শিশু নওশিনের প্রশ্ন, ‘বাবা তোমার হাত নেই কেন?’



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বাবা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ইলিয়াস নোমানের কোলে শিশু নওশিন

বাবা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ইলিয়াস নোমানের কোলে শিশু নওশিন

  • Font increase
  • Font Decrease

৫ বছর বয়সী শিশু সন্তান ইসরাত জাহান নওশিন, পঙ্গু বাবার পাশে বসে ঢুকরে কাঁদছে। ফ্যালফ্যাল দৃষ্টিতেও তাকিয়ে থাকে শয্যাশায়ী বাবার দিকে। ক্ষণে ক্ষণে প্রশ্ন করে, বাবা তোমার একটি হাত নেই কেন?

সন্তানের এমন প্রশ্নের কোন উত্তর জানা নেই হতভাগ্য ইলিয়াস নোমানের। ডান হাতে সন্তানকে বুকে নিয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন তিনি! বলতে থাকেন, মামনি ওরা আমাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। আমার আল্লাহ করবেন ওদের বিচার! বাবা-কন্যার এমন আবেগঘন সংলাপে কিংকর্তব্যবিমূঢ় স্ত্রী মাহমুদা আক্তার।

জীবন নামের বহতা নদীর মাঝপথে এসে চিরদিনের জন্য স্বামীর এক হাত হারানোর কঠিন বাস্তবতা যেন তাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে।

বলা হচ্ছে ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ইলিয়াস নোমানের (২৯) কথা। সপ্তাহ দুয়েক আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকায় স্থানীয় যশরা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সুমনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীর নৃশংস হামলার শিকার হন তিনি। এখন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালের ২১৭ নম্বর কেবিনের বিছানায় ঠাঁই হয়েছে তার।

নোমান প্রধানমন্ত্রীর প্রয়াত বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিলের চাচাতো বোনের ছেলে ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকার নাতি।

সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার শিকার ইলিয়াস নোমান

 

নিজ গ্রামের পাশের খোদাবক্সপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের নাম করে নিরীহ প্রায় ৩০ জন গ্রামবাসীর কাছ থেকে যুবলীগ নেতা সুমন সিন্ডিকেট দুই লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সেই টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ এবং গ্রামবাসীকে বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে সহায়তা করায় ওই সন্ত্রাসীদের নিষ্ঠুরতার শিকার হয়েছেন রাজনীতির পাশাপাশি ঠিকাদারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত ইলিয়াস নোমান।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে আলাপে কাঁদতে কাঁদতে ইলিয়াস নোমান বলেন, ‘ওদের অনেক মিনতি করে বলেছি, আমার সন্তান আছে। আমাকে মেরো না। ওরা শুনেনি। ওরা আমাকে হত্যা করতেই সারা শরীরে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে। আমার বাম হাত কেটে নিয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবেই ওরা সটকে পড়েছে। আমার চিৎকারেও কেউ এগিয়ে আসেনি।’

কী ঘটেছিল সেদিন, সেই বর্ণনা জানতে চাইলে নিজেকে স্বাভাবিক করে ইলিয়াস নোমান বলেন, ‘গত সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) গফরগাঁও উপজেলার শিবগঞ্জ বাজার এলাকার পাশের একটি বাঁশঝাড়ে সন্ত্রাসীরা তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। আমি শিবগঞ্জ বাজার থেকে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলাম’।

ওই এলাকার একটি বাঁশঝাড়ের কাছে আসার পর পরই আমাকে লক্ষ্য করে ওরা ঢিল ছুঁড়তে থাকে। সেই ঢিলে আমি মোটরসাইকেল থেকে মাটিতে পড়ে যাই। তাৎক্ষণিক চাপাতি, রামদা, লোহার পাইপ ও রড দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করে তারা। ওদের এলোপাতাড়ি কোপ আমার হাতে-পায়ে ও মুখে লাগে।

আমি বেঁচে আছি না কী মরে গেছি সেটাই বুঝতে পারছিলাম না। এরপর সন্ত্রাসী রাকিব, সুমন, ফয়সাল, মাহফুজ, ওলাদসহ ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী চাপাতি ও রামদা দিয়ে আমার সারা শরীরে কোপাতে থাকে। এরপর তাঁরা আমার বাম হাতে রামদা দিয়ে কয়েকটি কোপ দিলে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। জ্ঞান ফিরে দেখি আমার বাম হাত আর নেই।’

খোদাবক্সপুর গ্রামের বাসিন্দাদের মুখে হাসি ফোটাতে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, গ্রামকে আলোকিত করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছিলেন। সেই গ্রামে এখন আলোকিত হয়ে উঠেছে ঠিকই। কিন্তু ইলিয়াস নোমানের পরিবারের আলো যেন নিভে গেছে নিমিষেই। তাদের চোখে-মুখে এখন অনিশ্চিত ভবিষ্যত।

