বাংলাদেশের বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা হস্তান্তর



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

  • Font increase
  • Font Decrease

গঙ্গা বেসিন ও ব্রহ্মপুত্র-যমুনা বেসিনে বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেছেন চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বুধবার (৬ নভেম্বর) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘হ্যান্ড-ওভার সিরিমোনি অব দ্য প্ল্যানিং ফর ফ্লাড ম্যানেজমেন্ট ইন বাংলাদেশ’- শীর্ষক অনুষ্ঠানে বন্যা ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, উপমন্ত্রী এ. কে. এম. এনামুল হক শামীম, পানিসম্পদ সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার সহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

গৃহীত প্রকল্পটিতে যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মা নদীর মূলধারা এবং ব্রহ্মপুত্র-যমুনার কয়েকটি শাখানদীতে (দুধ কুমার, ধরলা ও তিস্তা) বন্যা ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা রয়েছে।

২৫ দশমিক ৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাংলাদেশে মধ্য এবং দীর্ঘমেয়াদী বন্যা ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের দিক-নির্দেশনা প্রণয়ন করার কাজে বিশেষ সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

২০১৪ সালের জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরকালে দুই দেশের সরকারের মধ্যে একটি বিনিময় পত্র সাক্ষরিত হয়। ২০১৬ সালে চীনের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো)। ২০১৭ সালে কাজ শুরু হয়ে চলতি বছরের জুন-এ কাজ সমাপ্ত হয়।

চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) এর মহাপরিচালক জনাব মো. মাহফুজুর রহমান হস্তান্তর সনদপত্রে স্বাক্ষর করেন।

   

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি মৌসুমে বিদায়ী এপ্রিল মাসে ছিল তীব্র তাপদাহ। এতে জনজীবনে ছিল অস্বস্তি। অবশেষে সেই অস্বস্তির মধ্যেই স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলল রাজধানী ঢাকায়।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টার দিকে শুরু হয় বৃষ্টি।

এর আগে সন্ধ্যা থেকেই রাজধানী ঢাকার আকাশ মেঘে ঢাকা ছিল।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রাত ৯টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার সদরঘাট, ইসলামপুর, সূত্রাপুর, রায় সাহেব বাজার, রায়েরবাগসহ একাধিক এলাকায় বৃষ্টি হয়। তবে এখন পর্যন্ত রাজধানীর সব এলাকায় বৃষ্টির দেখা না মিলললেও আকাশ মেঘলা অবস্থায় দেখা গেছে।

 

;

কুমিল্লায় বজ্রপাতে ৪ জনের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লায় হটাৎ বৃষ্টিতে চার উপজেলায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ মে) বিকেলে পৃথক সময়ে জেলার চান্দিনা, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং ও দেবিদ্বারে এ ৪ জনের মৃত্যু হয়।

বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- চান্দিনার বরকইট ইউনিয়নের কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামের সুন্দর আলীর ছেলে দৌলতুর রহমান (৪৭), সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ার ইউনিয়নের উত্তর সূর্যনগর গ্রামের আতিকুল ইসলাম (৫০), দেবিদ্বার উপজেলার ধামতী গ্রামের মোখলেছুর রহমান (৫৮) ও বুড়িচং উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের পাচোরা গ্রামের কুদ্দুস মিয়ার ছেলে আলম হোসেন।

স্থানীয় ও পুলিশের সূত্র জানা যায়, চান্দিনা উপজেলার কিছমত-শ্রীমন্তপুর গ্রামে কৃষি কাজ করার সময় বজ্রপাতে দৌলতুর রহমান (৪৭) মারা যায়। বুড়িচংয়ের রাজাপুর ইউনিয়ন নোয়াপাড়া গ্রামে আলম হোসেন ধান কাটার সময়, বাকি দুইজন বৃষ্টির সময় বাইরে থাকায় ঘটনাস্থলে মারা যায়।

;

বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের

বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান সংসদ সদস্যদের

  • Font increase
  • Font Decrease

তামাকের ব্যবহার নির্মূল করে তামাক মুক্ত দেশ গড়তে আসন্ন ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংসদ সদস্যরা।

তামাক পণ্যের কর থেকে যে রাজস্ব আসে তার থেকে অনেক বেশি তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতায় স্বাস্থ্য খাতে সরকারের খরচ হয় উল্লেখ করে সংসদ সদস্যরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪০ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' গড়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে দেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা কমাতে হবে। যে কারণে সিগারেটে কার্যকর করারোপ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সম্প্রতি মূল্যস্ফীতি এবং আয়ের প্রবৃদ্ধির কথা মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ, ও প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য যথাক্রমে ৩৩ শতাংশ, ১৯ শতাংশ, ১৫ শতাংশ, এবং ১৩ শতাংশ বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাজধানীর বাংলামোটরস্থ বিয়াম মিলনায়তনে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ে আয়োজিত জাতীয় সংলাপে তারা এ আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সিগারেটের ওপর কার্যকর করারোপের বিষয়ে যে ঐক্যমত আমাদের সংসদ সদস্যদের মধ্যে রয়েছে তা এবারের বাজেট আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে।

