হস্ত কুটিরশিল্পে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার আহ্বান শিল্পমন্ত্রীর

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হস্ত কুটির শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার জন্য ব্যাংকগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুন।

হস্ত কুটিরশিল্প উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকগুলো চাইলে গ্রামীণ উদ্যোক্তাদের বিনা শর্তে, বিনা জামানতে লোন দিতে পারে। কারণ তারা তো এ দেশ থেকে পালিয়ে যাচ্ছে না।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে গার্ডেনিয়া গ্র্যান্ড হলে আয়োজিত চার দিনব্যাপী 'হেরিটেজ হ্যান্ডলুম ফেস্টিভ্যাল-২০১৯' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের এবারের শ্লোগান 'দেশী ভালোবাসি'। ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করেন এস এম ই ফাউন্ডেশন ও অ্যাসোসিয়েশন অব ফ্যাশন ডিজাইনার অব বাংলাদেশ (এএফডিবি)।

স্টল প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখছেন শিল্পমন্ত্রী, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

মন্ত্রী বলেন, 'আজ আমি এখানে এসেছি মন্ত্রী হিসেবে নয় একজন বঙ্গালী হিসেবে। পুরো স্টল প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখলাম আমার কাছে মনে হলো আমি মিনি বাংলাদেশ ঘুরে দেখলাম। কারণ এখানে বাংলাদেশর পাহাড় থেকে সমতল সবস্থানের সংস্কৃতি রয়েছে। আমি আশা রাখব এ ধরনের অনুষ্ঠান প্রতিবছরের পাশাপাশি স্থায়ীভাবে কোনো স্থানে স্থায়ীভাবে আয়োজন করা হবে যাতে বিদেশী দর্শনার্থীরা এক ছাদের নিচে পুরো বাংলাদেশকে দেখতে পারে। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করা হবে যাতে দেশীয় সংস্কৃতির একটা স্টল থাকে।'

বিজ্ঞাপন
মেলায় প্রদর্শিত হস্ত শিল্প, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সমাপনী অনুষ্ঠানে এএফডিবির সভাপতি মানতাশা আহমেদ বলেন, আমরা এসএমই, বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে অসাধারণ সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে ২য় বারের মত এ রকম আয়োজন করতে পেরেছি, আমরা শুধু দেশে নয় দেশের বাহিরেও আমাদের হস্ত শিল্পসহ আমাদের দেশীয় সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দিতে চাই।

ফেস্টিভ্যালে প্রায় ৪৫টি স্টলে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য ছিল নকশিকাঁথা, বেনারসি শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, জামদানী শাড়ি, মনিপুরী কাপড়, রাঙ্গামাটির চাকমাসহ অন্যান্যদের কাপড়, পাট ও বাঁশ-বেত পণ্য, শতরঞ্জিসহ ঐতিহ্যবাহী ১৫ ধরনের তাঁত ও কারুপণ্য।