ধানমণ্ডিতে জোড়া খুনে অংশ নেয় ভাড়াটে খুনি
রাজধানীর ধানমণ্ডিতে শিল্পপতি মনির উদ্দিনের ফ্ল্যাটে তার শাশুড়ি আফরোজা বেগম ও গৃহকর্মী দিতি কিলিং মিশনে অংশ নেয় ভাড়াটে খুনি।
নতুন নিয়োগ পাওয়া গৃহকর্মী ও মামলার প্রধান আসামি সুরভি ছাড়াও অংশ নেন কয়েকজন। ফ্ল্যাটটিতে প্রবেশ করার আগে, ভবনের নিচে একত্রিত হয় তারা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিকভাবে তারা যেটা ধারণা করছেন, এই কিলিং মিশনে প্রথমে হত্যা করা হয় গৃহকর্মীকে, পরে গৃহকর্ত্রীকে। নিহত দুই জনেরই পেছন থেকে ছুরি দিয়ে এক টানে গলা কেটে ফেলা হয়। এরপর মৃত্যু নিশ্চিত করতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাতাড়ি কোপায় দুর্বৃত্তরা। হত্যাকাণ্ডের পর খুনিরা একসঙ্গে ভবনটি থেকে বেরিয়ে যায়।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা ধারণা করছেন, এই জোড়া খুন সম্পর্কে নিহত আফরোজা বেগমের পরিচিত কেউ বিস্তারিত জানেন। এমন হতে পারে তারই পরিকল্পনায় এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে।
এদিকে, গতকাল রোববার (৩ নভেম্বর) রাতে শেরে বাংলানগর এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি সুরভি নামের পলাতক গৃহকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
অন্যদিকে, এই জোড়া খুনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, আফরোজা বেগমের গলাকাটা ছাড়াও পেটে, বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করা হয়। এর মধ্যে একটি আঘাত তার কিডনি ভেদ করে। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা যান তিনি। অন্যদিকে গৃহকর্মী দিতির গলাকাটা ছাড়াও শরীরের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। গলাকাটায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তার।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শিল্পপতি মনির উদ্দিনের ধানমণ্ডির ২৮ নম্বর সড়কের ২১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলায় খুন হন আফরোজা ও দিতি।