গাজীপুর সিটি নির্বাচনে আবার প্রচার শুরু



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুর: মাইকে সম্বোধন প্রিয় এলাকাবাসী! দূর থেকে ভেসে আসছে বাজনার তালে তালে ভোট চাওয়ার সুর। ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছে লিফলেট, ব্যাজ ও ভোটার স্লিপ। রাস্তায় বিনম্র সালাম, দোয়া প্রার্থনা। অলিগলিতে ঝুঁলছে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে এসব আয়োজন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের আমেজ না কাটতেই সোমবার (১৮ জুন) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সংক্রান্ত জটিলতা কাটিয়ে লম্বা বিরতির পর নির্বাচনী প্রচারের মধ্যদিয়ে সরব হয়ে উঠছে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা।

দ্বিতীয় দফায় নির্বাচনী প্রচারণার প্রথমদিনে প্রার্থীরা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার ও গণসংযোগ শুরু করেছেন। দিনভর পথসভা, বৈঠক ও গণসংযোগের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সকাল হতেই শুরু হয়েছে প্রার্থীদের সমর্থনে মাইকিং।

গত ১৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদালতের নির্দেশে নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়। পরে উচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় প্রায় এক মাস ১২ দিন পর সোমবার থেকে শুরু হয় দ্বিতীয় দফায় আনুষ্ঠানিক নির্বাচনী প্রচারণা।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রচারণা কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রার্থীরা পবিত্র রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের কাছে থাকার চেষ্টা করেছেন।

গাজীপুর সিটি এলাকা শিল্পাঞ্চল হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লোকজন গাজীপুরে এসে অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং এখানকার বিভিন্ন মিল কারখানায় চাকরি করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোকজন এ সিটি কর্পোরেশনের ভোটার।

সরকারি ছুটি শেষ হলেও সব মিল-কারখানা এখনও পুরোদমে চালু হয়নি। ফলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বিরাজ করছে ছুটির আমেজ। এমতাবস্থায় অনেকটা ফাঁকা, নির্জীব ও খালি মাঠে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা। যেন ঘুমিয়ে থাকা ভোটারদের চলছে জাগ্রত করার প্রাণান্তর চেষ্টা।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দুই মেয়র প্রার্থী ১৪ দলীয় জোটের আওয়ামীলীগ মনোনীত (নৌকা) মো. জাহাঙ্গীর আলম ও ২০ দলীয় জোটের বিএনপি মনোনীত (ধানের শীষ) হাসান উদ্দিন সরকার নির্বাচনী প্রচারণা ও জনসংযোগে জোরেসোরে নেমে পড়েছেন। নির্বাচনে সমান পাল্লা দিয়ে অন্য প্রার্থীরাও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছেন।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় গত ৩১ মার্চ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৫ মে ভোটগ্রহণ করার কথা ছিল। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে জটিলতাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট গত ৬ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে আদেশ দেয়। এতে স্থগিত হয়ে যায় নির্বাচনী কার্যক্রম। পরে হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী এবং নির্বাচন কমিশন। শুনানী শেষে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আদেশ দেন উচ্চ আদালত। উচ্চ আদালতের আদেশের প্রেক্ষিতে আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশন।

ঘোষিত নতুন তারিখ অনুযায়ী প্রার্থীরা সোমবার থেকে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন।

উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থীসহ ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অধ্যক্ষ মো. নাসির উদ্দিন (হাতপাখা), ইসলামী ঐক্য জোটের মাওলানা ফজলুর রহমান মুন্সী (মিনার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. জালাল উদ্দিন (মোমবাতি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কাজী মো. রুহুল আমিন (কাস্তে) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফরিদ আহমদ (টেবিল ঘড়ি) প্রতীক।

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মোট আয়তন ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গ কিলোমিটার। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২৫টি আর ভোটকক্ষ ২ হাজার ৭৬১টি।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে ২৫৪ জন এবং ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে ৮৪জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

