‘সরকার ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে’
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, ‘খেলাধুলা শুধু সুস্থ বিনোদনের মাধ্যম নয়, এটি বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারস্পরিক সহমর্মিতা সৃষ্টি করে। এটি দেশ ও জাতির জন্য সম্মান বয়ে আনে। আর তাই ক্রীড়াঙ্গনকে অবশ্যই দুর্নীতি ও ডোপিং মুক্ত করতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘ বাংলাদেশ সরকার ক্রীড়াঙ্গনের দুর্নীতি ও ডোপিংয়ের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছে। আমরা এটি দমনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
বুধবার (৬ নভেম্বর) পোলান্ডের কাতোউইচ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ওর্য়াল্ড কনফারেন্স অন ডোপিং ইন স্পোর্টস’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী রাসেল বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়মিত কাউন্সিলিং, সভা, সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা হচ্ছে।’
বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ডোপিং মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন তৈরির লক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সবসময় ক্লিন স্পোর্টসের ব্যাপারে মনোযোগী এবং স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন খেলাকে উৎসাহ দিয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে সরকার বদ্ধপরিকর।’
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হওয়া ডোপিংবিরোধী এ সম্মেলনে ১৮৯টি দেশের প্রায় ১৬০০ প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছে। বিশ্ব এ সম্মেলনে চার সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।
তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনে শেষ হবে বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর)। আশা করা হচ্ছে, এ সম্মেলনে ২০২১ ওয়ার্ল্ড এন্টি ডোপিং কোড অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ফর এডুকেশন অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ফর রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে এবং গ্লোবাল এন্টি-ডোপিং প্রোগামের রূপরেখা প্রণীত হবে।