সাড়ে ৩ হাজার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করছে ইডটকো



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সমন্বিত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইডটকো তাদের টাওয়ার টু কমিউনিটি (টি২সি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়ার গ্রামীণ জনপদের সাড়ে তিন হাজারের বেশি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করছে।

ইডটকোর মূল কাজ মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক সংযোগ স্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণ করা। তারা তাদের টাওয়ার পরিচালনার পর যে বাড়তি বিদ্যুৎ থাকে সে বিদ্যুৎ দিয়ে টাওয়ারের আশপাশের বাড়িগুলোতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেয়। ইডটকো টাওয়ার পরিচালনার জন্য ডিজেল জেনারেটর ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার করে এবং এখান থেকেই আসে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ।

ইডটকো গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুরেশ সিধু বলেন, ‘ইডটকো বিশ্বাস করে, শুধুমাত্র টাওয়ার প্রতিষ্ঠা করার মধ্যেই আমাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ নয়। তাই আমরা ইডটকো টাওয়ারের কাছাকাছি বসবাসরত জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে চাই। আমরা বিভিন্ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের বিভিন্ন প্রকল্পে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। টাওয়ার টু কমিউনিটি উল্লেখযোগ্য অবদান, ব্যবসায়ের বাইরেও সামাজিক উন্নয়নে আমাদের প্রতিশ্রুতি ও অগ্রাধিকারের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি হতে পারে তাদের বাড়িতে, চিকিৎসা সেবায়, বিদ্যালয়ে অথবা উপাসনালয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার মাধ্যমে। আমরা সব সময় আমাদের টাওয়ারের কাছাকাছি বসবাস করে এমন লোকালয়ের মানুষদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করতে চাই। ২০১৭ সালের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারে বৈদ্যুতিক সুবিধা পাচ্ছে এমন মানুষের হার যথাক্রমে ৮৮ শতাংশ এবং ৭০ শতাংশ। কিন্তু এখনো কিছু জনগোষ্ঠী রয়েছে, যারা জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত না হওয়ার কারণে অনেক নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে পারে না।’

তিনি জানান, ২০১৬ সালে ইডটকোর টি২সি প্রোগ্রাম চালু হয় এবং এটি চালু করার পেছনে মূল লক্ষ্য ছিল, টাওয়ারের আশপাশে বসবাসকারী মানুষদের বৈদ্যুতিক সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা। বর্তমানে বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়ায় ইডটকোর এ রকম ৩২টি সাইট রয়েছে, যার মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে সমাজের মানুষজন।

‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ২৬টিরও বেশি স্থানে ১০২০টি বাড়িতে বৈদ্যুতিক সংযোগ দিয়েছে ইডটকো। এছাড়া ইডটকো যাদুর হাট এবং নীলফামারীতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত পানির পাম্প স্থাপন করেছে, যার মাধ্যমে এ সব এলাকার কমপক্ষে ৩০টি পরিবারের সদস্যরা বিশুদ্ধ পানির নিশ্চয়তা পাচ্ছে। এছড়া প্রকল্পটির মাধ্যমে একটি হাসপাতাল, ৩০টি মসজিদ এবং ২৮টি বিদ্যালয়ে বৈদ্যুতিক সংযোগ দেওয়া হয়েছে। মিয়ানমারের ক্ষেত্রে টি২সি প্রকল্পের উদ্দেশ্য ভিন্ন। এ প্রকল্পের আওতায় সহজে পৌঁছানো যায় না এমন সব এলাকায় হেপাটাইটিস বি, বিসিজি, হাম এবং পোলিও টিকা সংরক্ষণ করার জন্য রেফ্রিজারেশন সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে উপকার পাচ্ছে অন্তত ২০০০ পরিবার। মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রেও টি২সি প্রকল্পের আওতায় এনার্জি সরবরাহের মাধ্যমে রেফ্রিজারেশন সিস্টেম সচল রাখা হয়। ক্যামেরুন হাইল্যান্ডের দুর্গম এলাকায় মাসে দুইবার করে ওরাং আসলি কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা করা হয়। আমরা যে সব এলাকায় কাজ করি, সেখানকার সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করি। ইডটকোতে আমরা বিশ্বাস করি যে আপনি ততটাই উত্তম, যতটা আপনি সমাজের কল্যাণে ফিরিয়ে দেবেন। এ কারণেই আমরা এমনভাবে কাজ করার চেষ্টা করি, যেন আমাদের কার্যক্রমগুলো অত্যন্ত দায়িত্বশীল এবং টেকসইভাবে পরিচালনা করা হয় যায়,’ যোগ করেন সুরেশ।

