ডি-৮ এর আগামী সম্মেলন বাংলাদেশে



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে ডি-৮ এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত জাফর কু শারি, ছবি: সংগৃৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে ডি-৮ এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত জাফর কু শারি, ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উন্নয়নশীল আট মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংগঠন ডি-৮ এর দশম সম্মেলনের আয়োজন করবে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ডি-৮ এর মহাসচিব রাষ্ট্রদূত জাফর কু শারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা উল্লেখ করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, 'ডি-৮ এর আগামী ঢাকা সম্মেলনে বাংলাদেশকে জোটের পরবর্তী চেয়ারম্যান করা হবে যা কাকতালীয়ভাবে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে মিলে গেছে।'

ডি-৮ মহাসচিব সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তিনি বলেন, 'ঢাকা সম্মেলনে ২০৩০ সালের এজেন্ডার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে নতুন উদ্যোগ ও ধারণা গ্রহণ করা হবে।'

রাষ্ট্রদূত জাফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া প্রদান করে বলেন, 'বর্তমানে আমরা ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখান থেকে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর জন্য ভূমি বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।'

তিনি বলেন, 'আমরা আরও উন্নয়নের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।'

প্রধানমন্ত্রী এবং মহাসচিব উভয়েই ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ডি-৮ সদস্যভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্ক।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

   

বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট ৩৪ বাংলাদেশির মৃত্যু, ক্ষতিপূরণ দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতীয় হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ৩৪ সীমান্তবর্তী মানুষের মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ দাবিতে মানববন্ধন করেছে শেরপুর জেলা উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ।

শনিবার (১১ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হাতি যখন ফসল এবং ঘরবাড়ি নষ্ট করে তখন মানুষ হাতিকে মেরে ফেলে, আর এর জন্য বনবিভাগ এবং স্থানীয় থানা পুলিশ জনগণকে মামলা দিয়ে হয়রানি করে। আমরা এ থেকে মুক্তি চাই।

সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শ্রীবরর্দী পাহাড়ি এলাকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ভারত বাংলাদেশ দীর্ঘ পাহাড় ঘেষা সীমান্তবাসী। নালিতাবাড়ী উপজেলার মধুটিলা ইকোপার্কের বাতকুচি পাহাড়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছে ৫০-৬০টি হাতির একটি দল। দিনে জঙ্গলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকলেও, রাত নামতেই খাবারের খোঁজে তারা হানা দিচ্ছে ফসলের ক্ষেতে। একই অবস্থা ওই দুই উপজেলাতেও রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই হাতির পাল ঢুকে পড়ে জঙ্গলে। সামনে কাউকে পেলেই আক্রমণ করে।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ গত ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান কৃষক উমর আলী। দুই মাসের ব্যবধানে হাতির আক্রমণে এ নিয়ে দু’জন প্রাণ হারালেন।

স্থানীয়রা জানান, এক সপ্তাহ ধরে এক দল ভারতীয় বুনো হাতি সীমান্তবর্তী বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ক্ষেতে নেমে খেয়ে ও পা দিয়ে মাড়িয়ে ফসল নষ্ট করছে। বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল রাতেও এক দল হাতি বাতকুচি গ্রামে ধানক্ষেতে আসে। এ সময় উমরআলীসহ গ্রামবাসী তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে চিৎকার করে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে হাতির পাল একটু পিছু হটলে নিজ বাড়ির দিকে যেতে থাকেন উমরআলী। পথিমধ্যে কয়েকটি হাতি তাঁকে ঘিরে ফেলে পা দিয়ে পিষে ও শুঁড়ে পেঁচিয়ে হত্যা করে।

মহিউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, নালিতাবাড়ী থানার ওসি ও ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সরকারিভাবে নিহত কৃষকের পরিবারকে সরকারিভাবে ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু ভারতের সরকার বা আসাম রাজ্য সরকার এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি এমনকি নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তা প্রদান করেনি।

এর আগে, ২৯ মার্চ একই উপজেলার নাকুগাঁও এলাকায় ফসল রক্ষা করতে গিয়ে হাতির ধাওয়া খেয়ে জেনারেটরের খোলা জিআই তারে জড়িয়ে উসমান আলী নামে একজন মারা যান।

তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, সন্ধ্যা নামলেই হাতিগুলো সড়কে ও লোকালয়ে চলে আসছে। হাতির পাল ফসলের ক্ষেতে এসে তাণ্ডব চালায়। এ সময় বাড়িঘর, গাছপালা ভাঙচুর করে। হাতির বিচরণ বেড়ে যাওয়ায় পাহাড় বেষ্টিত জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়ে নিয়ে আতঙ্কে আছেন। হাতির ভয়ে আমাদের নির্ঘুম রাত কাটছে। শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী এলাকার মানুষকে হাতির উপদ্রব থেকে বাঁচাতে ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা ৬ টি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো-