জীবনের এমন কঠিন বাস্তবতায় সেই খুশির খবর ইলিয়াস নোমানের কণ্ঠে, বলেন, ‘ওরা আমাকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমি হাত হারালেও খোদাবক্সপুর গ্রামের বাসিন্দারা বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছেন।’

সংকটাপন্ন ইলিয়াস নোমান জানান, সেদিন তাকে প্রথমে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর তাঁর বাম হাত কেটে ফেলা হয়েছে।

তিনি বলেন ‘এ ঘটনার পর আমার স্ত্রী মাহমুদা আক্তার সন্ত্রাসী সুমনসহ ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু রহস্যজনক কারণে পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করছে না। আমি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। যাতে করে ওরা আর কারো জীবনে এমন ক্ষতি করতে না পারে।’

এ বিষয়ে গফরগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অনুকূল সরকার বলেন, ‘ঘটনাটি ঘটার পর আমি এই থানায় যোগদান করেছি। ঠিক কী কারণে এ ঘটনাটি ঘটেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মামলা দায়েরের পর ইতোমধ্যেই সারোয়ার জাহান ওরফে ধনু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যরা পলাতক রয়েছেন। তাদেরকেও গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

   

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;

আরসার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে: র‌্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার বিরুদ্ধে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোন প্রকার তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটা আতঙ্কের নাম আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই আরসা গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকানণ্ড অপহরণসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত। এর আগে আমরা নানা ধরনের অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ১১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেফতার করেছি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরঞ্জামাদী উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাবের অব্যাহত নজরদারি, গোয়েন্দা তাৎপরতা অভিযানের প্রেক্ষিতে আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। পাশের দেশ থেকে অস্ত্র আসছে এমন গোয়েন্দা তথ্য থেকে আমরা গতকাল অভিযান চালিয়ে দুইজন কে গ্রেফতার করেছি।

আরাফাত বলেন, আরসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষ্ক্রিয় রাখতে আমরা স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি। আমরা তাদের ট্র্যাকিং করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যখনই কোন তথ্য পাচ্ছি আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

গত বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার গহিন পাহাড়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এ অভিযানের সময় আরসা কমান্ডার মাস্টার সলিমুল্লাহ (৩৮) এবং তার সহযোগী মো. রিয়াজকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

;

উত্তরা, উত্তরখান এলাকায় শনিবার গ্যাস কম থাকবে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
উত্তরা, উত্তরখান এলাকায় শনিবার গ্যাসের কম থাকবে

উত্তরা, উত্তরখান এলাকায় শনিবার গ্যাসের কম থাকবে

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্যাস পাইপলাইনে নির্মাণের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণ খান এলাকায় গ্যাস সরবরাহ কম থাকবে।

শুক্রবার (১৭ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

এতে বলা হয়েছে, শনিবার সকাল ৯টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ১৫ ঘণ্টা উত্তরা, উত্তরখান, দক্ষিণ খান ও এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করবে। গ্রাহকবৃন্দের সাময়িক অসুবিধার জন্য তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

;

চিংড়ি ঘেরে মিলল ২ মরদেহ, শর্ট সার্কিট দিয়ে হত্যার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে চিংড়ি ঘের থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর জানায় স্থানীয়রা।

শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১১ টায় খুরুশকুল মনুপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের পাশে এ মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখেছে স্থানীয় লোকজন।

নিহতরা হলেন, খুরুশকুল মনু পাড়া এলাকার বাসিন্দা জামালের ছেলে আবদুল খালেক (২৫) এবং আবু তাহেরের ছেলে মো. ইয়াছিন। উভয়ের বাড়ি খুরুশকুল মনু পাড়া এলাকায়। তারা দুইজনে পেশায় মৎস্যজীবী বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

খুরুশকুলের চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। মরদেহ দুটি প্রত্যক্ষ করে দেখেছেন তাদের শরীরে একাধিক বৈদ্যুতিক শর্টের চিহ্ন রয়েছে। তারা দুইজন মনুপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানান তিনি।

নিহত ইয়াছিন আরাফাতের মা জানিয়েছেন, তার ছেলে গতকাল রাত ১০টার সময় বাড়ি থেকে বের হয়। আজকে সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। তবে কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান তিনি। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে ছেলে হত্যার সঠিক বিচার দাবি করেন তিনি।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তাদের গায়ে মারধরের এবং বৈদ্যুতিক শর্টের আঘাত রয়েছে। কে বা কারা তাদের মেরে ফেলে রেখেছে সেই বিষয়ে এখনো কেউ কিছু বলছে না।

তবে চেয়ারম্যান শাহজাহান সিদ্দিকী এবং সেখানকার ইউপি সদস্য নাসির উদ্দীনের দাবি সাবেক ইউপি সদস্য শামসুল হুদার মাছের ঘেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ এর শর্ট সার্কিট দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) শাকিল হাসান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজনের পায়ে এবং আরেকজনের বাঁ হাতের নিচে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের পর হত্যার মূল কারণ জানা যাবে।

;