কমিউনিটি প্রকল্পের পাশাপাশি ইডটকো টেকসই স্থায়িত্বের ব্যাপারেও গুরুত্ব দেয়। এ নীতির আলোকে ইডটকোর সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এবং নিশ্চিত করা হয় আধুনিক টেলিকমিউনিকেশন অবকাঠামোগুলোর পরিবেশ বান্ধব কার্যক্রম।

   

রোগীর গোপনীয়তা নষ্ট করছে ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা, সহযোগিতায় আনসার



রাজু আহম্মেদ ও আল আমিন রাজু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর জাতীয় শিশু হাসপাতালে বেড়েছে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য। রোগীদের গোপনীয়তা নষ্ট করাসহ নানা অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়া বিক্রয় প্রতিনিধিদের যত্রতত্র বাইক পার্কিংয়েও জটলার সৃষ্টি হচ্ছে হাসপাতালের বহির্বিভাগ সামনে। এতে রোগী চলাচলের পথ সংকুচিত হওয়াসহ অ্যাম্বুলেন্স অথবা রোগী পরিবহনেও বেগ পেতে হচ্ছে চালকদের বলে অভিযোগ অনেকের।

রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, হাসপাতালের বহির্বিভাগে সেবা নিয়ে ডক্টরস চেম্বার থেকে বের হতেই ঘিরে ফেলেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা। নানা আলোচনায় ওষুধ নির্দেশিকার নাম করে তুলে নেন প্রেসক্রিপশনের ছবি। ফলে রোগীর গোপন রোগ বা ব্যক্তিগত তথ্য চলে যাচ্ছে তাদের হাতে। এতে গোপনীয়তা নষ্ট হচ্ছে রোগীদের। এছাড়া নিজ কোম্পানির ওষুধ কিনতে নানাভাবে হয়রানিরও অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ করে টিম বার্তা২৪.কম। সরেজমিন অভিযোগের সত্যতাও মেলে শিশু হাসপাতালে গিয়ে। গত বৃহস্পতিবার দিনভর শিশু হাসপাতালে অবস্থান করে দেখা যায়, রোগী বের হলেই কিছু বিক্রয় প্রতিনিধি ঘিরে ধরে তাদের। হাত থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে তুলছে ছবি। বেশিরভাগ রোগী বিরক্ত হলেও বিক্রয় প্রতিনিধির সংখ্যা বেশি থাকায় কেউ করতে পারছে না প্রতিবাদ।

কেউ কেউ অভিযোগ করলেও আমলে নিচ্ছে না শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা। অভিযোগ আছে হাসপাতাল বোর্ডের নিষেধ থাকা সত্ত্বেও অর্থ নিয়ে আনসার সদস্যরা বিক্রয় প্রতিনিধিদের প্রবেশে করে সহযোগিতা। ফলে কর্তৃপক্ষের নজরে আসে না রোগীর অভিযোগ।

এদিকে কর্তৃপক্ষের কড়া নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শিশু হাসপাতালের সামনে যত্রতত্র বাইক রাখেন ওষুধ বিক্রয় প্রতিনিধিরা। এতে রোগী পরিবহনে যেমন অসুবিধায় পড়ে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা, তেমনি জরুরি অবস্থায় ওষুধ নিয়ে যাতায়াত কিংবা রোগী নিয়ে যেতে বিপাকে পড়েন স্বজনরা। এমন অবস্থায় বিক্রয় প্রতিনিধিদের দৌরাত্ম্য কমাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

আকলিমা আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী জানান, রুম থেকে বের হতেই দুই তিনজন আসল। কিছু বোঝার আগে আমার চিকিৎসা সেবা পত্রের ছবি নিলো। আমার সন্তানকে জরুরিভাবে ডক্টর দেখাতে নিয়ে আসছি। তাদের কারণে এর জন্য আমার ১০ মিনিট গেলো। নিজের কোম্পানির ওষুধ কিনতে নানা ভাবে জানালো। এভাবে এক প্রকার হয়রানির শিকার হচ্ছি আমরা।

মোজাম্মেল নামের আরেকজন বলেন, আমার  বাচ্চাকে জরুরি ভাবে অক্সিজেন দিতে বলেছে ডাক্তার। আমি চেম্বার থেকে বের হয়ে তাড়াহুড়ো করছিলাম। কোথা থেকে আসল কজন, আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড় করালো। তাদের ফোন দিয়ে ছবি নিলো। আমি প্রতিবাদ করলে দায়িত্বরত আনসার সদস্য আমাকে যেতে বললেন। এমন হলে আমাদের গোপনীয়তা থাকে কোথায়?  

