মহিলা বাসে দুর্ভোগের যাত্রা



নাজমুল হাসান সাগর, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম ঢাকা
মহিলা বাস সার্ভিস, নারীদের ভোগান্তির যাত্রা

মহিলা বাস সার্ভিস, নারীদের ভোগান্তির যাত্রা

  • Font increase
  • Font Decrease

সময় গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিট। রাজধানীর ফার্মগেটের ওভার ব্রিজের নিচে বিভিন্ন বাসের কাউন্টার ও ফাঁকা জায়গায় অসংখ্য যাত্রী দাঁড়িয়ে ছিলেন বাসের অপেক্ষায়। সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় সবার মাধ্যে কর্মস্থলে পৌঁছানোর তাড়া ছিল। এক একটা গাড়ি যাত্রী বোঝাই করে আসছে, স্টপেজে কয়েকজনকে নামিয়ে আরও নতুন যাত্রী তুলে চলে যাচ্ছে। ভিড় থাকায় অনেকেই আবার গাড়িতে উঠতেও পারছেন না। এমন পরিস্থিতিতে বেশি বেকায়দায় পড়েন নারী যাত্রীরা।

ওইদিন ফার্মগেটের পুলিশ বক্সের ধারে বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়, দুই নারী যাত্রীকে। তাদের সাথে কথা বলে জানা গেল, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তারা। সুযোগ থাকা সত্ত্বেও অনেক গাড়িতেই তারা উঠলেন না। কৌতুহল নিয়ে কারণ জানতে চাইলে সামান্তা নামে এক নারী বলেন, ‘আমরা বিআরটিসি মহিলা বাসের নিয়মিত যাত্রী। ওই বাসের অপেক্ষা করছি।’

সাথে থাকা অন্তি আজমিরা জানালেন, সকাল আটটা ত্রিশ মিনিটে বাস আসার কথা থাকলেও ৮টা ৫০ পার হচ্ছে, এখনও বাস আসেনি। তাই বাস না আসলে অন্য বাসেই অফিসে যেতে হবে।

পাশে থাকা কয়েকজন নারী যাত্রীরা জানান, প্রায় দিনই মহিলা সার্ভিসের বাস বিশ মিনিট দেরিতে আসে। অনেক সময় অন্য বাসে অফিসে যাওয়া লাগে। মতিঝিলগামী সরকারি কর্মচারী ঝর্ণা আক্তার বলেন, ‘গাড়ি আসলেও কখনো কখনো অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে বাসে ওঠা যায় না। আবার কখনও কখনও গাড়িতে ভিড় না থাকায় একমাত্র যাত্রী হয়ে মতিঝিল গিয়েছি। অনেকদিন ধরে এই গাড়িগুলো চলছে। প্রায় সব বাসই ধীর গতির হয়ে গেছে। তাছাড়া গাড়িতে ফ্যান না থাকায় গরমে যাতায়তে কষ্ট হয়। আর গ্লাস ভাঙা থাকায় বৃষ্টির পানিতে ভিজে যেতে হয়।’

এরই মধ্যে আটটা বেজে আটান্ন মিনিটে একটি ‘মহিলা বাস’ এসে থামে ফার্মগেটে। ওই বাসে আগে থেকেই যাত্রী বেশি থাকায় অল্প সংখ্যক যাত্রী নিয়েই রওনা করে দ্রুত। অনেকেই উঠতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে অন্য গাড়ি ধরে চলে যান। আবার অনেকে অপেক্ষা করেন দ্বিতীয় বাসের জন্যে। ৯টা ১৫ মিনিটে দ্বিতীয় বাসটি অর্ধেক ফাঁকা আসন নিয়ে এসে দাঁড়ায়। এসময় মাত্র তিনজন যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে রওনা করতে হয় বাসটিকে।

সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ১২টি বিআরটিসি আর বেসরকারিভাবে পরিচালিত দোলনচাঁপাসহ মোট ১৬টি বাস নারীদের জন্য বিশেষ সেবা দেয়। এর মধ্যে বিআরটিসি’র মিরপুর-১২ নাম্বার ডিপোতে মহিলা কন্ডাক্টর না থাকায় সেবা বন্ধ, মোহাম্মপুরের বাস দুটিতে ছোট বাচ্চা নিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে, মতিঝিল ডিপোর ৫টি বাসে মোটামুটি সেবা দেওয়া হয়। তবে মাঝে মাঝে মহিলা কন্ডাক্টর না আসায় সেবা বন্ধ রাখতে হয়। তবে কল্যাণপুর ডিপোর বাস দুটি নিয়মিত চলে। আর জোয়ারসাহারা ডিপোর বাস দুটিও মহিলা কন্ডাক্টরের অভাবে বন্ধ আছে।

