চট্টগ্রামে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর ফাঁসি
নয় বছর আগে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে খুন করার দায়ে স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১ আক্টোবর) চট্টগ্রামের প্রথম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। জাহাঙ্গীর আলম চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার অহল্যা-কড়লডেঙ্গা ইউনিয়নের সাধারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
ট্রাইব্যুনালে দায়িত্বরত রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জেসমিন আক্তার বিষটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাষ্ট্রপক্ষের আনিত অভিযোগ আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি জাহাঙ্গীর আলমকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় জাহাঙ্গীরের ভাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আসামি জাহাঙ্গীর আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার অভিযোগ ও নথিপত্রে উল্লেখ করা হয়, জাহাঙ্গীর বিয়ের পর থেকে বিদেশ যাবার জন্য স্ত্রী শামীমা আক্তারের পরিবারের কাছে টাকা দাবি করতে থাকেন। টাকা না পেয়ে ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর বিকেলে শামীমাকে পিটিয়ে হত্যা করেন জাহাঙ্গীর। পরে তার মরদেহ গোয়ালঘরে ঝুঁলিয়ে রেখে শামীমা আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রচার করতে থাকেন। সে সময় শামীমার ভাই মো. সোলেমান বাদী হয়ে বোয়ালখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ দীর্ঘ এক বছর তদন্ত করে জাহাঙ্গীর ও তার ভাই আব্দুল আলমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ২০১২ সালের ২৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার কাজ শুরু হয়। মামলায় ২৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার আদালত এ রায় দেন।