রংপুর-৩ আসনে রাজু-সাদ-রিটাসহ ৭ প্রার্থী বৈধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
প্রেস ব্রিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

প্রেস ব্রিফিংয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ও বিধি অনুযায়ী হলফ নামা দাখিল না করাসহ নানা কারণে বিএনপি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থীকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয় প্রার্থীর মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা জি.এম সাহাতাব উদ্দিন এ তথ্য জানান।

রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, ‘মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ৯ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও বিএনপির তিনজনসহ ৭ প্রার্থী বৈধ রয়েছেন। বাকি দুইজনের মধ্যে বিএনপির মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী কাওছার জামান বাবলাকে ঋণ খেলাপি ও বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির একরামুল হকের মনোনয়নে বিধি অনুযায়ী হলফনামা দাখিল না করায় অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’

রংপুর অঞ্চলের এই আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘মনোনয়ন যাচাই বাছাই শেষে আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম রাজু, জাতীয় পার্টির রাহগির আল মাহি সাদ, বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মন্ডল এই ৭ জনের বৈধতা রয়েছে।’

এদিকে, অবৈধ হওয়া প্রার্থীরা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলেও জানান তিনি। প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর। তার ১৮ দিন পর ৫ অক্টোবর হবে ভোটগ্রহণ।

রংপুর সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নিয়ে গঠিত এ আসনের মোট ভোটার রয়েছে ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন এবং ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন নারী ভোটার। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে ইভিএমে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সেই ভোটে ১ লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। এবারও ইভিএমে ভোট হবে। এবারও ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন রিটা রহমান।

   

সকাল ৯টার মধ্যে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কিছুদিন বৃষ্টিপাতের পর গত ২-৩ দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় সিলেট বিভাগে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়েছে। 

শুক্রবার (১৭ মে) রাত সাড়ে ১১টা থেকে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টার মধ্যে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে সন্ধ্যায় দেয়া আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, সিলেটে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এ ছাড়া রাজশাহীতে ৩, নওগাঁর বদলগাছী ও পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ২, বগুড়ায় ১ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় রংপুরেও সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুই এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। 

এর পরের ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। 

;

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের আনন্দ শোভাযাত্রা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে চট্টগ্রামের ওমরগণি এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) নগরীর জিইসি মোড় থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে এম.ই.এস কলেজ ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে যোগ দেয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন বঙ্গবন্ধু বিহীন বাংলাদেশে ফিরে আসে তখন থেকে বাঙালি স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করে বাঙালির সেই স্বপ্নকে নষ্ট করতে চেয়েছিল খুনিরা। কিন্তু শত বাধা,ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন।

'আজকে শেখ হাসিনা মানেই উন্নত বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা মানেই উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই তারুণ্যের চোখে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১৯৮১ সালে আজকের দিনে বিদেশের মাটি থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা স্বদেশে এসে খুনি, স্বৈরাচার জিয়ার রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ঘোষণা করেন, আমার হারানোর কিছুই নাই, এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য আমি লড়াই করবো।'

তারা আরও বলেন, আজ বাংলার মানুষ ভোট এবং ভাতের অধিকার ফিরে পেয়েছে, তলাবিহীন ঝুড়ির দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। সমুদ্র জয় থেকে মহাকাশ জয় শুধু শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং সাহসিকতার জন্য সম্ভব হয়েছে। আজকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে আমরা এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ ধন্য।

শোভাযাত্রায় কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ইমাম উদ্দীন নয়ন, রাকিব হায়দার, নুরুন নবী সাহেদ, আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাজ্জাদ হোসেন, রবিউল ইসলাম খুকু, আব্দুর রাজ্জাক, সাজ্জাদ আলম, নুর মোহাম্মাদ সানি, আওরাজ ভূইয়া রওনক, নুরুজ্জামান বাবু, তৌফিক চৌধুরী প্রমুখ।

;

লালমনিরহাটে নির্মিত হলো দেশীয় প্রযুক্তির প্রথম টার্ন টেবিল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট রেল বিভাগে ব্রিটিশ আমলের প্রযুক্তি সরিয়ে দেশেই তৈরি হলো প্রথম টার্ন টেবিল। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।

ব্রিটিশ আমলে তৈরি করা লালমনিরহাটে রেলের ইঞ্জিন ও কোচ ঘোরানোর টার্ন টেবিলটি প্রায় তিন দশক আগে বিকল হলে তা ব্যবহার বন্ধ করে রেল বিভাগ। তাই ইঞ্জিন বা কোচ ঘোরানোর জন্য ঢাকায় যেতে হত। লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনের সিক লাইন এলাকায় প্রস্তুত দেশে তৈরি এ টার্ন টেবিলটি উদ্বোধন হলে সময় ও অর্থ দু'টোই সাশ্রয় হবে রেলওয়ের।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে দফতর জানায়, রেলের কোচ বা ইঞ্জিনকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর টার্ন টেবিলের ওপর রেখে ঘোরানো হয়। এতে বাঁ দিকের চাকা ডান দিকে, ডান দিকের চাকা বাঁ দিকে চলে যায়। ফলে দুই পাশের চাকা সমানভাবে ক্ষয় হয়। এতে চাকার স্থায়িত্ব বাড়ে ও দুর্ঘটনা ঝুঁকি কমে। ব্রিটিশ আমলে তখনকার কর্মকর্তারা যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে লালমনিরহাটে টার্ন টেবিল প্রস্তুত করেন। যা ১৯৯৩ সালে বিকল হয়ে পড়লে ব্যবহার বন্ধ করে রেলওয়ে দফতর।

