মিয়ানমারের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নির্মূলকরণ অভিযান ও গণহত্যা চালানো হচ্ছে-বাংলাদেশের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার যে বক্তব্য দিয়েছে, তার প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতামন্ত্রী ইউ কিউ টিন বাংলাদেশের বক্তব্যের প্রতিবাদে বলেছেন, রাখাইন ইস্যুটি কোনও জাতিগত গোষ্ঠীকে দেশ থেকে বহিষ্কার করা নয়, এ ব্যাপারে ভুলভাবে অভিযোগ করা হয়েছে।

বাকুতে নিরপেক্ষ আন্দোলনের (এনএএম) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এ বিষয়টি উত্থাপন করে বলেন, বিশ্ব যদি রোহিঙ্গা সংকটের পুনরাবৃত্তি দেখতে না চায়, তবে যারা গণহত্যা চালিয়েছে অবশ্যই সেসব অপরাধীকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, টেকসই প্রত্যাবাসনের দায়বদ্ধতা এড়াতে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে। মিয়ানমার অনর্থক অভিযোগ করে বিভ্রান্ত করেই চলেছে। এমনভাবে বিষয়টি প্রচার করছে, যা হতাশার বিষয়। নিরাপদ ও মর্যাদায় জোর করে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের পুনরায় ফেরত পাঠাতে বাধা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রী ইউ কিউ টিনের এ জাতীয় প্রচেষ্টা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছে। মিয়ানমারের মন্ত্রী নিরপেক্ষদের ১৮তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক মন্ত্রিসভায় রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সুপ্রতিষ্ঠিত মন্তব্যকে খণ্ডন করতে পুরো ইস্যুটির অপব্যবহার করছেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক দোষারোপ করেছেন।

টিন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সংকটকে ধর্মীয় নিপীড়ন, একটি জাতিগত গোষ্ঠী বিতারিত করা, জাতিগত নির্মূলকরণ বা গণহত্যা বলছে। যা ভুল। মূলত এ সংকট কেবল রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে সীমাবদ্ধ এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী লোকেরা দেশের বাকি অংশগুলোতে সম্প্রীতির সঙ্গে জীবনযাপন করছে।

তবে বাস্তবে রাখাইনে পূর্বপুরুষদের জন্মভূমি থেকে একটি সম্প্রদায়কে জোর করে নির্বাসিত করার প্রমাণ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও পেয়েছে। ২০২৭ সালে অত্যাচারের প্রকৃতি এবং ব্যাপ্তী আগের সমস্ত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।

এটাই সত্য যে মিয়ানমার সরকার দেশের জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার অব্যাহত রেখেছে। তাদের অধিকার দমন ও ন্যায্য দাবি দমনের জন্য বিশ্বের শীর্ষ নিপীড়নকারী ও সীমান্ত স্থানচ্যুতকারক দেশ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে মিয়ানমার। বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মের মানুষ বাধ্য হয়ে মিয়ানমারের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছে। তাদের অধিকাংশই নিজ ভিটায় ফিরতে পারে না।

ঔপনিবেশিক যুগ থেকে মিয়ানমার সর্বদা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে যাওয়া ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে চিত্রিত করে আসছে। তারা বলে, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক বাংলাদেশি মিয়ানমারে চলে গেছে। তাদের এ সমস্ত দাবি ভিত্তিহীন।

ইতিহাসবিদদের মতে, রোহিঙ্গা রাখাইনের স্থানীয় জনগণের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিভিন্ন বর্ণ ও সংস্কৃতির মিশ্রণে সৃষ্ট বিবর্তিত একটি স্বতন্ত্র জাতিগত সম্প্রদায়। এর আগে দুইবার মিয়ানমার বাংলাদেশের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আইনি স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছিল। সম্প্রতি মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা রোহিঙ্গাদের ‘মিয়ানমারের বাসিন্দা’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে। রোহিঙ্গার জাতীয়তার কথা বলা হয়েছে, সেখানে বিভ্রান্তির কোনও অবকাশ থাকতে পারে না। এ পর্যায়ে তাদের পরিচয় নিয়ে বিতর্ক তৈরির প্রচেষ্টা পরিষ্কারভাবে ইঙ্গিত দেয় যে মিয়ানমার এখনও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বাদ এবং প্রান্তিকীকরণের নীতি অনুসরণ করে।

মিয়ানমারের মন্ত্রী তার বক্তব্যে রোহিঙ্গা সংকটকে রাখাইন রাজ্যে আন্তঃসাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ও উন্নয়নের ঘাটতি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