যাত্রীদের অভিযোগ আর ভোগান্তির বিষয়ে কল্যাণপুর ডিপো থেকে আজিমপুর রোডে চলাচল করা ‘মহিলা বাস সার্ভিসে’র চালক জয়নাল আবেদিন বলেন, ‘প্রথমত মহিলা বাস সার্ভিস সরকারের একটি লস প্রজেক্ট। তাই এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্টরা উদাসীন। অফিস শুরু ও শেষের সময় শুধু এই সেবা দেওয়া হয়। মূলত যানজটের কারণে টাইমিং মিস করি। ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এমনকি আমাদেরও সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ মহিলা যাত্রী না পাওয়ায় ফাঁকা গাড়ি নিয়েই যেতে হয়। আর গাড়ি ফাঁকা গেলে এটার রাজস্ব কন্ডাক্টরকে পরিশোধ করতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি গাড়ির জন্যে দিনে ১৮০০-৩৬০০ টাকার রাজস্ব দিতে হয়। তাছাড়া টাইমিং মেলানোর জন্য দ্রুত যেতে চাইলে সার্জেন্টরা পাঁচ হাজার টাকার মামলাও দেন। ২০১২ সাল থেকে বাসগুলো চললেও নিয়মিত সার্ভিসিং করানো হয় না। ফলে ফ্যান নষ্ট এবং অনেক গ্লাস ভাঙা। গত এক বছর ধরে গাড়ির ফ্যান ও গ্লাস মেরামতের আবেদন করা হলেও সংশ্লিষ্টরা মেরামত করছেন না।’

আজিমপুর রোডে চলাচল করা ‘মহিলা বাস সার্ভিস’র কন্ডাক্টর দিলারা বলনে, ‘আমি কিছু কইতে পারমু না। খালি আপনেরে না, ম্যালা টিভিতেও কইছি আমাগো কথা কিন্তু কোনো কাম হয় নাই।’

কল্যাণপুর ডিপোর নারী কন্ডাক্টর সুমি বলেন, ‘আমরা চুক্তিভিত্তিক কাজ করি। এক দিনে হাজিরা দিলে ৩০০ টাকা পাই। আর গাড়ি অর্ধেক রাস্তায় গাড়ি নষ্ট হলে ওইদিন আমাদের হাজিরা দেওয়া হয় না। এছাড়া দুই বেলা ট্রিপ দিয়া রাজস্ব না উঠলে পকেট থেকে রাজস্ব পরিশোধ করা লাগে।

তিনি আরো বলেন, ‘আমি কন্ডাক্টর হইলেও হেলপার আর সুইপারের কাজ করা লাগে। ঘুম থেকে উঠি ভোর পাঁচটায়, ডিপোতে যাই সাতটায়। এরপর কিছু কাজ করে গাড়ি বাইর করি। সকালের ট্রিপ সাইরা বাসায় যাই ১১টায়। আবার বিকাল ৪টায় বিকালের ট্রিপে যাই। সেখান থাইকা রাইত ১০টা বাজে বাসায় যেতে। এর বিনিময়ে পাই ৩০০ টাকা। যাত্রী না পাইলে এইডাও কপালে জোটে না।’

সূত্রে জানা গেছে, এসব ‘মহিলা বাস সার্ভিস’র জন্য সরকারিভাবে ১২ জন মহিলা কন্ডাক্টর নিয়োগ করা হয়েছে। তারা সরকারি হিসেবে ড্রাইভারদের মতো বেতন, ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে থাকলেও গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হন না। রাস্তায় বের হওয়া তো দূরের কথা, তারা অফিসে এসে অফিসারের আচরণ করেন।

উল্লেখ্য, ‘মহিলা বাস সার্ভিস’ নাম হলেও কোনো বাসেই মহিলা চালক রাখা হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মিরপুর-১২ নাম্বার ডিপোর সাবেক এক মহিলা কন্ডাক্টর এখন গাজীপুরে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। প্রশিক্ষণ শেষেই তাকে গাড়ি দেওয়া হবে।

   

দীর্ঘ এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
দীর্ঘ এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'

দীর্ঘ এক মাস পর বাংলাদেশের জলসীমায় 'এমভি আবদুল্লাহ'

  • Font increase
  • Font Decrease

জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তির ঠিক এক মাসের মাথায় সোমবার (১২ মে) বিকেলে কুতুবদিয়ায় পৌঁছাতে পারে এমভি আবদুল্লাহ। সেখানে দুদিন কিছু পণ্য খালাসের পর বাকি পণ্য খালাস করতে জাহাজটি আসবে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গরে।

জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছ জানিয়ে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'আশা করছি সোমবার বিকেলেই জাহাজটি ১৩ নাবিক নিয়ে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়া পৌঁছানোর পর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবে, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম আসবে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।'

গত ১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে দস্যুরা।

নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার ৩৩ দিন পর গত ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।

২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাই পৌঁছে। এরপর সেখানে পণ্য খালাস শেষে একই দেশের মিনা সাকার নামের আরেকটি বন্দরে যায় নতুন করে পণ্য নিতে। পরে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন পাথর নিয়ে জাহাজটি পরে দেশের পথে রওনা হয়।

;

‘উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন বলে অভিমত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

