ডিঙি নিয়ে পানিবন্দিদের চিকিৎসা দিচ্ছেন মতলেব



হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
ডিঙি নিয়ে পানিবন্দিদের দ্বারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেন মতলেব, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ডিঙি নিয়ে পানিবন্দিদের দ্বারে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেন মতলেব, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অসময়ে পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধিতে চরম বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ১৫টি চরের বাসিন্দারা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ৩ হাজার পরিবার। স্থানীয় প্রশাসন পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে, বন্যার কারণে পানিবন্দি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। তবে সেখানে পানিবন্দি মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি। অসহায় এসব মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মতলেব হোসেন। প্রতিদিন নিয়ম করে টিনের তৈরি ডিঙি নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খোঁজ নিয়ে ওষুধপত্র দিচ্ছেন। শুধু ঔষধের প্রকৃত মূল্য ছাড়া অতিরিক্ত কোনো টাকা নেননা তিনি। তার এমন কাজের প্রশংসা স্থানীয় মানুষের মুখে মুখে। আর চরবাসীর চোখে মতলেব যেন ‘শান্তির দূত’।

উপজেলা প্রশাসনের তথ্যানুযায়ী, বাঘার পদ্মার চরগুলোতে বসবাস করে ৩ হাজার ৭৬২টি পরিবার। সেখানে জনসংখ্যা প্রায় ১৭ হাজার। তাদের গরু-ছাগলসহ গবাদিপশু রয়েছে প্রায় ৮ হাজার। এসব বাড়ির মধ্যে প্রায় সব বাড়িতে পানি উঠেছে। কেউ কেউ নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে এর মধ্যে অধিকাংশ মানুষই উঁচু মাচা তৈরি করে বসবাস করছেন।

পানিবন্দি মানুষ স্বাভাবিকভাবে নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তবে আশেপাশে তাদের চিকিৎসা সেবার কোনো ব্যবস্থা নেই। পাশ্ববর্তী একটি বাজারে চিকিৎসকরা চেম্বার করে বসলেও গত এক সপ্তাহ ধরে সেখানেও পানি উঠায় চেম্বার বন্ধ রেখেছেন চিকিৎসকরা। ফলে চরবাসীর ভরসা এখন পল্লী চিকিৎসক মতলেব।

পল্লী চিকিৎসক মতলেব বলেন, ‘পানিবন্দি মানুষদের দেখলে খুবই খারাপ লাগে। ওদের মধ্যে অনেকে আমার পরিচিত। এসব মানুষ বিনা চিকিৎসায় দিনাতিপাত করবে বিষয়টি ভাবলে কষ্ট হয়। টিনের ডিঙিতে করে ওদের বাড়ি বাড়ি যেতে আমার কষ্ট হয় বটে, তবে ওদের চিকিৎসা সেবা দিতে পারলে নিজের মনে প্রশান্তি ফেরে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি নির্দিষ্ট একটা সময়ে নিয়মিত পানিবন্দি মানুষের বাড়ি বাড়ি ভিজিট করছি। তাছাড়া জরুরি প্রয়োজনে কেউ মোবাইলে কল করলে যেকেনো সময় তাদের বাড়িতে যাচ্ছি। কোনো ভিজিট বা ওষুধে এখন লাভ করছি না। শুধু যে দামে কিনছি সেই দামে দিচ্ছি। পানি না নামা পর্যন্ত আমি ওদের সেবা করার চেষ্টা করব।’

আতারপাড়া চরের ৭৫ বছর বয়সী আকছেদ ব্যাপারি বলেন, ‘মতলেব ডাক্তারের রাত-দিন নেই। আমরা যখন তাকে ডাকি, তখনি পাই। চরবাসীর কাছে মতলেব ডাক্তার দেবতার মতো। সবাই তাকে প্রচণ্ড ভালোবাসে। ’

নবিরুন্নেসা নামে আরেক বৃদ্ধা বলেন, ‘চরের মধ্যে কোনো ডাক্তার এসে ওষুধ দিয়ে যাবে, এটা আমরা কল্পনাও করতাম না। কিন্তু প্রতিবছর পানি উঠলেই মতলেব আমাদের ঘরে ঘরে আসে। ওষুধ দেয়, পরামর্শ দেয়। খুব ভালো মানুষ।’

চকরাজাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ‘মতলেব দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষকে চিকিৎসা দেন। বন্যার সময় তার অবদান চরবাসী ভুলতে পারবে না। চরের মানুষ অসুস্থ হলে প্রাথমিক পর্যায়ে তার কাছে চিকিৎসা নেই। জটিল হলে তার পরামর্শে শহরে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা সে খুব ভালো করে।’

   

বৃষ্টির আশায় পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও বৃষ্টি প্রার্থনা করে রাজধানীর মিরপুর পল্লবিতে ইসতিসকারের নামাজ আদায় হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টায় পল্লবি ১২ সেকশনের ডি ব্লক ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

মাদ্রাসা দারুর রাসাদ এর উদ্যোগে এ নামাজে ইমাম ছিলেন বাইতুল আজমত জামে মসজিদের ইমাম আব্দুল হালিম।

এর আগে ভোর থেকে ওই মাঠে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। প্রায় দুই হাজার মানুষ অংশ নেয় এ ইসতিসকারের নামাজে।

;

শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকীতে আ. লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় নেতা শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ৬২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এসময় প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ও পরে দলের পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় নেতারা। সেখানে নেতারা এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সুজিত রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ।

;

সকাল ৯টার মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

আবহাওয়া দফতরের নদীবন্দরের জন্য দেয়া সতর্কবার্তা অনুযায়ী শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে এই ঝড় বয়ে যাওয়ার কথা।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, সকাল ৯টার মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে মধ্যরাতে ঘণ্টার বেশি সময়ে বৃষ্টিতে সিলেট নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা ভিজেছে। রাত আটটার পর থেকে নগরে বইতে শুরু করে বাতাস। পরে রাত ১১টার দিকে নামে ঝুম বৃষ্টি।

এছাড়া মে মাসের শুরুতে দেশে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। 

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, এপ্রিল জুড়েই থাকবে তাপপ্রবাহ। তবে মে মাসের শুরুতেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হতে পারে। এরপরই গরম কমে আসবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আবহাওয়া বার্তায় জানানো হয়, বর্ধিত পাঁচ দিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে। 

;

ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ারে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার শপিং মল সীমান্ত স্কয়ারে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) রাত ১টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। 

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রাত ১টা ১৫ মিনিটের দিকে আগুনের তথ্য পাওয়া যায়। ৬তলা শপিং মলের তৃতীয় তলার আর কে ইলেকট্রনিকস নামের একটি মোবাইলের দোকানে আগুন লাগে। আগুনে দোকানটি পুড়ে গেছে। তবে অন্যকোনো দোকানের ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ২টা ১৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আর ৩টা ২২ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণ নির্বাপণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর ও পলাশী স্টেশনের ৫টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গোলযোগ থেকে আগুনের সূত্রপাত। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। 

;