ট্রেনের ছাদে ভ্রমণের দায়ে আটক ২০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, তৎপর আটক /ছবি: সুমন শেখ

নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ, তৎপর আটক /ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্ঘটনা এড়াতে ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ রোধে দ্বিতীয় দিনের মতো কমলাপুর রেল স্টেশনে অভিযান পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ট্রেনের ছাদ ও ইঞ্জিনে ভ্রমণ করার দায়ে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কমলাপুর রেল স্টেশনে থেকে বিনা টিকিটে ইঞ্জিন ও ছাদে ভ্রমণ করার দায়ে এসব যাত্রীকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী।

সরেজমিন দেখা যায়, অবৈধভাবে কেউ যেন ট্রেনের ছাদে ও ইঞ্জিনে ভ্রমণ করতে না পারে তার জন্য অভিযান চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে কমলাপুর রেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ। স্টেশনে যাত্রীদের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া হ্যান্ড মাইকিং করে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

ঢাকা বিভাগের রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারি কমান্ড্যান্ট শহীদ উল্লাহ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'অভিযান চলমান রয়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন অপরাধে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়বে এবং বিনা টিকিটে ট্রেনের ছাদ ও ইঞ্জিনে ভ্রমণ থেকে যাত্রীরা বিরত থাকবেন আশা করছি।

কমলাপুর রেল স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ আমিনুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'এই অভিযান পরিচালনা করার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট কমলাপুর রেল স্টেশনে একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। কমিটির সদস্যরা অভিযান তদারকি করছেন। আমরা মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করছি। যাতে করে যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে যাতায়াত না করেন।

অভিযান পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সহকারী প্রকৌশলী সাজিদ হাসান নির্ঝর বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'রেল একটি রাষ্ট্রীয় সংস্থা। ট্রেনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ভ্রমণ করেন। তাই সবাই যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণ করতে পারেন তার জন্য এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে'।

   

ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে চোখ হারালেন পুলিশের এসআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম. ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর রমনা থানার পরিবাগ এলাকায় ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে হিজড়াদের হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকের (এসআই) চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। আহত ওই এসআইয়ের নাম মো. মোজাহিদ।

শনিবার (১ জুন) দিনগত রাত সাড়ে তিনটায় পরিবাগ এলাকায় ঘটনা ঘটে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল পরিবাগ এলাকায় ডিউটি করছিলেন। এসময় হিজড়াদের একটি দল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিতি হলে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা করেন। তারা পুলিশক উদ্দেশ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন।

একপর্যায়ে একটি ইট এসআই মোজাহিদের চোখে গিয়ে পড়ে। মুজাহিদের চোখের চশমার কাচ ভেদ করে চোখে মারাত্মকভাবে আঘাত করে। এতে মোজাহিদের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
রমনা থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত) উৎপল বড়ুয়া বলেন, হিজড়ারা বিভিন্ন রিকশা থেকে ছিনতাই ও অনৈতিক কাজ করায় শাহবাগ থানা পুলিশের একটি বিশেষ অভিযানে অংশ নেয়। অভিযানের একপর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করলে এসআই মিজানের একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায় এবং মুখের বিভিন্ন অংশে আঘাত প্রাপ্ত হন।

ওসি আরো বলেন, এসআই মোজাহিদকে শেরেবাংলা নগর চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার চোখের অপারেশন হয়েছে। আরো কয়েকটি অপারেশন লাগবে বলে তিনি জানান।
এঘটনায় জড়িত তিন হিজড়াকে আটক করা হয়েছে।

;

এমপি আনারের মরদেহ উদ্ধারে নৌ বাহিনী-কোস্ট গার্ডের সাহায্য নিচ্ছে সিআইডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার

  • Font increase
  • Font Decrease

রহস্যজনকভাবে খুন হওয়া ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার অভিযানে আসামিদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কলকাতার কৃষ্ণমাটির বাগজোলা খালে কয়েক দফা তল্লাশির পরও মেলেনি কোন চিহ্ন।

এমন পরিস্থিতিতে খাল থেকে দেহের হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করতে এবার ভারতীয় নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ড বাহিনীর সাহায্য নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে দেশটির পশ্চিমবঙ্গের অপরাধ বিভাগ (সিআইডি)।

রোববার (২ জুন) কলকাতার একাধিক গণমাধ্যমে এমন তথ্য উঠে আসে।

পশ্চিমবঙ্গের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, খালের নোংরা জল থেকে বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমের দেহের হাড় এবং মাথার খুলি উদ্ধার করতে এ বার ভারতীয় নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ড বাহিনীর সাহায্য নিতে প্রক্রিয়া শুরু করেছে সিআইডি।

সিআইডির এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানায়, উন্নততর প্রযুক্তি রয়েছে নৌসেনা এবং উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তাই তাদের ডুবুরি দিয়ে তল্লাশি চালালে সাংসদের দেহের ওই অংশ উদ্ধার করা যেতে পারে। এটা ধরে নিয়েই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। তবে তা ফলপ্রসু হবে কি না তা পরবর্তী সময়ে বোঝা যাবে।

এদিকে কলকাতায় সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার হওয়া মাংসের টুকরোগুলো এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারের বলে মনে করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, যেসব তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে কলকাতা গিয়েছি, তা পেয়েছি। আলামত উদ্ধারসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করায় আনার হত্যার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে। ফরেনসিক রিপোর্ট পেলেই তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মে আনোয়ারুল আজিম চিকিৎসার জন্য কলকাতায় যান। ১৮ মে কলকাতায় তার পরিচিত গোপাল বিশ্বাস পুলিশে একটি ডায়েরি করেন। সেখানে বলা হয়, আনোয়ারুল ১৩ মে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর আর ফেরেননি। তিনি ফোন করে জানিয়েছিলেন, বিশেষ কাজে দিল্লি যাচ্ছেন। ১৫ মে তিনি মেসেজ করে জানান, দিল্লিতে আছেন। ১৭ তারিখ থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

বুধবার গোপাল বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করে কিছু গণমাধ্যম জানায় যে, পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছে, কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ আনোয়ারুল আজিমের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

;

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যা

বগুড়ায় স্ত্রী-সন্তানকে গলাকেটে হত্যা

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় আবাসিক হোটেলে স্ত্রী আশামনি (২২) ও ১১ মাস বয়সী সন্তান আব্দুল্লাহেল রাফীকে গলাকেটে হত্যার পর পালানোর সময় আটক করা হয়েছে সেনা সদস্য আজিজুল হককে (২৪)।

রোববার ( ২ জুন) বেলা ১১টার দিকে বগুড়া শহরের বনানী এলাকায় শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

আটক সেনা সদস্য আজিজুল হক বগুড়ার ধুনট উপজেলার হেউটনগর গ্রামের হামিদুল হকের ছেলে। তিনি সেনা সদস্য হিসেবে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত আছেন।

তার স্ত্রী আশামনি বগুড়া শহরের নারুলী তালপট্টি এলাকার আসাদুল ইসলামের মেয়ে।

শুভেচ্ছা আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার রাত ৯টার দিকে আজিজুল নিজেকে মিরাজ ও তার স্ত্রীকে তমা এবং তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ পরিচয় দিয়ে হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষ ভাড়া করেন।

আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আজিজুল হক রুমে ছেড়ে দিবে বলে ভাড়া পরিশোধ করতে চান। এসময় হোটেলের ম্যানেজার তার স্ত্রী-সন্তান কোথায় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সকালে চলে গেছেন। এসময় ম্যানেজার রুম দেখে বুঝে নেওয়ার কথা বললে আজিজুল হক স্ত্রী- সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে আটক করে থানায় খবর দেন হোটেল ম্যানেজার।

এদিকে আশামনির বাবা আসাদুল জানান, তিন বছর আগে আজিজুল হকের সাথে তার মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে সন্তান প্রসবের আগে থেকেই বাবার বাড়িতে বসবাস করে। জামাই দুই মাসের ছুটিতে বাড়ি আসে। রোববার তার কর্মস্থলে চলে যাওয়ার কথা ছিল। বৃহস্পতিবার জামাই আজিজুল নারুলীতে শ্বশুরবাড়ি আসেন। সেখানে দুই দিন থাকার পর শনিবার বিকেলে স্ত্রী সন্তান নিয়ে শহরে মার্কেট করার জন্য বের হয়। রাত ১০টার দিকে আজিজুল হক ফোন করে তার শ্বশুরকে জানান, রাত ৮টার দিকে তিনি স্ত্রী সন্তানকে নারুলী যাওয়ার জন্য রিকশায় তুলে দিয়েছেন। এর পর থেকেই মেয়ের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরদিন রোববার সকালে তিনি তার মেয়ের সন্ধান চেয়ে শহরে মাইকিং করার ব্যবস্থা করেন এবং সদর থানায় জিডি করতে গেলে বনানীতে হোটেলে মা ও সন্তানের লাশ উদ্ধারের খবর পান।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম বলেন, রাতে যেকোন সময় আজিজুল তার স্ত্রী ও সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ বস্তাবন্দী করে কক্ষের বাথরুমে রাখে এবং ছেলের মাথা বিচ্ছিন্ন করে সকালে করতোয়া নদীতে ফেলে দেয়। পুলিশের একটি দল মাথা উদ্ধারের জন্য আজিজুলকে সাথে নিয়ে নদীতে তল্লাশি শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, কক্ষ থেকে হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি রামদা ও চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে আজিজুল হক পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী- সন্তানকে হত্যা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক বলেছেন দাম্পত্য কলহের কারণে তিনি স্ত্রী সন্তানকে হত্যা করেছেন। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