রাজশাহী ৩ আসনের সংসদ সদস্য মোহা. আসাদুজ্জামান আসাদ এবং নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য মো. আফতাব উদ্দিন সরকার মনে করেন, নিম্ন আয়ের মানুষ এবং কিশোর-তরুণদের সিগারেট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে হলে এই বাজেটে বেশি বেশি করারোপের মাধ্যমে সিগারেটের খুচরা মূল্য বাড়ানো প্রয়োজন এবং উপজেলা পর্যায়ে এর চাষ নিরুৎসাহিত করতে সরকারের ইনসেনটিভ মেকানিজম তৈরি করা জরুরি। জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের জন্য নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।

মহিলা সংরক্ষিত ৭ আসনের সংসদ সদস্য জারা জাবীন মাহবুব বলেন, সিগারেটের ব্যবহার কমিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাজেটে যথাযথ উদ্যোগ থাকা বাঞ্ছনীয়।

ঢাকা-১০ আসনের এমপি ফেরদৌস আহমেদ বলেন, সিগারেটের দাম ২০০ থেকে ৩০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর পাশাপাশি তামাকের উপর কার্যকর করারোপে গুরুত্ব দিতে হবে।

এ সময় সিগারেটে কার্যকর করারোপের বিষয়ে প্রস্তাবনাগুলো তুলে ধরেন তামাক-বিরোধী সংগঠনের পক্ষে উন্নয়ন সমন্বয়ের গবেষণা পরিচালক আব্দুল্লাহ নাদভী।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপই এই ক্ষতিকারক পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে আনার সবচেয়ে কার্যকর উপায়। এ কারণেই দেশের তামাক-বিরোধী নাগরিক সংগঠনগুলো সিগারেটে কার্যকর করারোপের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তবে সিগারেটের ব্যবহার কমলেও যেন সরকারের রাজস্ব আয়ে বড় চাপ না পড়ে- সে বিষয়টি মাথায় রেখেই কার্যকর করারোপের প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

এই প্রস্তাবনাগুলো বাস্তবায়ন করা গেলে একদিকে সিগারেট ব্যবহারের হার ৯ শতাংশ কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণ ২৮ শতাংশ বাড়বে বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, জামালপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. আব্দুর রশিদ, এবং সিরাজগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম।

এছাড়াও বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থনীতিবিদ ও রিসার্চ ডিরেক্টর ড. এসএম জুলফিকার আলী এবং বিইইটিসি ফোরামের সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন অধ্যাপক ড. নাজমুল ইসলাম এবং অধ্যাপক গোলাম আহমেদ ফারুকী।

;

কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা, কোয়ার্টার মাস্টারসহ গ্রেফতার ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের শতবর্ষী কালুরঘাট রেলসেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কার ঘটনায় তিন নাবিককে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২ মে) নগরীর কালুরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তিনজন হলেন- জাহাজে কর্মরত ২৪ বছর বয়সী কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান, ২১ বছর বয়সী সুকানি কোয়াটার ইয়ামিন মোল্লা ও গ্রীজার শাহাদাত হোসেন।

জানা গেছে, কালুরঘাট সেতুর পশ্চিমে হামিদচর এলাকায় একে খান ডকইয়ার্ডে জাহাজটি নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল। কিন্তু জোয়ার এবং প্রবল বাতাসের মধ্যে জাহাজটি ভারসাম্য হারিয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কালুরঘাট সেতুতে আঘাত করে আটকে যায়। জাহাজের মাস্টারের অনুপস্থিতিতে কোয়ার্টার মাস্টার সেটি ডকইয়ার্ডে নেয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে তথ্য পায় পুলিশ।

মামলা উল্লেখ করা হয়েছে, খালি জাহাজটি বেপোরোয়া গাতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রিজের ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে। মামলা দায়েরের আগেই জাহাজটি জব্দ করে নৌ পুলিশ। জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার এবং ১১ মিটার প্রস্থ।

সদরঘাট নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কা দেওয়ার ঘটনায় রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়। এ ঘটনার পরপরই আমরা জাহাজটি জব্দ করেছি। এরপর ওই মামলায় জাহাজের তিন নাবিককে গ্রেফতার করেছি।

এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে এমভি সমুদা-১ নামে লাইটারেজ জাহাজটি কালুরঘাট সেতুতে ধাক্কা দিয়ে সেখানে আটকে যায়। জাহাজটি মেসার্স রোকনুর মেরিটাইম লিমিটেড নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন। এদিন রাতে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদার বাদি হয়ে চট্টগ্রামের জিআরপি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে সেতুর ৫০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গীজারম্যানসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।

;