রাবিতে অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা



রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
রাবিতে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাবিতে শিক্ষার্থীদের পদযাত্রা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে খালি পায়ে পদযাত্রা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ছাত্র সংগঠনের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত প্ল্যাটফর্ম ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পদযাত্রা থেকে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়ার পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে পাঁচটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে খালি পায়ে যাত্রা করে শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে আসেন। সেখানে তারা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেনের সঞ্চালনায় সমাবেশে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের রাবি শাখার আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ বলেন, ‘দেশ যখন উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, শিক্ষা ব্যবস্থারও উন্নয়ন ঘটছে, ঠিক তখন শহীদ শামসুজ্জোহার ক্যাম্পাস নানাভাবে রোগাক্রান্ত, ভারাক্রান্ত এবং দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। উপাচার্য প্রকাশ্যে সিনেট ভবনে সার্বভৌমত্বকে অবমাননা করে ‘জয় হিন্দ’ বলে স্লোগান দেন। শিক্ষক নিয়োগে বাণিজ্য নিয়ে উপ-উপাচার্য ও আইন বিভাগের সভাপতি ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে।’

এসব অনিয়ম-দুর্নীতির সত্যতা যাচাইয়ে ইউজিসি এবং দুদক অনুসন্ধানের দাবি জানান তিনি।

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘জয় হিন্দ বলার জন্য উপাচার্যকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা সহ-উপাচার্যকে অপসারণ করতে হবে। ইউজিসি যেন এসব দুর্নীতির অনুসন্ধান করে আসল বিষয়টি সবার সামনে তুলে ধরে।’

এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে শেষে উপাচার্যে দেয়া বক্তব্যের শেষে ‘জয় হিন্দ’ বলে স্লোগান দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ধারাবাহিকভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছে ‘অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’ এ প্ল্যাটফর্মটি।

এদিকে, উপাচার্যের ‘জয় হিন্দ’ স্লোগান ও উপ-উপাচার্যের ফোনালাপ ফাঁসকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দুর্নীতিবাজ’ প্রশাসকদের অপসারণের দাবি জানিয়েছেন প্রগতিশীল শিক্ষকরা। শুক্রবার বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি জানান। এতে ৫৮ জন শিক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার দুটি ‘দুষ্কর্ম’ গণমাধ্যম, সুশিল সমাজের সদস্যদের মতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ হয়েছে। উপাচার্য তার দুর্নীতি ও অপকর্মকে আড়াল করতে পরিকল্পিতভাবে ২৬ সেপ্টেম্বর উপাচার্য সিনেট ভবনে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু বলা পর ‘জয় হিন্দ’ বলে বক্তব্য শেষ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আমরা মনে করি ভারত আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বাত্মক সহায়তা দানকারী প্রতিবেশী ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক স্লোগান ‘জয় হিন্দ’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের উচ্চারণ করা বাংলাদেশের রাষ্ট্রসত্ত্বার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এদিকে, ফাঁস হওয়া ফোনালাপ থেকে স্পষ্ট উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো.জাকারিয়ার নিয়োগ বাণিজ্যে নিমজ্জিত উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিষয়টি অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে আর্থিক লেনদেনর যে জনরব চালু আছে এই ফোনালাপ তারই সত্যতা প্রমাণ করেছে। উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার এ ধরনের বিবেকহীন কর্মকাণ্ডে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

উল্লেখ্য, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাবি উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান একটি সেমিনারে ‘জয় হিন্দ স্লোগান দের। সংবাদটি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। এরই মধ্যে ৩০ সেপ্টেম্বর উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার একটি অডিও ফোনালাপ ফাঁস হয়। যেখানে তিনি সাদিয়া নামে এক মেয়ের কাছে কত টাকা দিতে রেডি তা জানতে চান। এরপর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ও উপ-উপাচার্য চৌধুরী মো. জাকারিয়ার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে।

   

তেঁতুলিয়ায় জমিতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বোরো ক্ষেতে পানি দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মুরাদ হোসেন (৩০) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহল্লাল জোত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মুরাদ দেবনগর ইউনিয়নের মিজানুর রহমানের ছেলে। সে ছোট থেকে মহল্লা জোত গ্রামে নানা আজিজুলের বাড়িতে থাকতেন।

স্থানীয়রা ও পুলিশ জানায়, মুরাদ সকালে তেঁতুলিয়ার বাইপাস এলাকার বাংলা টি নিকটস্থ এলাকায় বৈদ্যুতিক মোটরে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে যান। ওই সময় বৈদ্যুতিক তার হাতে জড়িয়ে পড়লে স্পৃষ্ট হয়ে তারসহ পানিতে পড়ে যান। এতে করে ক্ষেতের পানিও বিদ্যুতস্পৃষ্ট হলে ঘটনাস্থলে সে মারা যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