শনিবার (১১ মে) বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের (সিএজি) কার্যালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন অভিমত ব্যক্ত করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক ব্যবস্থাপনা, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আন্তর্জাতিক মানের অডিট সম্পাদনের প্রচলিত কমপ্লায়েন্স ও ফিন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি পারফরমেন্স অডিট, আইটি অডিট এবং পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক অডিট রিপোর্ট প্রণয়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও উন্নয়ন সহযোগীদের চাহিদা পূরণে হিসাব ব্যবস্থায় সংস্কার প্রয়োজন। ইতোমধ্যে অডিট অ্যান্ড অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় হিসাবের আধুনিক কাঠামো প্রণীত হয়েছে। হালনাগাদ আর্থিক উপযোজন হিসাব প্রনয়ণের মাধ্যমে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, অডিট কার্যক্রম আরও ফলপ্রসূ হলে সরকারের আর্থিক সম্পদের দক্ষ ও ফলপ্রসূ ব্যবহার সুনিশ্চিত হবে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মানসম্পন্ন এবং রিয়েল টাইম অডিট সম্পন্ন করতে সিএজি’র সার্ভিস সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, অডিট ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল প্লাটফর্মে এনে অডিট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এখন সময়ের সঙ্গে এর উৎকর্ষতা নিশ্চিত করে যথাযথ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। নিরীক্ষক ও নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগের পুরনো পদ্ধতি বদলে দিয়ে ইতোমধ্যে অনলাইন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন করা হয়েছে।

সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রায় চার কোটির অধিক অডিট রিপোর্ট নিষ্পত্তি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে উদ্বেগের বিষয় প্রায় ২৩৫টি অডিট রিপোর্ট সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে কিন্তু আলোচনা হয়নি।

অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, আমরা অটোমেশন করেছি। এখন পেনশন গ্রহকারীরা ঘরে বসেই পেনশনের টাকা পাচ্ছেন। আমাদের বিভিন্ন খরচের ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে সিএজি ভূমিকা রাখছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

সিএজি নূরুল ইসলাম বলেন, এখন পেনশনের টাকা পেতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই পেয়ে যাচ্ছেন। আমরা ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করেছি। দক্ষ বাজেট ব্যবস্থাপনা চালু করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, একাদশ জাতীয় সংসদের ৫ বছরে (২০১৯ থেকে ২০২৩) মোট ৮১টি অডিট রিপোর্ট রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়। একাদশ জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে গত ৫ বছরে ৮১৪টি অডিট আপত্তি আলোচিত হয়েছে। এই সময়ে অডিটের সুপারিশ অনুযায়ী অডিট প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ১৭টি অডিট অধিদফতর লক্ষাধিক অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে।

আরও জানানো হয়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ মে পর্যন্ত ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে পেনশন ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৫০ হাজার ৪৬৫ জন। জিপিএফ ই-সেবা গ্রহণ করেছেন ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৫১২ জন। আর অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৯১টি।

সিএজি কার্যালয়ের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং দেশব্যাপী তিন দিনের বিশেষ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা উপলক্ষে ঢাকায় সিএজি কার্যালয়ে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আগামীকাল ১২ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত বিশেষ সেবা কার্যক্রম চালু থাকবে।

বাংলাদেশের কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল মো. নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দিন আহমেদ এবং অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।

;

বন্ধুর সঙ্গে বাইকে ঘুরতে গিয়ে প্রাণ গেল তরুণীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আফসানা (২২) নামের এক তরুণী। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে মোটরসাইকেল চালক এক যুবক।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১টার দিকে বগুড়া সদরের পীরগাছা- মহাস্থান আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

বগুড়া সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রহিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, পীরগাছা বন্দর থেকে মহাস্থানের দিকে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন ওই যুবক। পথিমধ্যে দোবাড়িয়া গ্রামের সুরখোলা ব্রীজে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পার্শ্বে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই আফসানা নিহত হন। গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল চালক।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মোটরসাইকেল চালককে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পুলিশ নিহত যুবতীর মরদেহ হেফাজতে নিয়ে মর্গে পাঠিয়েছেন।

এস আই আব্দুর রহিম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানাগেছে, নিহত আফসানার বাড়ি বগুড়া শহরের নিশিন্দারা উপশহরে। বন্ধুর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন।

;

নওগাঁয় নারীসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর বদলগাছীতে পৃথক অভিযানে ৪০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫ ক্যাম্পের সদস্যরা। শনিবার (১১ মে) ভোরে জেলার বদলগাছী উপজেলার চকবনমালী ও মথুরাপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার চকবাড়িয়া গ্রামের মো. গফুর এর মেয়ে মাহফুজা বেগম (৪৬), একই এলাকার চকরামচন্দ গ্রামের আব্দুল গাফির এর মেয়ে নাহার বেগম (৪০) এবং বদলগাছী উপজেলার গয়েশপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন এর ছেলে রুবেল হোসেন (৩১)।

এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে র‌্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামিরা সকলেই চিহ্নিত মাদক কারবারী। তারা দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক সংগ্রহ করে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারী বিক্রি করতো তারা। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আসামিদেরকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের সময় পৃথক অভিযানে তাদের কাছে থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৪০০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বদলগাছী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) মাহবুবুর রহমান বলেন, র‌্যাবের অভিযানে নারীসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতারের পর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর পর আসামিদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

;