পুলিশ চাঁদা খেয়ে রাস্তায় দোকান বসাবে না: ডিএমপি কমিশনার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হকার উচ্ছেদ নিয়ে একে অপরের দোষারোপের বিষয় স্বীকার করলেন মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। তারা বলেন, কাউন্সিলররা বলেন পুলিশ চাঁদা খেয়ে দোকান বসান আর পুলিশ বলেন রাজনৈতিক নেতারা চাঁদা খেয়ে দোকান বসান।

এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, আপনারা (রাজনীতিবিদরা) যদি আমাদের সঙ্গে থাকেন এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারি পুলিশ চাঁদা খেয়ে রাস্তায় দোকান বসাতে পারবে না।

 হকার্সদের জন্য হকার্সমার্কেট করতে হবে বলে মন্তব্য করেন ডিএমপি কমিশনার

 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নগর ভবনের মেয়র ফ্লোরে এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল হাই, ডিএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক বিভাগ) মফিজ উদ্দিন আহমেদ, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আমি খুব বেশি কথা বলি না, কম কথা বলি। আপনারা (কাউন্সিলর, রাজনীতিবিদরা) যদি চান ফুটপাতে কেউ থাকবে না, তাহলে কেউ থাকবে না। যদি আমাদের সঙ্গে থাকেন এটুকু নিশ্চয়তা দিতে পারব পুলিশের কেউ চাঁদা খেয়ে রাস্তায় দোকান বসাতে পারবে না। বাস্তবতা হল একজন আরেকজনকে দোষ দিচ্ছেন, পুলিশ বলেন- কাউন্সিলর এবং রাজনৈতিক লোক চাঁদা নিচ্ছে। অন্যদিকে হকারদের জিজ্ঞেস করলে প্রকাশ্যে সে কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতে সাহস পায় না, কারণ সে জানে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে পেটে লাথি পড়বে, আবার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে বললেও একই অবস্থা হবে। সেই ভয়ে তারা নীরবে চাঁদা দিচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একটি সিদ্ধান্তে আসতে হবে। হকার্সদের জন্য হকার্সমার্কেট করতে হবে। এখন দেখা যায় হকার্স মার্কেটে যাদের দোকান আছে তারা কোটিপতি।

হকারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শহরে এমন কোনো মোড় নেই যেখানে বাস থামে অথচ হকারদের দখল নেই। রাস্তা বানানো হয়েছে মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের জন্যে। ফুটপাত দিয়ে মানুষ চলবে। ব্যবসা করার জন্য তো ফুটপাত না। উচ্ছেদ করা হলে বলবে ফুটপাত থেকে তুলে দিলে আমার সন্তানের কি হবে? আমি তাদের বলতে চাই আপনার সঙ্গে কি সরকারের বা সিটি কর্পোরেশনের চুক্তি ছিল যে ফুটপাত বসিয়ে ব্যবসা করার সুযোগ দেব?

   

বাসাবোতে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর সবুজবাগ থানার বাসাবো এলাকায় নির্মাণাধীন ১০ তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে দুই শ্রমিকের মৃত্যুর পর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়।

নিহত শ্রমিকরা হলেন- আলতাবুর, অন্তর ও মফিজুল। সর্বশেষ মুক্তা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মফিজুল।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা।

তিনি বলেন, বাসাবো একটি নির্মাণাধীন ১০ তলা পবন থেকে পড়ে আলতাবুর ও অন্তর সকালে মারা যান। এ ঘটনায় শ্রমিক মফিজুল গুরুতর আহত হলে তাকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। এখানে তিনি দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত মফিজুলের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আলতাবুর ও অন্তরের মরদেহ আগেই দাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল ১০টা দিকে বাসাবোর ৭ নম্বর মায়াকানন মসজিদের পেছনে ১০ তলা ভবনের উপর থেকে পড়ে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়। নিহতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

;

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা হত্যাকাণ্ডের আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়িতে ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার হত্যাকাণ্ডের অজ্ঞাত থাকা আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, নিহত ঈশ্বরী বালা ত্রিপুরার গলা ও কানে পরিধেয় স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হওয়ার ভয়ে তাকে খুন করে পূর্ব পরিচিত বিবেকানন্দ ত্রিপুরা। প্রথমে কিল-ঘুষি মারার পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় তাকে। এরপর মরদেহ গুম করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, বুধবার (১৫ মে) মরদেহ উদ্ধারের পর অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। মামলা গ্রহণের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে পানছড়ি উপজেলার লোগাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময়ে ধরা পড়ে।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ওসি তানভীর হাসান সংবাদ সম্মেলনে বলেন,  প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে আসামি এবং স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে স্বর্ণালংকারও উদ্ধার করা হয়েছে। আসামি আর্থিক দায়গ্রস্ত থাকায় স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু ঈশ্বরী ত্রিপুরা বিষয়টি জানিয়ে দিবেন বলায় ভয়ে তাকে হত্যা করে। 

