‘রোহিঙ্গা গণহত্যা’ বলায় মিয়ানমারের তীব্র প্রতিবাদ
রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূলকরণকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা গণহত্যা আখ্যা দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মিয়ানমার।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ইউ কিউ টিন এক বিবৃতির মাধ্যমে এই প্রতিবাদ জানান।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রাখাইন ইস্যুতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মন্তব্যের জবাবে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউ কিউ টিন বলেন, রাখাইন ইস্যুটি কোনও জাতিগত গোষ্ঠীটিকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা নয়, যেমনটি ভুলভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেছেন, বিশ্ব যদি রোহিঙ্গা সঙ্কটের পুনরাবৃত্তি দেখতে না চায় তবে যারা গণহত্যা চালিয়েছে অবশ্যই সেসব অপরাধীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।
এর জবাবে ইউ কিউ টিন বলেন, রাখাইনে সংকটটি একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয় যা আন্তঃসীমান্ত সময়ে ব্রিটিশ আমলে শুরু হয়েছিল। তিনি বলেন, অভিবাসন সমস্যাটি যখন এই অঞ্চলে দারিদ্র্য, আইনের শাসনের অভাব এবং সুরক্ষার দ্বারা আরও জটিল হয়েছে, তখন স্থানীয় নৃতাত্ত্বিক সম্প্রদায় এবং অভিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা, পারস্পরিক অবিশ্বাস ও ভয়ের এক গভীর ইতিহাস রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘রাখাইনের বিষয়টি অত্যন্ত জটিল এবং জড়িত সম্প্রদায়ের মধ্যে আস্থা ও সম্পর্ক তৈরি করার জন্য সময় প্রয়োজন। মিয়ানমার দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ভিত্তিতে বাংলাদেশের সহযোগিতায় বিষয়টি সমাধানে প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে যা ঘটছে তা পুরো দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না। দেশের অবশিষ্ট অঞ্চলগুলিতে বিভিন্ন ধর্মের লোকেরা মিলেমিশে জীবনযাপন করছেন।