বাস্তবে রাষ্ট্র দ্বারা নিয়মতান্ত্রিক বৈষম্যের শিকার এবং বিতাড়িত হওয়া এ দীর্ঘায়িত সংকটের মূল কারণ। যা কোফি আনান কমিশন এবং সাধারণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃত। রোহিঙ্গা সংকটের জন্য মিয়ানমার এক বিবৃতিতে এআরএসএকে দায়ী করেছে। মিয়ানমারকে বুঝতে হবে যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট তথাকথিত এআরএসএর আক্রমণের কারণে কখনও উচ্চতর বৈষম্যমূলক সামরিক প্রতিক্রিয়া, ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং একটি নির্দিষ্ট জাতিগত সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংসতা চালানো ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।

বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে এআরএসএর কার্যক্রম নেই বলে মিয়ানমারকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে বর্তমান সরকারের ‘জিরো টলারেন্স নীতি’ দিয়ে সুরক্ষা বাহিনী কর্তৃক উচ্চ সতর্কতা এবং কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কারণে বাংলাদেশের কোথাও সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি পরিচালনা সম্ভব নয়। মিয়ানমারের অবশ্যই বাংলাদেশকে তার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ও সুরক্ষার কাঠামোয় জড়িত করা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে একটি বিস্তৃত সহযোগিতা ব্যবস্থার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিতে পারে।

মিয়ানমার সরকার দ্বিপাক্ষিক বিধানগুলো বাস্তবায়নের জন্য এবং সমস্যাটির মূল রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সুরক্ষা এবং সামাজিক কারণগুলো সমাধানের জন্য এখনও কোনও রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তি প্রদর্শন করতে পারেনি। ফাঁকা প্রতিশ্রুতি এবং অসমর্থিত দাবি মূল সংকট সমাধানে সহায়তা করবে না।

মিয়ানমার প্রত্যাবাসন ক্ষেত্রে অসহযোগিতার জন্য প্রায়ই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে। এ ধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং হীন উদ্দেশে করা। আগের দু’টি প্রত্যাবাসনে রোহিঙ্গারা রাজি হয়নি। কারণ রাখাইনে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং টেকসই জীবিকা নির্বাহের আশ্বাস দেওয়া হয়নি। জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয় নির্বিশেষে যে কেউ যে কোনও সময় মিয়ানমারে ফিরে যেতে চায়, বাংলাদেশ সরকার কাউকে না আটকানোর নীতিগত অবস্থান বজায় রেখেছে। যারা স্বেচ্ছায় ফিরে যাবে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ সরকার সর্বদা প্রস্তুত।

বাংলাদেশে আশ্রিত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল মিয়ানমার। যা পরিস্থিতি উন্নয়নের সাক্ষ্য দেয় না। মিয়ানমার দাবি করেছে যে পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত। কিন্তু সে জায়গাগুলো আসলেই উপযুক্ত কিনা, তা অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং সম্ভাব্য প্রত্যাবাসীদের প্রতিনিধিদের মূল্যায়ন করার এবং প্রত্যাবাসীদের পছন্দসই সহায়তা করার অনুমতি দেবে। তারা রাখাইনে নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ এবং স্বেচ্ছাসেবী প্রত্যাবর্তনের অনুকূল পরিবেশ তৈরির দাবির ন্যায্যতার জন্য আন্তর্জাতিক মিডিয়া এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোকেও আমন্ত্রণ জানাতে পারে।

মিয়ানমার সাধারণত রাখাইন রাজ্যে ইউএন এজেন্সি এবং অন্যান্য অংশীদারদের জড়িত থাকার বিষয়ে ইতিবাচক ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জন্য এখনও রোহিঙ্গা গ্রামে প্রবেশ অত্যন্ত সীমিত। মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের সংস্থাগুলো এবং রাখাইনে ফিরে যাওয়া ও পুনরায় অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে এবং অন্যান্য অংশীদারদের একটি অর্থবহ কার্যক্রম অবিচ্ছিন্নভাবে অস্বীকার করছে।

   

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ২০০ পিস ইয়াবাসহ এক গৃহবধূকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটক নাজমা আক্তার (৪০) নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মার্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলের নুর নবীর স্ত্রী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিল থেকে তাকে আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, আটক নাজমা নোয়াখালী পৌরসভার মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলে ভাড়া থাকত। ওই ভাড়া বাসা থেকে সে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে নাজমা তার পরিহিত স্যালোয়ারের ডান কোচের ভিতর থেকে ২০০ পিস ইয়াবা বের করে দেন।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এরপর কিছু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে সই হবে।
দুই নেতা একান্তেও বৈঠক করবেন।

গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এরআগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ড গেছেন।

সূত্র-বাসস

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, আসামিদের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, ২২ কেজি ৫৮৯ গ্রাম গাঁজা, ১৯০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;