'এরপর থেকে লালমনিরহাট বিভাগের কোচ ও ইঞ্জিন ঘোরানোর জন্য কোচ ও ইঞ্জিনগুলো কয়েক মাস পর পর ঢাকায় নেয়া হত। যাতে সময় ও অর্থ অপচয় হত। তাই দেশেই টার্ন টেবিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে। লালমনিরহাটে সিক লাইন এলাকায় এটি নির্মাণের জন্য ৯শতক জমি নেয়া হয়। নির্মাণে বরাদ্দ দেয়া ২৫ লাখ টাকা। বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) নকশা ও প্রযুক্তিতে এ টার্ন টেবিলটি তৈরি হয়েছে। নির্মাণকাজ শুরু হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আর শেষ হয়েছে গত মার্চ মাসে। খুব শীঘ্রই এটি উদ্বোধন করা হবে।

বিভাগীয় রেলওয়ে দফতরের প্রকৌশলী (ক্যারেজ অ্যান্ড ওয়াগন) তাসরুজ্জামানের (বাবু) বলেন, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এ টার্ন টেবিলের কার্যকারিতা সফলভাবে যাচাই করা হয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত প্রথম টার্ন টেবিল। ৩৫০ টন ওজনের ভার বহনে সক্ষম এ টার্ন টেবিলে ১৪ টন ওজনের একটি ব্রিজ রয়েছে। এটি এই যন্ত্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর ওপরে ইঞ্জিন ও কোচ তুলে ঘোরানো হয়। স্থাপনাটির তিন ধাপে পাকা দেয়াল রয়েছে, যা সীমানা প্রাচীর, সুরক্ষা প্রাচীর ও লাইন দেয়াল নামে পরিচিত। এর মেঝে আরসিসি ঢালাই দেওয়া। এতে পানি জমলে পানির পাম্প দিয়ে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, টার্ন টেবিলটি নির্মাণে ৩৫০ টন ভার বহনে সক্ষম একটি রোলার থ্রাস্ট বিয়ারিং, আটটি এক্সেল বিয়ারিং, ব্রিজ নির্মাণের জন্য এমএস লোহার তৈরি এইচবিম, অব্যবহৃত রেললাইন, ট্রেনের অব্যবহৃত চারটি চাকা, এমএস টপ প্লেট, চেকার প্লেট, বলস্টার প্লেট, এমএস অ্যাঙ্গেল ও জিআই পাইপের রেলিং ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি মাসের শেষ দিকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আবদুস সালাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সম্পূর্ণ দেশি প্রযুক্তিতে স্বল্প সময়ের মধ্যে স্বল্প টাকা ব্যয়ে টার্ন টেবিলটি নির্মিত হয়েছে। এতে অব্যবহৃত লাইন, চাকাসহ অন্য লৌহজাত নির্মাণ উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। রেলের কর্মকর্তারা সব সময় নিজেদের মেধা দিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেন। এটি তার উদাহরণ।

;

ফেনীতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়াতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৮ টার দিকে ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখেন, ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।

এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন এবং নেতাকর্মীদের বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এম মোস্তফার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল বাশার মজুমদার তপন, কার্যনির্বাহী সদস্য ও ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মজুমদার, উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার।

ছাগলনাইয়া পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় ছাগলনাইয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বুলবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মুজিব,অর্থ সম্পাদক মোস্তফা ফরায়েজী, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক আবদুল বাকি শিমুল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এড.এএসএম সহিদ উল্যাহ মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাস্টার ফিরোজ উদ্দিনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম বলেন, রাজনীতিকে সহজ করতে হবে। রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করতে অনেক টাকা খরচের ধারা পরিবর্তন করতে হবে। একটি সমাবেশ করতে গিয়ে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা খরচ করতে হয়, প্যান্ডেল খরচ, নাস্তা খরচ দিতে হয় এসব ধারা আমি বাদ দিতে চাই। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে আমি রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করব, প্রয়োজনে চা-মুরি-মিঠা খাব সবাই একসাথে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, মানুষকে রাজনীতিমুখী করতে হবে, নির্বাচনমুখী করতে হবে। নেতা হয়ে চেয়ারে বসে থাকলে হবেনা, জনগণের ধারে ধারে যেতে হবে। গুন্ডা ও ক্ষমতাশীল নেতা পালতে হবে এটা আমি বিশ্বাস করিনা। কর্মের মাধ্যমে জনগণের মনে জায়গা করে নিতে হবে। কোন নেতার উল্টাপাল্টা কাজের দায়িত্ব আমি নেব না, যখন যেখানে ব্যবস্থা নেয়ার দরকার সেখানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, কোনো নেতার আদর্শে নয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে মনের মিল রেখে রাজনীতি ও সমাজ উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।

;