রাইড শেয়ারিং বন্ধের উড়ো খবরে আতঙ্কে চালকরা
আজ থেকে কার্যকর হয়েছে নতুন সড়ক ও পরিবহন আইন। এ আইনে বেশ কিছু সংযুক্তি ও পরিবর্তন থাকলেও অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবার বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো নীতিমালা ও নির্দেশনা দেওয়া হয়নি কোথাও। তবে রাজধানীতে অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধ করা হয়েছে-এমন উড়ো খবরে আতঙ্কে আছেন চালকরা।
নির্দিষ্ট কোনো বিধিনিষেধ না থাকলেও শুক্রবার (১ নভেম্বর) সকাল থেকেই আতঙ্ক ও মামলার ভয়ে রাজধানীর অ্যাপ ভিত্তিক বাইক ও কার চালকরা যাত্রী সেবা দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন।
অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিংয়ে নিয়মিত যাত্রী সেবা দিয়ে থাকেন আবু নাঈম খান। তার সঙ্গে কথা হয় শাহবাগ সিগন্যালে। তিনি জানান, সকালে বেড়িয়েছেন রাইড শেয়ারিংয়ে যাত্রি সেবা দিতে। মতিঝিল থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে এখানে এসেছেন। এখানে আসার পরে তার মতো আরো বেশ কয়েকজনকে বলতে শোনেন, নতুন সড়ক ও পরিবহন আইনে ঢাকার রাস্তায় কোনো অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা দেওয়া যাবে না বলে আইন পাস হয়েছে। যা কার্যকর হচ্ছে আজ সকাল থেকে।
বারডেম ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালের সামনে প্রতিদিনের মতো এদিনও রাইড শেয়ারিংয়ের বাইক ও প্রাইভেট কার চালকদের ভিড়। তাদের সঙ্গে কথা বলেও একই ধরনের আতঙ্ক ও আশঙ্কার কথা জানা যায়।
আতঙ্কিত প্রাইভেট কার চালক মুসাব্বির হোসেন বলেন, রাইড শেয়ারিং সেবা বন্ধের কথা লোকমুখে শোনার পর থেকে আর কোনো ট্রিপ দেইনি। অনেকে আবার রাইড শেয়ার করলেও ট্রাফিক বা সার্জেন্ট জিজ্ঞেস করলে অস্বীকার করতে যাত্রীকে অনুরোধ করছেন।
এদিকে বেশ কিছু রাইড শেয়ারিংয়ের যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আইনের কথা বলে তারা অ্যাপ ইউজ করছেন না। কিন্তু নানাভাবে তারা রাইড শেয়ারিং করছেন। এতে করে তারা অ্যাপের বাইরেও বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন।
এছাড়া শহর ঘুরে জানা যায়, যাত্রী ও পথচারীরা নতুন পরিবহন ও সড়ক আইন সম্পর্কে বেশি কিছু না জানলেও আইনকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। আবার নতুন আইন সম্পর্কে বাসচলকদের তেমন ধারণা নেই।
দায়িত্বরত রাসেল আহমেদ নামে এক সার্জেন্ট জানান, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই পরিচিত বেশ কিছু উবার ও পাঠাও চালক আমাকে এ বিষয়ে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছেন। আমি তাদেরও বলেছি, এ ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা আসেনি নতুন আইনে। অ্যাপ ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং চালকরা নীতিমালা তারা মেইন্টেইন করছেন কিনা, লাইসেন্স আছে কিনা এবং হেলমেট ব্যবহার করছেন কি না তা চেক করছি।