এ বিষয়ে বার্তা২৪.কম কথা বলার চেষ্টা করে উপস্থিত অভিযুক্ত বিক্রয় প্রতিনিধিদের সাথে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে রোগীর স্বজন পরিচয় দিয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে ওষুধ বিক্রেতারা। নিমিষেই শৃঙ্খলা ফিরে আসে বহির্বিভাগে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি উপস্থিত আনসার সদস্যরা। তবে হাসপাতালের দায়িত্বরত আনসারের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) হালিম শেখ কথা বলতে রাজি হলেও তিনি জানান কোন অভিযোগ নেই তাদের বিরুদ্ধে। এদিকে, আনসার সদস্যরা নিজেদের দোষের ঊর্ধ্বে দাবি করলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে ভিন্ন কথা। বিক্রয় প্রতিনিধিসহ আনসারদের কার্যকলাপে বিরক্ত খোদ হাসপাতাল পরিচালক।

এ বিষয়ে  শিশু হাসপাতালের পরিচালক জাহাঙ্গির আলম বলেন, ‘আমরা বোর্ডে সিদ্ধান্ত নিয়েছি হাসপাতালে শুধু দুইদিন বিক্রয় প্রতিনিধিরা প্রবেশ করবে। তাদের মোটর সাইকেল পার্কিংয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। তবে তারা কীভাবে প্রবেশ করে আমাদের বোধগম্য নয়। আনসারদের সহযোগিতায় এমনভাবে প্রবেশ করে বলে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, আনসারদের আনসারদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর আগেও এক ঘটনায় দুইজন গ্রেফতার হয়েছে। আমরা বোর্ড মিটিংয়ে এসব আলোচনা করেছি। তাদের অপরাধের পরিধি বাড়ছে। আসলে তাদের (আনসার) কোন চরিত্র নেই। তারা এমন অপরাধ করছে,  যা সিকিউরিটি গার্ডদের থেকেও নীচ। আমরা আনসারের বিপরীতে অন্য কিছু ভাবছি। সম্ভব হলে আনসারের সেবাটি অন্যভাবে ব্যবস্থা করার আহ্বান করব হাসপাতালের বোর্ডে।

;

ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা গভীর করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। এই সফরে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। এছাড়াও কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির পরিদর্শন করবেন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুদিনের সফরে ঢাকায় আসবেন তিনি। বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরও পরিদর্শন করতে যাবেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

সোমবার (২০ মে) এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার স্বার্থ এগিয়ে নিতে আমি এ সপ্তাহে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর সফর করব। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার সম্পৃক্ততা বাড়ানোর এই সময়ে বাংলাদেশে আমার প্রথম সফর করতে পেরে আমি আনন্দিত।

বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা গভীরের কাজ করছে অস্ট্রেলিয়া। পাশাপাশি কাজ করছে জলবায়ু পরিবর্তন, আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তা এবং মানবপাচারের মতো অভিন্ন চ্যালেঞ্জের কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রেও।

পেনি ওং বলেন, অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের জনগণের বেশ ভালো সখ্যতা রয়েছে। বাংলাদেশের ৫০ হাজারে বেশি মানুষ অস্ট্রেলিয়ায় বসবাস করেন। অস্ট্রেলিয়ার মানবিক সহায়তা কীভাবে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে বাস্তবিক সহযোগিতা করছে সেখানে আমি তা দেখব।

;

সাবেক সেনাপ্রধান আজিজের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশের সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে শুধু আজিজ আহমেদ নয়, তাঁর পরিবারের সদস্যদেরও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য ঘোষণার কথা জানানো হয়েছে।

স্থানীয় সময় সোমবার (বাংলাদেশ সময় সোমবার মধ্যরাতের পর) (২০ মে) দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে বলা হয়, উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার কারণে সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে, পূর্বে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী প্রধান, ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এর ফলে আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হবেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাঁর (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহের অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদ তাঁর ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটা করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন। এছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুষ নিয়েছেন।

আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

;

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ দিবে ফ্রান্স

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩০০ মিলিয়ন ইউরো ঋণ প্রদান করবে।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ মে) বাংলাদেশ সরকার ও ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) ফ্রেমওয়ার্ক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছে। এই অর্থ মূলত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং এএফডির ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর সেসিলিয় কর্টসি সিএফএ চুক্তিতে সই করেন।

ঋণ চুক্তির আওতায় এই অর্থ জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাবের বিরুদ্ধে কার্যকর ও শক্তিশালী ভিত্তি প্রস্তুত করা এবং জলবায়ু-সহিঞ্চু ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ ভিত্তিক অগ্রযাত্রায় ব্যয় করা হবে।

;