নিহত প্রত্যেক পরিবারকে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সহযোগিতা ও পুনর্বাসন করতে হবে।

হাতিদের খাওয়া-দাওয়া ও চলাফেরা স্বাভাবিক রাখতে নির্দিষ্ট হাতি অভয়ারণ্য কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। প্রয়োজনে ভারত বাংলাদেশ সরকার যৌথভাবে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারে।

ফসল ক্ষয়ক্ষতির শিকার কৃষকদের সাহায্য সহযোগিতা ও পুনর্বাসন করতে হবে।

শেরপুর জেলাকে পর্যটন জেলা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।

মানুষ ও হাতির মৃত্যু রোধ নিশ্চিত করতে হবে।

বনে আগুন জ্বালিয়ে বনভূমি ধ্বংসকারী দের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। অবৈধভাবে বালু, চিনামাটি উত্তোলন এবং গাছপালা নিধন করা বন্ধ করতে হবে।

সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন সংহতি প্রকাশ করেন। বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের যুগ্ম সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাশ্বত মনির, হাফিজুল করিম, মোঃ সুমন আহমেদ, সালাউদ্দিন নেট ভাসানীর স্বপন সাহা, ডাক্তার আমিনুল প্রমুখ।

;

বাগেরহাটে বজ্রপাতে ২ নির্মাণ শ্রমিক নিহত, আহত ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের শরণখোলায় বজ্রপাতে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয় জন। নিহতরা হলেন- মিলন (৩৫) এবং মোস্তফা (৪৫)। নিহতদের বাড়ি মোরলগঞ্জ উপজেলায়।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার বান্ধাঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শরণখোলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক প্রিয় গোপাল রায়।

শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএসএম কামরুজ্জামান জানান, বান্দাঘাট এলাকায় কার্গো থেকে বালু উঠাচ্ছিলেন শ্রমিকরা। বৃষ্টি শুরু হলে তারা পাশের একটি টিনের চালার নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় পর পর দুটি বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মিলন এবং মোস্তফা মারা যান।

আহতদের উদ্ধার করে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

;

চট্টগ্রামে রেললাইনের পাশে নবজাতক, উদ্ধারের পর বিক্রি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডী স্টেশনে রাতের আঁধারে রেললাইনের পাশ থেকে ভেসে আসছিলো শিশুর কান্না। কান্নার উৎস খুঁজতে খুঁজতে স্থানীয় জামালের ভাতঘর সংলগ্ন রেললাইনের পাশে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক নবজাতক। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। শুক্রবার ( ১০ মে) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা বলছেন, রাতের আঁধারে মেয়ে নবজাতকটিকে কেউ রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন একে উদ্ধার করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটির জন্ম মাত্র কয়েকদিন আগে।

তবে, রাতেই শিশুটিকে পটিয়া উপজেলার এক পরিবারের কাছে কয়েক হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আছহাব উদ্দীন বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

ড্রেনে-খালে বর্জ্য ফেললে কঠোর ব্যবস্থা: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ড্রেনে ও খালে বর্জ্য ফেলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শনিবার (১১ মে) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বর নগর ভবনের সামনে ডিএনসিসির বিভিন্ন এলাকা থেকে উদ্ধার করা বর্জ্যের প্রদর্শনী শেষে সংবাদমাধ্যমের কাছে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে বৃষ্টির সময় জলাবদ্ধতার জন্য ১০টি অঞ্চলে ১০টি কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। কোথাও বৃষ্টির পর জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলে ১৬১০৬ হটলাইনে যোগাযোগ করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নগরে জলাবদ্ধতার প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, বৃষ্টি হলে শহরে যেভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো, সেটা অনেকাংশে সমাধান হয়ে এসেছে। এখনো অল্প এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। এ জলাবদ্ধতা শুধুমাত্র ড্রেনে ময়লা জমে সৃষ্টি হয়। এখন থেকে কেউ খালে ও ড্রেনে বর্জ্য ফেললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রদর্শনীতে থাকা বর্জ্যের বিষয়ে মেয়র আতিক বলেন, এসব বর্জ্য রাজধানীর বিভিন্ন খাল এবং ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিভিন্ন সময় সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান থেকে উদ্ধার হয় এসব বর্জ্য। এগুলোর কারণেই খালগুলো আটকে যাচ্ছে, যার কারণে নগরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী।

প্রদর্শনীতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। এসময় তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।

;