পেঁয়াজের বাজারে ভূত, ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
আড়তে পেঁয়াজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

আড়তে পেঁয়াজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাইকারি ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে গলির খুচরা ব্যবসায়ীরা যে যেভাবে পারছেন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন। অধিকাংশ ব্যবসায়ী ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন। তবে অনেকের দাবি, মজুতদারদের সিন্ডিকেট কৃত্রিম সংকট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে।

রাজধানীর রায়ের বাজারের ব্যবসায়ী ইকবাল হোসাইন জানান, গত ১৩ সেপ্টেম্বর তিনি ৪২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছেন। আর মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ৫৫ টাকা দরে। ফলে পরিবহন খরচসহ এক মণ পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে ২ হাজার ২৮০ টাকায়। আর রাতে তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন ৬০ টাকা কেজি দরে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কারওয়ান বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে। একই চিত্র শুক্রাবাদ ও ঝিগাতলা কাঁচাবাজারে।

কারওয়ান বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, চাহিদার তুলনায় যোগান কম থাকায় দাম বাড়ছে। তারা প্রতি মণ পেঁয়াজ কিনছেন ২৪০০-২৫০০ টাকায়। সঙ্গে পরিবহন খরচ ও পচা পেঁয়াজের দাম সমন্বয় করে চূড়ান্ত দাম নির্ধারণ করতে হয়।

তবে রায়ের বাজার ও কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মণ প্রতি পেঁয়াজের দামের পার্থক্য ২০০-৩০০ টাকা।

পেঁয়াজের বাজারে ভূত, খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, একই বাজারের বিভিন্ন দোকানে একেক দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম ৬০-৭০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ আছে।

রায়ের বাজার কৃষি মার্কেটের পেঁয়াজের আড়তদার মিজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আসে ভারত থেকে। ফলে আমাদের পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ করে ভারত। আমাদের নিজস্ব উৎপাদন শেষের দিকে। এখন ভারত কেজি প্রতি ৭-৮ টাকা দাম বাড়িয়েছে।'

অনেক দিন ধরে ভারত থেকে নতুন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে না। তাহলে পুরাতন দামে কেনা পেঁয়াজ হুট করে কেন বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আসলে আমদানি একেবারে বন্ধ ছিল না বরং কম আমদানি হচ্ছিল। ফলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।'

পেঁয়াজের বাজারে ভূত, খুশি মতো দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমবে- বাণিজ্য সচিবের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, 'ভোমরা, হিলিসহ সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাহলে কীভাবে পেঁয়াজের দাম কমবে, সেটা আমার বোধগম্য নয়।'

সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের আমদানিকারক কালু মিয়া জানান, গতকালের চেয়ে আজ পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৮-১০ টাকা বাড়তি ছিল। নাসিক পেঁয়াজ ৫১-৫২ টাকা, পাবনার পেঁয়াজ ৪৮ টাকা এবং সাউথ ব্যাঙ্গালুরের পেঁয়াজ ৫৩-৫৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছেন।

তবে আড়তদার ও আমদানীকারদের একজনের তথ্যের সঙ্গে আরেকজনের তথ্যের মিল পাওয়া যায়নি। যে যেভাবে পারছেন পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছেন এবং যেমন দাম রাখছেন সে তেমন করেই কথা বলছেন।

রায়ের বাজারের এক আড়তদার জানান, দেশি হোক আর ইন্ডিয়ান হোক নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত ৭০ টাকা কেজি দরে কিনে খেতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকার এক পাইকারি ব্যবসায়ীর সহযোগী জানান, মজুদ ব্যবসায়ীদের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। এখন অফ সিজন তাই বাজারে পেঁয়াজ কম। এই সুযোগে যারা পেঁয়াজ স্টক করে রেখেছিলেন তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

   

যশোরে তিন উপজেলা নির্বাচনে বিজয়ী যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৬ষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে যশোরের ঝিকরগাছা, শার্শা ও চৌগাছায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে শুরু হয় এ ভোট গ্রহণ, বিরতিহীন ভাবে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এ নির্বাচনে তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৩১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ভোট গ্রহণ শেষে এদিন রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলাগুলোর দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

চৌগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম হাবিবুর রহমান। আনারস প্রতীকে তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৫৬৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ড. মোস্তানিছুর রহমান পেয়ছেন ২৮ হাজার ৯৮০ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা খাতুন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আকলিমা খাতুন লাকি পেয়েছেন ১৫ হাজার ৩৯০ ভোট। আগেই বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক মোঃ শামিম রেজা নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় আজ দুটি পদে ভোট গ্রহণ করা হয়।

নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুম্মিতা সাহা রাত সাড়ে নয়টায় এই বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন।

ঝিকরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম। আনারস প্রতিকে মনিরুল ইসলাম পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেলিম রেজা ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৪৪৩ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাংবাদিক সৈয়দ ইমরানুর রশীদ ৪১ হাজার ১৪৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তালা প্রতিকের মো. কামরুজ্জামান মিন্টু পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯৫৬ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জেসমিন সুলতানা ২৪ হাজার ৪৬৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাঁস প্রতিকের আমেনা খাতুন পেয়েছেন ১৬ হাজার ৪৮২ ভোট। সহকারি রিটানিং কর্মকর্তা ও ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র পাল এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

শার্শা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মো: সোহরাব হোসেন দোয়াত কলম প্রতীক নিয়ে ৩৭ হাজার ৫৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: অহিদুজ্জামান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২ হাজার ২৯১ ভোট। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: আব্দুর রহিম সরদার তালা প্রতীক নিয়ে ২২ হাজার ৯৮৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের শফিকুল ইসলাম মন্টু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৫১ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে কলস প্রতীকের মোছা: শামীমা খাতুন ৪২ হাজার ৬২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: আলেয়া ফেরদৌস হাসঁ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৭ হাজার ৭২৯ ভোট। মঙ্গলবার রাতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নয়ন কুমার রাজবংশী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

;

চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, ৭ জনের কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণকালে বিভিন্ন অপরাধের দায়ে ৭ জনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছেন মোবাইল কোর্ট। নির্বাচন কাজে।

মঙ্গলবার (২১ মে) নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

মোবাইল কোর্ট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নাঈমা জাহান সুমাইয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের রুইথনপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রিপনকে (৩১) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির দায়ে দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করেন।

এরপর বিকেল চারটায় আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের খাজমত আলীর ছেলে কায়েম আলীকে (৬২) নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১ (চ) ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই সময় একই উপজেলা ও গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আতিউল্লাহকে (৬২) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, একই গ্রামের ঈশার উদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে আজিবর রহমানকে (৫৫) একই ধারায় ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও হারেজ উদ্দীনের ছেলে মুনতাজ আলীকে (৫৫) ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এদিকে, জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মো. রাসেল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আলমডাঙ্গা উপজেলার ভাংবাড়ীয়া ইউনিয়নের বগাদী ভোট কেন্দ্রে ভোগাইল বগাদী গ্রামের আনাবুল ইসলামের ছেলে সুজনকে (২৬) সরকার কর্তৃক জারিকৃত যথাযথ আদেশ অমান্য করে কেন্দ্রের পাশে শোডাউন ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য দণ্ডবিধি ১৮৮ ধারায় ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হাসিনা মমতাজ নির্বাচনে অন্যায় প্রভাব প্রয়োগের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর গ্রামের মৃত রবজেল হোসেনের ছেলে রাশেদুল ইসলাম আব্দুল্লাহকে (৪৯) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১(চ) ধারায় ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের পুলিশের সহায়তায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

নোয়াখালীর তিন উপজেলায় আওয়ামী লীগ নেতাদের বিজয়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে নোয়াখালীর তিনটি উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে জয়ী ব্যক্তিদের তিনজনই আওয়ামী লীগের নেতা।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে বেসরকারিভাবে এই ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শারমিন আরা। এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এসব উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোট গ্রহণ করা হয়।

সেনবাগ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহ্বাজ মোরশেদ আলমের ছেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাইফুল আলম দিপু আনারস প্রতীকে ৩২ হাজার ১৩২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সেনবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী মো.আবু জাফর টিপু পেয়েছেন ১৪ হাজার ৭৩৪ ভোট।

চাটখিল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির দোয়াত কলম প্রতীকে ৬৫ হাজার ৬৬৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জেড এম আজাদ খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৫ হাজার ২৬৭ ভোট।

অপরদিকে, সোনাইমুড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাবুল আনারস প্রতীকে ৭৭ হাজার ১৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো.মোমিনুল ইসলাম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৭৮১ ভোট।

উল্লেখ্য, কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেন চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান ।পরে দুপুর দেড়টার দিকে আজাদ খানের বাড়ির সামনের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করে। ওই সময় ইসি ও প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরকে ব্যঙ্গ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা। ওই সময় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে। সোনাইমুড়ীতে জাল ভোটে সহযোগিতার দায়ে ৬ নির্বাচন কর্মকর্তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং জাল ভোট দেওয়ার দায়ে ২জনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।

;

কসবায় স্বপন ও আখাউড়ায় মনির নির্বাচিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলার কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনির হোসেন বেসরকারিভাবে নির্বাাচিত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে রিটার্নি অফিসার এই ফলাফল ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল সকাল ৮ থেকে বিকেল ৪ পর্যন্ত একটানা আখাউড়া ও কসবা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এরমধ্যে কসবা ও আখাউড়ায় বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে।

কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকে ৮৫ হাজার ৯৩০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক সহকারী একান্ত সচিব রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া জীবন আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ৩৯ হাজার ৯৫৭ ভোট। তিনি কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এদিকে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে মনির হোসেন চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীকে ২৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেন ভূঁইয়া আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৩ ভোট।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম দুই উপজেলার দুইজন চেয়ারম্যানের এই ফলাফল সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

;