সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে জামালপুরের ওএসডি হওয়া জেলা প্রশাসক (ডিসি) আহমেদ কবীরকে। এর আগে এক নারী সহকর্মীর সঙ্গে আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও সেটি শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) প্রকাশ পায়।
তিনি বলেন, 'আহমেদ কবিরের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।'
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, 'এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা শুরু হয়েছে। তার এই সাময়িক বরখাস্ত সিদ্ধান্ত আমাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিতে যাবে সেখানেও যদি একই অবস্থা থাকে (অর্থাৎ দোষী) তাহলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।'
এ বছরের আগস্টে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে জামালপুরের ডিসি আহমেদ কবীরের সঙ্গে এক নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। যদিও তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়কে সাজানো বলে দাবি করেছেন। এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। গত ২৫ আগস্ট জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে ১০ দিন করে দুই দফায় কমিটির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ২২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
তদন্ত কমিটি জামালপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে।
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কয়লাবোঝাই গাড়িতে চাঁদবাজির অভিযোগে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে যৌথবাহিনীর একটি দল নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার বেলতলী এলাকায় অভিযান তাদের আটক করে গৌরীপুর থানায় হস্তান্তর করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর শুক্রবার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলার সিধলা ইউনিয়নের বেলতলী মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল জলিল (৪৪), মৃত জসিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (৪৫) ও মৃত হাফিজ উদ্দিনের ছেলে ফজলুর রহমান (৪০)।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের শ্রীপুর ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামের মোঃ আব্দুল কদ্দুসের ছেলে আবুল কাশেম (৩২) পেশায় একজন কয়লা ব্যবসায়ী। গত ৯ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রাতে নেত্রকোণা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে উপজেলার বেলতলী এলাকায় আবুল কাশেমের কয়লাবোঝাই ট্রাক আটক করে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর একটি দল অভিযান চালিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে। এই ঘটনায় কয়লা ব্যাবসায়ী আবুল কাশেম বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় মামলা করেছেন।
রাজধানীর মিরপুর সিটি ক্লাবে শুরু হয়েছে জিয়া আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫। প্রথম দিনের খেলায় পল্লবী থানার বিপক্ষে খেলছে দক্ষিণখান থানা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে এ খেলা শুরু হয়। খেলার শুভ উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুক হক।
ফুটবল টুর্নামেন্টের দর্শক সারিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এছাড়াও আরও উপস্থিত আছেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক ও টুর্নামেন্ট প্রধান আহ্বায়ক আক্তার হোসেন ও টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক মো. জাহেদ পারভেজ চৌধুরী প্রমুখ।
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে সোমবার (৬ জানুয়ারি) থেকে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। কয়েক দফায় পতাকা বৈঠকের পর বুধবার ৮ (জানুয়ারি) অনেকটা মুখোমুখি অবস্থান নেয় বিজিবি-বিএসএফ। উত্তেজনা বাড়ে সীমান্তে।
এদিকে দেশের মাটি রক্ষায় বিজিবির সঙ্গে যোগ দেয় ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারাও। বেলা ১২ টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি’র সঙ্গে স্থানীয়দের একজনকে কাস্তে হাতে বসে থাকতে দেখা যায় । তার দৃষ্টি ছিল সীমান্তের দিকে। বিএসএফের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাস্তে হাতে ওই ব্যক্তির অবস্থান ঠিক যেন বাঁশের কেল্লার তিতুমীরের মতোই।
মুহূর্তেই ওই ব্যক্তির দেশ প্রেমের চিত্র গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। উপদেষ্টা আফিস মাহমুদসহ দেশ ও বিদেশের অনেকেই ছবিটি শেয়ার করে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ওই ব্যক্তিকে।
তবে কে এই অকুতোভয় দেশপ্রেমিক ?
