পরিকল্পিত গ্রাম গড়তে ‘পল্লী জনপদ’ প্রকল্পে সরকারের সায়
পরিকল্পিত গ্রামীণ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকায় সমবায়ভিত্তিক বহুতল ভবন বিশিষ্ট ‘পল্লী জনপদ’ নির্মাণ প্রকল্পে সায় দিয়েছে সরকার।
‘পল্লী জনপদ’ নির্মাণের পূর্ত কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের মাধ্যমে বাস্তবায়নের ভূতাপেক্ষ (অতীতের ঘটনা সম্পর্কিত) অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৯তম অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, এ প্রকল্প উদ্যোক্তা মন্ত্রণালয় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে রয়েছে। এ কাজের জন্য ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং আধুনিক নাগরিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত সমবায়ভিত্তিক বহুতল ভবন বিশিষ্ট পল্লী জনপদ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৪ সালের ১৯ আগস্ট একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়। সাতটি সাইটের মধ্যে চলমান তিনটি সাইটের (রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা) নির্মাণ কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম) অনুসরণের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য চলতি বছরের ১৯ জুন সিসিইএর সভায় ভূতাপেক্ষ অনুমোদন প্রস্তাব সম্পর্কিত কার্য বিবরণীর সিদ্ধান্তসহ সারসংক্ষেপ বিবেচনাকালে প্রধানমন্ত্রী অনুশাসন দেন। পল্লী জনপদের কয়টি কাজ শেষ হয়েছে এবং এর সফলতা কতটুকু, তা বিশ্লেষণ করতে হবে। যে কাজ শেষ হয়ে গেছে, সেগুলো সম্পন্ন করার পর বাকিগুলো করা ঠিক হবে কিনা তা যাচাই করে নতুন কাজ শুরু করতে হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, গাজীপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের মাধ্যমে বাস্তবায়িত চলমান তিনটি সাইটে মোট ১৫৪ কোটি ৬০ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য পিপিএ-২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) অনুযায়ী এবং পিপিআর-২০০৮ এর বিধি ৭৬(২) অনুযায়ী জনস্বার্থে এবং জরুরি প্রয়োজনে ডিপিএম অনুসরণে সিসিইএর ভূতাপেক্ষ অনুমোদনের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের তিনটি ইউনিটের মধ্যে রংপুরে ৮০ শতাংশ, গোপালগঞ্জে ৮০ শতাংশ এবং বগুড়ায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।