অর্থ আত্মসাৎ: সভাপতির বিরুদ্ধে ‘চেষ্টা’ সংগঠনের সদস্যের সংবাদ সম্মেলন



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীভিত্তিক সংগঠন 'চেষ্টা'র ভাবমূর্তি রক্ষার্থে বিতর্কিত সভাপতি লাইলা নাজনীন হারুনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও সেইসঙ্গে বহিষ্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা।

রোববার (২ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বীরাঙ্গনা ও নারী মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে নিবেদিত নারী সংগঠন 'চেষ্টা' সভাপতি লাইলা নাজনীন হারুনের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সদস্য সাদেকুন নাহার পাপড়ি।

তিনি বলেন, 'চেষ্টা' একটি নারী-সংগঠন। ২০১৩ সালে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার থেকে নিবন্ধিত একটি অরাজনৈতিক স্বেচ্ছাসেবী, জনকল্যাণ ও নারী কল্যাণমূলক সংগঠন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সুবিধাবঞ্চিত নারীদের সাহায্য করে মূলধারায় নিয়ে আসার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সংগঠনটি। বিশেষ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্যাতিত নারীদের এবং সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিতের মধ্যে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে। এ কাজে সংগঠনের সদস্য চাঁদা ছাড়াও সরকার ও বিত্তবানদের অনুদানে চলছে সংগঠনটি।

‘চেষ্টা’র গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, নির্বাচিত একটি কমিটিসহ সাধারণ সদস্যদের নিয়ে কাজগুলো করে আসছিল কিন্তু সংগঠনের বর্তমান সভাপতি নির্বাহী কমিটির কোনো মিটিং না ডেকে তার পছন্দের দুই তিনজন সদস্যকে নিয়ে স্বেচ্ছাচারিতার মধ্য দিয়ে সংগঠনের টাকা তছরুপ করেছেন, যা স্বনামে পরিচিত সংগঠনটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সেই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে কাজ করছিল, তা বাদ দিয়ে সভাপতি ও একজন উপদেষ্টার একক সিদ্ধান্তে অন্যান্য কম গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন। তারা এখন নাচগানের সংগঠনে পরিণত করেছেন ‘চেষ্টা’কে।

তিনি আরো বলেন, সভাপতি লায়লা নাজনীন ও সাধারণ সম্পাদক দিলরুবা বেগম এবং তার ভাইয়ের মেয়ে কোষাধ্যক্ষ সিফাত ই নূর একক সিদ্ধান্তে কাজ করছেন। আমরা আমাদের সংগঠনে বিতর্কিত উপদেষ্টা না রাখার আপত্তি জানালেও সভাপতি অজ্ঞাত কারণে তাকে বাদ দিচ্ছেন না। সংগঠনের টাকা তছরুপ এবং অগঠনতান্ত্রিকভাবে গায়ের জোরে কমিটি বহাল রাখায় আমরা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করি। মন্ত্রণালয় তদন্ত সাপেক্ষে কমিটি বিলুপ্ত করার নির্দেশ দেয় এবং পাঁচজনকে দিয়ে এডহক কমিটি গঠন ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করে নতুন কমিটি গঠনের কথা বলে কিন্তু সভাপতি কোনো আইন না মেনে ইচ্ছেমতো টাকা ব্যয় করছেন। অনুদানের কোনো সঠিক হিসাব দিচ্ছেন না, স্বেচ্ছাচারিতা করছেন।

সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সেলিনা বেগম শেলী, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য রাফেয়া আবেদীন, সাধারণ সদস্য ভিকারুননিসা চিনু, সাজেদা বেগমসহ অনেকে।

;