নির্বাচনে একটি ওয়ার্ডে সাধারণ আসনের কাউন্সিলর পদে একজন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ এবং নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১।

   

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,রাজশাহী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহীদ বলেছেন, রাজশাহীতে আমের ফলন কম হওয়ায় দাম বাড়তে পারে। আমের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।

শুক্রবার (১৭ মে) দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর করমপুর গ্রামে আম বাগান পরিদর্শন ও চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আম রপ্তানির জন্য ২৫০-৩০০ জন কৃষককে সহায়তা করা হয়েছে। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আম গ্রেডিং শেড এবং ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে। এর ফলে রপ্তানিযোগ্য আমের মান ও গুণগত মান নিশ্চিত করা যাবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া, বেলারুশ, চীন, জাপান ও ভারত বাংলাদেশ থেকে আম আমদানি করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আম রপ্তানির পরিকল্পনা করছি। নতুন বাজার সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

এর আগে মন্ত্রী সোনাদীঘি গ্রামের কৃষক রাতুলের ফার্মে মাটি বিহীন চারা উৎপাদন, ই-ফার্মিং, ভার্মি কম্পোস্ট, বসতবাড়ি বাগান ও কৃষি ক্ষেত পরিদর্শন করেন।

;

বেঁচে থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান অপু, দরকার সাহায্যের



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী রাসেল সিদ্দিক অপু। তারমাথা, পা ও মেরুদণ্ডসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত রয়েছে।

এ অবস্থায় নিজের অবস্থান ও জীবন নিয়ে দুঃস্বপ্নে দিন কাটছে তার।

অপু বরিশাল জেলা স্কুলের ২০০৮ ব্যাচের প্রভাতি শাখার সাবেক শিক্ষার্থী।

পড়ালেখা করেছেন সৈয়দ হাতেম আলী কলেজে (২০১০ ব্যাচ)। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নিজ কর্মস্থল রংপুরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তিনি।

সারা শরীরে আঘাতপ্রাপ্ত অপুকে ভর্তি করা হয়েছিল কার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানান তার মেরুদণ্ডের কয়েকটি হাড় ভেঙে গেছে।

স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে দিয়ে যে নার্ভ সিস্টেম থাকে তা ছিঁড়ে গেছে। ফলে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে যায়।

অপুর স্কুল জীবনের সহপাঠীরা জানিয়েছেন, তার ফিরে আসার স্বপ্ন এখনও শেষ হয়নি। বিদেশে উন্নত সার্জারি, নিউরো-ট্রান্সমিটার চিপ স্থাপন ও অ্যাডভান্সড থেরাপির মাধ্যমে তিনি আবার নিয়মিত জীবনধারায় ফিরে আসতে পারবেন।

অপুর মামাতো ভাই মো. সালাউদ্দীন আহমেদ রিফাত জানান, চিকিৎসার জন্য ৫০ লাখ টাকা প্রয়োজন। এ পরিমাণ অর্থের সংস্থান করা বাংলাদেশের যেকোনো মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্যই প্রায় অসম্ভব। অপুর পরিবারের জন্যও তাই।

অপুর বন্ধু মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান) জানান, চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে অপু ও তার পরিবার।

অপুর বিষয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য ০১৮২৭৬৯৪০৪৬ ও ০১৬৮৫৫৩৯৩৬৩ নম্বরে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন তারা।


ডোনেশনের জন্যঃ

ব্যাংকের তথ্যঃ

একাউন্ট নেম: MD SALAHUDDIN AHMED, MAHAMUD HASAN RAJU AND HAFIJ UDDIN AHMED RAIYAN

একাউন্ট নং: 011931100005755

ব্রাঞ্চ নেম: NRBC BANK PLC, Barishal Branch. Or NRB COMMERCIAL BANK, Barishal branch.

