দুদকে পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে অভিযোগ
রাজশাহীর দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও ভূমি দখলের লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। মঙ্গলবার দুপুরে (২৯ অক্টোবর) দুদকের রাজশাহী জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'চলতি মাসের ১৩ তারিখে আমরা মেয়রের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।'
অভিযোগকারী আজিজুল হক দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তিনি উপজেলার পানানগর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আর পৌর মেয়র তোফাজ্জল হোসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল হক উল্লেখ করেন, মেয়র তোফাজ্জল হোসেন ছিলেন একজন শ্যালো মিস্ত্রি। এরপর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পৌরসভার মেয়র হন। মেয়র হয়েই তিনি অবৈধ পুকুর খনন শুরু করেন। তিনি প্রায় ৫০০ বিঘা জমি অবৈধভাবে দখল করে পুকুর খনন করেছেন। এভাবে জবরদখল করে হয়ে উঠেছেন টাকার কুমির। গড়েছেন বিলাসবহুল বাড়ি, চড়েন দামি গাড়িতে।
আজিজুল হক আরও অভিযোগ করেছেন, মেয়র তোফাজ্জল হোসেন সব সময় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে নিয়ে চলাফেরা করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বাণিজ্য ও এমপিওভুক্তকরণের নামে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। এছাড়া পৌরসভার উন্নয়নের নামে ভুয়া প্রকল্প তৈরি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নামেমাত্র কাজ করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তিনি এসবের তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র তোফাজ্জল হোসেন বলেন, 'আমি কখনও শ্যালো মিস্ত্রি ছিলাম না। শ্যালো বিক্রি করেছি। আর পুকুর ৫০০ বিঘা তো দূরেই থাকলো, ১০০ বিঘাও কাটিনি।'
তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। কখনও কোনো অনিয়ম করিনি। আমার বাপ-দাদা সম্পদ রেখে গিয়েছেন। নিজে ঠিকাদারি ব্যবসা করেছি। বৈধ পথে সম্পদ করেছি। এটা দেখেই অনেকের সহ্য হচ্ছে না। মিথ্যা অভিযোগ করছেন।'