কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে ধ্বংস হবে সুন্দরবন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
সুন্দরবন রক্ষা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন সুলতানা কামাল,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সুন্দরবন রক্ষা বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন সুলতানা কামাল, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে সুন্দরবন নানাভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে।’

শনিবার (৫ অক্টোবর) সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

সুলতানা কামাল বলেন, ‘বন রক্ষায় রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সুন্দরবন ঘিরে অনুমোদিত সব প্রকল্প বাতিলের আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু সরকার আমাদের কথা শোনে না। মানবাধিকার কর্মী ও সবার মতামত উপেক্ষা করে সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার। পাশেই ফার্নেস অয়েলের আরেকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিমানবন্দর, বনের পাশে শিল্পয়ানের কার্যক্রম চলছে। এ বনকে ঘিরে ১৫০টি শিল্পপ্লট দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে ২৮টি পরিবেশের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর লাল ক্যাটাগরির শিল্প রয়েছে।’

এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে সুন্দরবন। বিশ্বের কাছে দেশ ও জাতি হিসেবে এটি হবে একটি বড় অযোগ্যতার ও লজ্জার বিষয়। সুন্দরবন বাঁচাতে সরকার যত্নশীল নয়। তাই বন রক্ষায় ইউনেস্কোর পদক্ষেপকে সমর্থন করা উচিত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘সুন্দরবনের অদূরে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে ২০১৭ সালে পোল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪১তম সভায় বন রক্ষায় বাংলাদেশকে কিছু সুপারিশ দিয়েছিল ইউনেস্কো। এগুলো হলো-সামগ্রিক সমীক্ষার আগে সুন্দরবনের আশেপাশে বড় কলকারখানা নির্মাণ বন্ধ রাখা, সুন্দরবন এলাকার জলপথে নৌযান চলাচল ও নদী ড্রেজিংয়ে সর্তকতা অবলম্বন করা এবং প্রভাব নিয়ে সমীক্ষা চালানো। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু শহরে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির ৪৩তম সভায় এসব সুপারিশের ওপর আলোচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন না হলে সুন্দরবন বিপদাপন্ন ঐতিহ্য তালিকায় চলে যেতে পারে।’

সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ডা. এম এ মতিন বলেন, ‘আজ যে বিশ্ব এত উষ্ণ হয়ে উঠেছে, তা গত ১২ বছরে যে কয়লা পুড়িয়েছি, তার ফল। সামনে কয়লা ব্যবহার বন্ধ না করলে জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা কঠিন হবে। বাংলাদেশের মধ্যেই ৬৮ লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে।’

সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘সাইক্লোন থেকে বাংলাদেশকে বাঁচায় সুন্দরবন। বাংলাদেশের মানুষ জলবায়ু উদ্বাস্তু হতে চলেছে। যারা এদেশে থাকতে চাই, তাদের সুন্দরবন বাঁচানোর লড়াই করতে হবে।’

সদস্য শরীফ জামিল বলেন, ‘সরকার ইউনেস্কোর কথা শুনছেন না। ভারতের সবচেয়ে খারাপ কোম্পানি সুন্দরবনে এ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় জড়িত। ভারতে তারা কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র করে পরিবেশ ধ্বংস করেছে। তারা এখন বাংলাদেশ ধ্বংস করতে এসেছে। বাংলাদেশ এখন ভারতের কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে চায়। তাহলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কী দরকার?’

   

ঠাকুরগাঁওয়ে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় সালাতুল ইসতিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে।

বুধবার (২৫ এপ্রিল) সকালে পৌরশহরের মাদরাসা পাড়া ঈদগাহ মাঠে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়৷

নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা। নামাজ শেষে মোনাজাত করেন মাদরাসটির সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম।

শীতপ্রবণ জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র থেকে তীব্রতর তাপমাত্রার মুখোমুখি হতে হচ্ছে জেলার মানুষকে। তাপপ্রবাহের কারণে দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। মাঠে কাজ করা দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে কৃষকদের। হাসপাতালে বেড়েছে শিশু-বৃদ্ধ রোগীর সংখ্যা৷ এমন পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা।

নামাজ আদায় করতে আসা ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, কাজের জন্য বাইরে বের হওয়া কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। রোদে দুই মিনিট থাকা যায় না। শরীর ঝলসে যাওয়ার মতন অবস্থা। আমাদের নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করলাম। যদি আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করেন তবে স্বস্তি ফিরবে।

সালান্দর ইসলামিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ আবুল কালাম ত্ব-হা বলেন, সারাদেশে দাবদাহে জনজীবনে বিপর্যয় ঘটেছে। আমাদের জেলায়ও অস্বস্তি পর্যায়ে চলে গিয়েছে। আমাদের গুনাহর ফসল এসব। আমরা বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইসতিসকা নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহ আমাদের প্রতি রহম করবেন।

;

নোয়াখালীতে হিট স্ট্রোকে শিক্ষার্থীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে হিট স্ট্রোকে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ঋতু সুলতানা (১৫) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. ইসমাইলের মেয়ে। সে স্থানীয় ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি বছর এসএসসির ফলপ্রত্যাশী ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল পৌনে ১০টার দিকে মুঠোফোন বিষয়টি নিশ্চিত করেন- ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষক মনির হোসাইন।

এর আগে, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের সাদারি গ্রামের কবিরাজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বাবা ইসমাইল জানান, বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ঋতু গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তিনি স্থানীয় একজন গ্রাম্য চিকিৎসককে ডেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসক ধারণা করেন- প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে তার মৃত্যু হয়েছে।

শিক্ষক মনির হোসাইন বলেন, ঋতুর এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ছয়ানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে সে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। তার মৃত্যুর সংবাদে তার সহপাঠী, শিক্ষকবৃন্দ তার বাড়িতে ছুটে যান। কোনোভাবেই তার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার।

এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার নোয়াখালী সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখারের মুঠোফোনে কল করা হলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৩৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩৭ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০৮ পিস ইয়াবা, ৮৬ কেজি ৭৯৩ গ্রাম ৮০ পুরিয়া গাঁজা, ৭৪ গ্রাম ৫১ পুরিয়া হেরোইন, ৮২ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০টি ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান কত?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি। এদিকে ষোলতম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা ৯টা ৫৫ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ঢাকার অবস্থান ১৬।

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৩৪৪ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৮১ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মিসরের কায়রো সিটি, ১৭৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৬০ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার শহর মিদান। এছাড়া চীনের বেইজিং ১৫৯ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৩৫ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ষোলতম অবস্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

;