রাউটিং নাম্বার: 260060280

সুইফট কোড: NRBBBDDH

একাউন্ট হোল্ডারদের পরিচয়ঃ

১. মো: সালাউদ্দীন আহমেদ (রিফাত), উদয়ন স্কুল ২০০৮ ব্যাচ। (অপুর মামাতো ভাই)

২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান), বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (দিবা শাখা)। (অপুর বন্ধু)

৩. হাফিজউদ্দিন আহমেদ রাইয়ান, বরিশাল জিলা স্কুল ২০০৮ ব্যাচ (প্রভাতি শাখা)। (অপুর বন্ধু)

মোবাইল ব্যাংকিং তথ্যঃ

১.শান্তনু অঙ্গন। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01689-024978 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


২. মাহামুদ হাসান রাজু (সোহান)। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ

01827-694046< পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।


৩. কাজী মিরাজুল ইসলাম নিশান। বরিশাল জিলা স্কুল, দিবা শাখা ২০০৮ ব্যাচ।

01685-539363 < পারসোনাল বিকাশ/নগদ দুটোই একই নাম্বারে।

৪. তনু মিত্র। বরিশাল জিলা স্কুল, প্রভাতি শাখা, ২০০৮ ব্যাচ।

বিকাশঃ 01719-936837 (পারসোনাল)

নগদঃ 01913-142801

বি.দ্র: বিকাশ/নগদে সেন্ড মানি করতে হবে।

রেফারেন্সে নিজের নাম বা FFO লিখে দিবেন।

paypal: https://www.paypal.com/pools/c/94hEOCK9ZX

www.paypal.com

;

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

বাড়ছে তাপমাত্রার পারদ, অব্যাহত থাকবে আরও কিছুদিন

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন ধরে নেই বৃষ্টির দেখা। এ অবস্থায় দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ইতোমধ্যে দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে। চলমান তাপপ্রবাহে জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১৭ মে) আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিবিরাজ করতে পারে।

তবে সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে, সেইসাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

;

তালতলীতে তিন ফসলি জমি অধিগ্রহণের প্রতিবাদে মানববন্ধন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বিদ্যুৎ প্রকল্প জন্য তিন ফসলি কৃষিজমি ও বসতভিটা অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে এমন অভিযোগ এনে তা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

শুক্রবার (১৭ মে) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের আগাঠাকুর পাড়া গ্রামে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা আমাদের তিন ফসলি কৃষি জমি হারাতে চাই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে দাবি, দেশের উন্নয়ন করতে গিয়ে ১ ইঞ্চিও কৃষি জমি যাতে নষ্ট করা না হয়। আমাদের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, বিভিন্ন ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং কবরসহ শত বছরে পুরোনো বসতভিটা আমরা কোন মূল্যেই হারাতে চাই না। কোন ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ছাড় এসব জমি অধিগ্রহণ করা হলে সাধারণ মানুষসহ কৃষক পরিবারগুলো অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে।

মানববন্ধনে আসা কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু বলেন, এই এলাকার শতভাগ মানুষ চাষাবাদ ও কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। এখানের কৃষকরা বছরে তিনবার ফসল উৎপাদন করে এ দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। এই জমি অধিগ্রহণপ্রক্রিয়া বন্ধ না করা হলে যেকোনো ধরনের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

কুদ্দুস মৃধা নামের একজন কৃষক বলেন, সরকারের এক শ্রেণির কর্মকর্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করে এসব জমি অধিগ্রহণ করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। কৃষি জমিতে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আগাঠাকুর পাড়া ও শিকারীপাড়া গ্রামের কৃষি জমি বলে কিছুই থাকবে না। এই জমি দিয়ে দিলে আমরা খাব কি?

এ সময় বক্তব্য রাখেন, তালতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মিয়া মোস্তাফিজুর রহমান, বড়বগী ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর মিয়া আলম মুন্সী, কৃষক নেতা শাহজাহান টুকু প্রমুখ।

ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে কৃষক, নারী, ব্যবসায়ীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

;