চিড়িয়াখানায় শৃঙ্খলা ফিরলেও ‘আইন’ না থাকায় নানা জটিলতা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় চিড়িয়াখানা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাতীয় চিড়িয়াখানা/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগের তুলনায় অনেকটা শৃঙ্খলায় ফিরেছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। এক বছর আগেও অব্যবস্থাপনায় জর্জরিত থাকা চিড়িয়াখানা এখন অনেকটাই শৃঙ্খল। সুন্দর পরিবেশ আর খাঁচায় বন্দি প্রাণি নিয়ে এক প্রাণবন্ত বিনোদন কেন্দ্র। তবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবল কম থাকায় রোগে আক্রান্ত প্রাণিদের চিকিৎসায় হিশশিম খেতে হচ্ছে প্রশাসনকে। এছাড়া চিড়িয়াখানা আইন না থাকায় আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়াজার (ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব জু এন্ড অ্যাকুরিয়ামস) সদস্য হতে পারছে না চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ, ফলে বিদেশ থেকে প্রাণি আনাসহ মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানা জটিলতার।

 

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানা গেছে, শুরুর দিকে চিড়িয়াখানার অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে ওয়াজার সদস্য হতে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু পরে সে সমস্যা কাটিয়ে সদস্য পদের জন্য আবেদন করা হলেও চিড়িয়াখানা অ্যাক্ট না থাকায় সদস্য পদ দেওয়া হয়নি। শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে চিড়িয়াখানা অ্যাক্ট করার। এ কারণে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলো এই সংস্থার সদস্য। আর সংস্থার সদস্য না হওয়ায় বৈধপথে পশু-পাখি আনতেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। সদস্যপদ না পাওয়ায় সংস্থাটি প্রশিক্ষণ দিচ্ছে না ঢাকা চিড়িয়াখানার কোন কর্মকর্তাকে।

আর চিড়িয়াখানায় আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাওয়া প্রাণিদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। যেগুলো খুবই অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকে সেগুলোকে অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে রাখা হয়। কিন্তু অন্যান্য দেশে 'নো পেইন' ইনজেকশন দিয়ে বার্ধক্যগ্রস্ত প্রাণিদের মেরে ফেলা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা অ্যাক্ট না থাকায় এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ফলে শেষ পর্যন্ত আবদ্ধ খাঁচায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হয় প্রাণিদের।

ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৩৭ প্রজাতির ২ হাজার ৭৮৪টি প্রাণি রয়েছে। এরমধ্যে ১৯ প্রজাতির ৩৫৮টি বৃহৎপ্রাণি (তৃণভোজী), ১১ প্রজাতির ৩৫টি মাংসাশী, ১৫ প্রজাতির ১৬৭টি ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণি, ৫৭ প্রজাতির ১ হাজার ১১৯টি পাখি, ৯ প্রজাতির ৬২টি সরিসৃপ প্রাণি ও ২৬ প্রজাতির ৯৭১টি মাছ রয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, চিড়িয়াখানার প্রাণি ও পাখির জন্য চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেকটাই অপ্রতুল। পাঁচজন প্রশিক্ষিত ডাক্তার দিয়ে চলছে চিড়িয়াখানার চিকিৎসার কাজ। তবে নেই দক্ষ স্টাফ। চিড়িয়াখানার ভেটেনারি হাসপাতালটি একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। উপজেলা পর্যায়ের পশুর হাসপাতালে যেসব চিকিৎসা দেওয়া হয়, সেখানে যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এখানে প্রাণিদের চিকিৎসা পদ্ধতি কিছুটা জটিল। অনেক পশুকেই পাইপ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়া হয়। ফলে এ বিষয়ে দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু চিড়িয়াখানার ভেটেনারি হাসপাতালে থাকা একজন অভিজ্ঞ কম্পাউন্ডার অবসরে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে, ১৯৭৪ সালে পুরনো আদলে সাজানো চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের চলাচলের রাস্তা এখন অনেকটাই পরিচ্ছন্ন। প্রায় সব প্রাণির খাঁচার বাইরে নির্দেশিকা বোর্ড রয়েছে। নির্দেশিকা বোর্ডে ওই প্রাণি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ রয়েছে। আর বাইরে হকারদের দৌরাত্ম্য কমলেও ভেতরে হকারদের সরব উপস্থিতি রয়েছে।

চিড়িয়াখানার পরিবেশ নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ডা. মো: নূরুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, চিড়িয়াখানার পরিবেশ আমরা দিন দিন ভালো করার চেষ্টা করছি। বিশেষ করে খাঁচাগুলো মেরামত করা হয়েছে। সড়ক যেটা সমস্যা ছিল সেটা পিচ ঢালাই করা হয়েছে, বাকি কাজও আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ করব। চিড়িয়াখানা এখন আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আধুনিকায়ন হয়ে গেলে এর অনেক পরিবর্তন আসবে।

