জীবনে এমন ধর্মঘট দেখিনি: প্রধানমন্ত্রী
সম্প্রতি ক্রিকেটারদের ডাকা ধর্মঘট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, হঠাৎ করে তারা ধর্মঘট ডেকে বসলো, পূর্বে জানাতে পারতো, তারা সেটা করেনি। ধর্মঘট করতে গেলে একটা সময় দেয়, দাবি-দাওয়া জানায়, তারপর ধর্মঘট করে। আমার জীবনে আমি কখনো এভাবে ধর্মঘট করে দেখিনি। যাই হোক, সমস্যাটা মিটে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যেভাবে খেলোয়াড়দের সমর্থন দেই, বিসিবি সমর্থন দেয়—সেভাবে কোনো দেশ দেয় না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টার কিছু পর গণভবনে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও আজারবাইজান সফরের নানা দিক নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ক্যাসিনো বাণিজ্যে জড়িত বিসিবি পরিচালক লোকমান হোসেন ভূঁইয়ার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে বিসিবির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি (লোকমান হোসেন ভূঁইয়া) বহাল তবিয়তে নেই। আর ক্যাসিনো নিয়ে আপনারা (সাংবাদিকরা) তো কোন নিউজও করলেন না। কোনো একটা চ্যানেলে কোনো খবর পেলাম না। এমন একটা ঘটনা যে দেশে ঘটছে, আপনারা কেউ কোন নিউজ করলেন না।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে লিখিত বক্তব্যে ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনের সাধারণ সভা ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকগুলোতে রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা ও মিয়ানমারের ভূমিকার কথাও বিশ্বনেতাদের অবহিত করেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। আঞ্চলিক শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন কার্যক্রমকে নিরবচ্ছিন্ন রাখার স্বার্থে রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানে বিশ্বনেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
লিখিত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, ন্যাম শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. মাহাথির বিন মোহাম্মদ, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলি, ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রিয়াদ আল মালিকি, আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সাকিব ভুল করেছে: প্রধানমন্ত্রী