ছিনতাইকারীর কবলে নারী, বাঁচাতে গিয়ে জীবন শঙ্কায় যুবক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরার ৮নং সেক্টরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ইফতেখার নামে ২৮ বছরের যুবক আহত হয়েছেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহত ইফতেখার উত্তরা ৬নং সেক্টর শিরিন ভিলার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ১টার দিকে মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়।

বন্ধু আরমান জানান, গত রাত পৌনে ১২টার দিকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিল আরমান। এ সময় উত্তরা ৮নং সেক্টর বীমা কলোনির সামনে কয়েক জন ছিনতাইকারী এক নারীকে ঘিরে ধরে । ইফতার ছিনতাইকারীদের কবরে পড়া ওই নারীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ইফতেখারকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ইফতেখারকে উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জানিয়েছেন ইফতেখারের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বর্তমানে জরুরি বিভাগের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতরাতে উত্তরা থেকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় ওই যুবককে হাসপাতালে আনা হলে জরুরী বিভাগে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিৎসক জানিয়েছেন তার অবস্থা আশঙ্কা জনক। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

;

সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আইডিয়ালের শিক্ষার্থী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মুগদায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মাহিন আহমেদ (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। মাহিন মতিঝিল আইডিয়ালের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করেছে পুলিশ।

মাহিন মুগদার বাসিন্দা। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে বাসা থেকে বের হন। পরে মদিনাবাগ এলাকায় দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি ময়লার গাড়ি ধাক্কা দেয় মাহিনকে। প্রথমে মুগদা হাসপাতাল নেওয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ছেলেকে হারিয়ে বাবা মাসুম মিয়া স্তব্ধ। বাবা-মায়ের কান্নায় ভারী হয়ে উঠছে মুগদার বাতাস। এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না তারা।

মাহিনের মা জোছনা আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘আমাকে সন্ধ্যায় বলল, সে চাচার বাসায় যাবে। আমি মানা করে বললাম, কাল সকালে যেও। মাহিন বলল, খেলাধুলা করে সন্ধ্যায় চাচার বাসায় চলে যাবে। আর মাহিন ফিরল না।’

মাহিনকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বড়ভাই মাহফুজও। স্বজনদের দাবি, ময়লার গাড়িটি খুব বেপরোয়াভাবে চলছিল। চালকও নেশাগ্রস্ত ছিল। তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

মুগদা থানার উপপরিদর্শক মো. জয়নাল আবেদীন দুর্ঘটনায় মাহিনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়িটি জব্দ ও চালককে আটক করা হয়েছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বৃষ্টি চেয়ে কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায়



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, (কলাপাড়া-পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

টানা কয়েকদিনের তাপপ্রবাহ থেকে পরিত্রাণ পেতে ও বৃষ্টির জন্য কুয়াকাটায় ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে কুয়াকাটা বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।

বিশেষ এ নামাজে ইমামতি করেন কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী।

স্থানীয় পীর ও মাসায়েখদের আয়োজনে নামাজ ও দোয়া অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন, ব্যবসায়ী, আইনজীবী এবং বিভিন্ন শ্রেণী পেশার ব্যক্তি সহ শত শত মুসল্লীরা এ নামাজে অংশ নেন। নামাজ শেষে খুতবা পাঠসহ সারা দেশে বৃষ্টির জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ। এখন চাষাবাদ করতে পারছি না। তাই আল্লাহর অশেষ রহমতের জন্য এ নামাজ আদায় করা হয়েছে।

কুয়াকাটা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোঃ রফিকুল ইসলাম সরোয়ারী বলেন, ইসতিসকার নামাজ বা (বৃষ্টির নামাজ) হল একটি সুন্নাহ নামাজ (ইসলামি প্রার্থনা) আল্লাহর কাছে বৃষ্টির পানির জন্য দোয়া ও প্রার্থনার জন্য।তাওবাতুন নাসুহা বা একনিষ্ঠ তাওবার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে রহমতের বৃষ্টি কামনা করে ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করা হয়। দীর্ঘ দিন বৃষ্টি না হলে নবিজির (সা.) অনুসরণ করে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করা মুস্তাহাব। তারই ধারাবাহিকতায় দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি না হওয়া, অসহ্য গরম, মাঠে ফসল ফলানো কৃষক এবং খেটে খাওয়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এ বিশেষ নামাজ। ইনশাআল্লাহ এ নামাজকে কেন্দ্র করে আল্লাহ আমাদের সকল বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখবেন। আমিন।

;