এদিকে চিড়িয়াখানায় বর্তমানে দশটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খাবার সরবরাহ করছে। বিভিন্ন ঠিকাদারদের কাছ থেকে খাবার বুঝে নেওয়ার জন্য আট সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি রয়েছে। তারা খাবার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে, ওজন নিশ্চিত হয়ে তা সংগ্রহ করকরে থাকেন। কোন গরু জবাই করে প্রাণিদের খাদ্যের যোগান দেওয়ার আগে সেই গরুটি খাদ্যের উপযুক্ত কিনা সেটিও পরীক্ষা করে নেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

এ বিষয়ে প্রাণি পুষ্টি শাখার কর্মকর্তা সঞ্জিব কুমার বিশ্বাস বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ৪০টি আইটেমের খাবার সরবরাহ করি।এ জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে, তারা খাদ্যের মান যাচাই করে তা সরবরাহ করেন। মাংসাশী প্রাণিদের রোববার ছাড়া প্রতিদিন গরুর মাংস দেওয়া হয়। শুধু রোববার প্রাণিদের হান্টিং ক্যাপাসিটি রাখার জন্য বয়লার মুরগি দেওয়া হয়।

চিড়িয়াখানায় আগত অনেক দর্শনার্থীর অভিযোগ, দিনে দিনে প্রাণিগুলো রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে বাঘ ও সিংহের অবস্থা খুবই নাজুক।

এ বিষয়ে চিড়িয়াখানার তথ্য কর্মকর্তা ডা: মো: ওয়ালিউর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, অনেকেই বলে বাঘ-সিংহ রুগ্ন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে আমাদের বাঘ সিংহ লাইফস্টাইল সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। আমাদের বাঘ-সিংহ কৃত্রিম অবস্থায় ১৫ বছর বাঁচে। এখানে যে বাঘ-সিংহ ছিল বা আছে তার কয়েকটির আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া মানেই তারা খাওয়া দাওয়া কম করবে, মুভমেন্ট কম হবে। তাদের স্বাস্থ্য খারাপের দিকে যাবে। বর্তমানে আয়ুষ্কাল পেরিয়ে যাওয়া বাঘ রয়েছে দুইটি আর সিংহ রয়েছে তিনটি।

তিনি বলেন, ভিন্ন ভিন্ন প্রাণি ভিন্ন ভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়। আমাদের চিড়িয়াখানার ভেটেনারি সেকশন থেকে তাদের চিকিৎসা দিয়ে থাকি। তবে দক্ষ জনবল প্রয়োজনীয় সংখ্যক না থাকলেও কাজ চালিয়ে নেওয়ার মতো রয়েছে। পাঁচজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এখানে রয়েছেন। দক্ষ স্টাফের অপ্রতুলতা আছে। আমাদের এটি বিশেষায়িত হাসপাতাল। এখানে যারা কাজ করবে তাদের দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। সেজন্য আমাদের দক্ষ জনবল তৈরি করতে হবে। আমরা ওয়াজার সদস্য পদের জন্য আবেদন করেছিলাম, চিড়িয়াখানা আইন না থাকায় তারা আমাদের সদস্য পদ দেয়নি।

   

মালয়েশিয়ায় প্রতারিত হওয়া শ্রমিকরা পাচ্ছেন আড়াই কোটি টাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাউথ ইস্ট এশিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালয়েশিয়ার জোহরবারুতে প্রতারিত হওয়া ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিককে তাদের পাওনা বেতন বাবদ আড়াই কোটি টাকার বেশি প্রদান করা হবে।

গত ফেব্রুয়ারিতে জোহরবারুতে ৭৩৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের খোঁজ মেলে। তাদেরকে প্রায় ৪ মাস ধরে বিনা বেতনে কাজ করানো হচ্ছিল এবং প্রতিশ্রুত কাজও দেয়া হয়নি। এর আগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি জোহর শ্রম অধিদফতর এই শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য ৪৫ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিল। কিন্তু সেই সময়ে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করেনি কর্তৃপক্ষ।

শ্রম বিভাগ জানিয়েছে মোট অপরিশোধিত বেতনের পরিমাণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৭ বাথ। যা বাংলাদেশি অর্থে আড়াই কোটি টাকারও বেশি।

মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় শুক্রবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কর্মসংস্থান আইন ১৯৫৫ এর ধারা ৬৯(৪) এর অধীনে জোহর শ্রম অধিদফতর এখন নিয়োগকর্তাকে দায়রা আদালতে এনে শ্রম আদালতের জারি করা আদেশ কার্যকর করবে।

মালিকপক্ষ দোষী সাব্যস্ত হলে, কোম্পানি প্রতিটি অপরাধের জন্য ৫০ হাজার রিঙ্গিত বা ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে এবং শ্রমিকদের পাওনা মজুরি নিষ্পত্তি করতে হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোম্পানিটির বিরুদ্ধে চলা মোট ১০টি তদন্তের মধ্যে ৪টিতে মামলার অনুমতি দেয়া হয়েছে। বাকি ৬টি অধিকতর তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এছাড়াও কোম্পানিটিতে বিদেশি কর্মী নিয়োগের কোটা প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং নিয়োগকর্তাকে নতুন বিদেশি কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, একটি বিশেষ ‘নিয়োগকর্তা পরিবর্তন প্রক্রিয়া’ (পিটিএম) এর মাধ্যমে মোট ৬৯২ জন ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশি কর্মীকে এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;