এই ঘটনার পর ওই ব্যক্তির পরিচয় জানার চেষ্টা করে বার্তা২৪.কম। কাস্তে হাতে বসে থাকা ওই ব্যক্তির নাম মো. বাবলু হক(৩৫)। পেশায় একজন কৃষক। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের কালীগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা তিনি।
বার্তা২৪.কমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, সীমান্ত থেকে তার বাড়ি প্রায় ৩০০ গজ দূরে। কয়েকদিন থেকেই বিজিবি বিএসএফ এর সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ নিয়ে ঝামেলা চলছিল। এসব চোখের সামনে দেখায় আর থাকতে পারেন নি তিনি।
মো. বাবলু হক বলেন, বুধবার সকালে বিএসএফ ক্যাম (ক্যাম্প) বসায় প্রস্তুত নিলে, তখন আমরাও মইচ্চা (পরিখা) খুইরা অবস্থান নিলাম। হামা ১০-১৫ জন সাধারণ লোক গিয়ে খাল খুড়লাম। পেছনে কয়েকটা গ্রামের হাজারখানেক লোক ছিল। সকালে মইচ্চা (পরিখা) খুইড়া সারাদিন ওইহানে(ওখানে) বইসা ছিলাম। সকালে কাস্তে নিয়াই মাঠে কাজে গেছিলাম। তাই ওইডা নিয়াই ওখানে বইসা আছিলাম। কেড়ায় ছবি তুলতে কইতে পারি না।
তিনি আরও জানান, সকালের দিকে বিজিবির দাঁড়াইলে আশেপাশের গ্রামগুলোতে খবর দেয়া হয়। মুহূর্তেই জড়ো হন হাজারো মানুষ। মাঠে উপস্থিত কৃষকেরা লেগে পড়েন সেমি বাংকার খননে। এরপর দফায় দফায় বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক হওয়ার পর বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ করে দেয়।
পেশায় কৃষক মো. বাবলু হক (৩৫) দাম্পত্য জীবনে ৪ সন্তানের জনক। ১ মেয়ে, ৩ ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার বসবাস।
উল্লেখ্য, গত সোমবার সীমান্তের ভারতীয় অংশে নোম্যানস ল্যান্ডের ১০০ গজ অভ্যন্তরে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আইন অমান্য করে আলোচনা ছাড়াই মাটি খনন ও কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে বিএসএফ। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানায় এবং বাধা দেয় বিজিবি। সীমান্তে দেখা দেয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে সীমান্তে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করে উভয় বাহিনী এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিএসএফের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে প্রতিহত করতে বিজিবির সঙ্গে অবস্থান নেয় স্থানীয়রা। একইভাবে ভারতীয় নাগরিকদেরও বিএসএফের সঙ্গে অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বুধবার দুপুরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবির সঙ্গে তৃতীয় দফা পতাকা বৈঠকে এ সম্মতি জানায় বিএসএফ। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বার্তা২৪ ডট কম’কে বলেন, এটা একটি দুঃসাহসিক কাজ। কিন্তু কোনোরকম নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশেষ করে হেলমেট, বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছাড়া এভাবে ফ্রন্টলাইনে অথবা শূন্য লাইনের কাছাকাছি এগিয়ে আসা বিপজ্জনক। দেশের জনগণ ও আমরা উভয়েই দেশকে ভালোবাসি। কিন্তু বিজিবি ফেইল না করা পর্যন্ত সাধারণ মানুষের এরকম ফ্রন্টলাইনে এগিয়ে আসা উচিত নয়। এই দৃশ্য দেখে অন্য কেউ যেন এমন ঝুঁকি নেয়ার জন্য অনুপ্রাণিত না হয়, দেশের জনগণের প্রতি আমার এই আহ্বান থাকবে। দেশের সীমান্ত রক্ষায় বিজিবি নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এমন পরিস্থিতিতে স্থানীয় জনগণ আমাদের পাশে থেকে সাপোর্ট দিয়েছে। এজন্য বিজিবি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। স্থানীয় লোকদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।
স্বৈরাচারের সহযোগীদেরকে কোনো রাজনৈতিক দলে প্রবেশ করানো হলে, সেই দলের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে বাংলাদেশ টুমরো ফোরামের (বিটিএফ) উদ্যোগে আয়োজিত জুলাই-আন্দোলন ২০২৪ বৈষম্যহীন আগামীর বাংলাদেশ ও বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, নতুন দল বানানোর জন্য যাদের আকাঙ্খা আছে, কিন্তু পতিত স্বৈরাচারের লোকজন নিয়ে দল বানাবেন সেটা বাংলাদেশের জনগণ কোনোভাবেই মেনে নিবে না। লাউড এন্ড ক্লিয়ার, পতিত স্বৈরাচারের কোনো সহযোগীদেরকে যদি কোনো রাজনৈতিক দল নিজ দলে প্রবেশ করান, তাহলে সে রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
তিনি বলেন, স্বৈরাচারের দোসরদেরকে নিয়ে যদি কোনো রাজনৈতিক দল করার অভিপ্রায় থাকে, তাদেরকে হুশিয়ার করে দিতে চাই, জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, শেখ হাসিনার বিচার হতেই হবে। শেখ হাসিনা এবং তার সাঙ্গোপাঙ্গরা এত মানুষ হত্যা করেছে, সেই খুনিদেরকে আমরা পুনর্বাসন করতে দিতে পারি না। যারা জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে, জনগণের অধিকার হরন করেছে, দেশের টাকা লুট এবং সম্পদ বিনষ্ট করেছে তাদের প্রত্যেককে আমরা বিচারের আওতায় আনবো।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ দিল্লীকে ম্যানেজ করে ক্ষমতায় টিকে ছিলেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার উৎস হিসেবে ধরে নিতেন দিল্লীকে। সরকারের কিছু লোকজন বলেছেন আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। বর্তমানে বাংলাদেশে দেশে যে সংকট চলছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের উপায় নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর।