বাড়ছে, রেমিট্যান্সও বাড়ছে এই মুহূর্তের। এইগুলা বাড়লে রিজার্ভও বাড়বে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

সব মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে: প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রের সব মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার রয়েছে ন্যায়বিচার পাওয়ার। আদালতে বিচার প্রার্থীরা ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্যই আসে।

শনিবার (১৮ মে) সকালে কক্সবাজার জেলা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতের কর্তব্য হচ্ছে বিচার প্রার্থী সব নাগরিকের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা। পাশাপাশি বিচার প্রার্থীদের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা।

এছাড়া প্রধান বিচারপতি কক্সবাজারে মাদক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সিনিয়র বিচারপতি এম এনায়েতুর রহিমসহ সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারকরা এবং কক্সবাজারের জজ আদালতের বিচারকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান কক্সবাজার চীফ জুডিশিয়াল কোর্ট এলাকা পরিদর্শন করেন।

;