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল চার্জ দিয়ে ফেরার পথে নিখোঁজ হন ঈশ্বরী ত্রিপুরা। নিখোঁজের ৫ দিন পর জেলা সদরের ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের কলাবন নামক এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

;

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

রংপুরে সিলগালা সিগারেট ফ্যাক্টরিতে চোরের উৎপাত, অতিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর নগরীর রবার্টসনগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত সিলগালা করা গোল্ডস্টার সিগারেট ফ্যাক্টরির যন্ত্রাংশ চুরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় চিহ্নিত ২জনকে আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে সহযোগী করে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার মিথুন রায়।

এজাহার ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আলমনগর কলোনী এলাকার বাসিন্দা অসি মিয়া ও ৩ নং ইস্পাহানী ক্যাম্প এলাকার হোসেন আলী অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ মিলে গত ১৫ই মে গভীর রাতে ফ্যাক্টরির পিছনের দেয়াল টপকে ১৯টি মেশিনারিজ যন্ত্রাংশ চুরি করে যাওয়ার পথে ওই এলাকার বাসিন্দা হালিম, জামিল ও হানিফ মিয়া তাদের আটক করে। এতে ওই চোরেরা উল্টো ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত ভাবে তাদেরকেই মারধর করে ৮ টি যন্ত্রাংশ ফেলে বাকি ১১টি দামি যন্ত্রাংশ নিয়ে চলে যায়। ওই ফেলে যাওয়া চুরির মালামাল নৈশপ্রহরী জব্দ করে ফ্যাক্টরীতে রাখে। পরবর্তীতে ওই চোরেরা দলবদ্ধ হয়ে ফেলে রেখে যাওয়া চুরির মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অতর্কিত ভাবে ফ্যাক্টরীর ভিতরে ঢুকে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী ও তার স্ত্রী হাসনা হেনা বেগমকে মারধর করে এবং খুন জখম করার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।

এ বিষয়ে নৈশপ্রহরী ইউনুস আলী বলেন, তারা প্রায় রাতেই আমাকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছুড়ে, আমার পরিবারের সদস্যদের অকারনে গালিগালাজ করে। ঘটনার দিন চুরি করা মালামাল ছিনিয়ে নিতে এসে তারা বেধরক ভাবে আমাকেসহ আমার স্ত্রীকে মারডাং করে এবং যে ভাবে হুমকি দিয়ে গেছে তাতে আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ ঘটনায় অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মিথুন রায় বলেন,এই প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা হওয়ার পর থেকে চোরদের উৎপাতে অরক্ষিত হয়ে উঠেছে ফ্যাক্টরীটি। প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন কৌশলে তারা চুরি করে যন্ত্রাংশ। এভাবে খুব ভোগান্তিতে আছি আমরা।

এর আগেও তারা কয়েকবার চুরি করতে এসেছিল। একারনে প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের কাছে হতে হয় লাঞ্চিত। সম্প্রতি চুরি ও সন্ত্রাসী তান্ডবের ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছি।

এবিষয়ে আরপি এমপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোন্তাসের বিল্লাহ এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

;

আরসার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে: র‌্যাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার বিরুদ্ধে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। কোন প্রকার তথ্য পেলেই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে এক প্রশ্নের উত্তরে র‌্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটা আতঙ্কের নাম আরসা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। এই আরসা গোষ্ঠী বিভিন্ন সময়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে হত্যাকানণ্ড অপহরণসহ নানান অপরাধের সাথে জড়িত। এর আগে আমরা নানা ধরনের অভিযান পরিচালনা করে এখন পর্যন্ত ১১০ জন আরসা সদস্যকে গ্রেফতার করেছি এবং বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্র সরঞ্জামাদী উদ্ধার করেছি।

তিনি আরও বলেন, র‍্যাবের অব্যাহত নজরদারি, গোয়েন্দা তাৎপরতা অভিযানের প্রেক্ষিতে আরসা নেতৃত্ব শূন্য হয়ে যায়। পাশের দেশ থেকে অস্ত্র আসছে এমন গোয়েন্দা তথ্য থেকে আমরা গতকাল অভিযান চালিয়ে দুইজন কে গ্রেফতার করেছি।

আরাফাত বলেন, আরসার এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে নিষ্ক্রিয় রাখতে আমরা স্থানীয় থানা এবং সংশ্লিষ্টদের সাথে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি। আমরা তাদের ট্র্যাকিং করছি এবং তাদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমরা যখনই কোন তথ্য পাচ্ছি আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

গত বুধবার ভোর রাতে কক্সবাজারের উখিয়ার গহিন পাহাড়ে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) আস্তানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্র, গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার করেছে র‍্যাব। এ অভিযানের সময় আরসা কমান্ডার মাস্টার সলিমুল্লাহ (৩৮) এবং তার সহযোগী মো. রিয়াজকে (২৭) গ্রেফতার করা হয়। তারা দুজনই মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।

;