চট্টগ্রামে খালে মিলল ১৫ টন পচা পেঁয়াজ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাতে এভাবে পেঁয়াজ ফেলে রেখে যায় আড়তদাররা,  ছবি: সংগৃহীত

রাতে এভাবে পেঁয়াজ ফেলে রেখে যায় আড়তদাররা, ছবি: সংগৃহীত

অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা, ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ, আড়তদারদের কারসাজিতে পেঁয়াজের দামের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সরগরম সংবাদমাধ্যম। এরই মধ্যে মিশর, তুরস্ক, মিয়ানমার, পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমাদানির কথা জানিয়েছে সরকার। তবে পেঁয়াজের ‘অস্থির’ বাজার নিয়ে শুরু থেকেই ত্রেতাদের অভিযোগ, আড়তদারদের কারসাজির ফলেই অনিয়ন্ত্রিত পেঁয়াজের বাজার।

ক্রেতাদের এমন অভিযোগের সত্যতাও মিলল এবার। যেখানে সারা দেশ পেঁয়াজ সংকটে ভুগছে, সেখানে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ বাজারের পাশের খালের পাড়ে মিলল প্রায় ১৫ টন পচা পেঁয়াজ। এরইমধ্যে যে ছবি ফেসবুকে ভাইরাল।

বিজ্ঞাপন
এই ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) রাতে চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের মসলা মার্কেট হিসেবে পরিচিত হামিদুল্লাহ মার্কেট, চাঁন মিয়া বাজার এবং মধ্যম চাক্তাই এলাকায় এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে যায় আড়তদাররা।

স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা জানান, দাম আরও বাড়বে সে আশায় নিজেদের গুদামে মজুদ করে রাখায় পেঁয়াজে পচন ধরেছে। সে পচা পেঁয়াজ এখন আড়ত থেকে বের হচ্ছে প্রতিদিন।

বিজ্ঞাপন

এ নিয়ে ভোক্তারা বলছেন, অতি লোভে তাঁতি নষ্ট। খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারের পাশেই চাক্তাই খাল। সেখানেই এসব পচা পেঁয়াজ ফেলে যায় আড়তদাররা।

কে বা কারা ফেলে গেছে সেটা কেউ বলতে পারছে না

এদিকে, ফেলে যাওয়া পচা পেঁয়াজের বস্তা থেকে নিম্ন আয়ের মানুষরা খাওয়ার উপযোগী পেঁয়াজ বেছে নিচ্ছেন।

ব্যবসায়ী আলতাফ মাহামুদ জানান, পেঁয়াজগুলো মিয়ানমার থেকে আমদানি করা। এসব পেঁয়াজ যখন খাতুনগঞ্জে ঢুকছিল, তখন কিছুটা পচা ছিল। আর আড়তে মজুদ করে রাখার ফলে একেবারে পচে গেছে। তবে তিনি পচা পেঁয়াজের আড়তদারের নাম-ঠিকানা কিছুই বলতে পারেননি।

নিম্ন আয়ের মানুষরা খাওয়ার উপযোগী পেঁয়াজ বেছে নিচ্ছেন।

চাক্তাই এলাকার চাল ব্যবসায়ী আবুল হাসেম বলেন, পেঁয়াজ পচলে ব্যবসায়ীদের কোনো অসুবিধা নেই। কারণ যে পরিমাণ পেঁয়াজ পচবে তার ক্ষতি পোষাতে ভালো পেঁয়াজের দাম বাড়াতে থাকবে তারা। এখন প্রতিদিন পচা পেঁয়াজ আড়ত থেকে বের হচ্ছে। প্রশাসনের উচিত এসব আড়তদারকে খুঁজে বের করা।

এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি

আড়তে কারা পেঁয়াজ মজুত করে রেখেছে, এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার কল্যাণ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহেসান উল্লাহ জাহেদীও পচা পেঁয়াজের বিষয়ে তথ্য দিতে পারেননি।

তিনি বলেন, পেঁয়াজ তো বেশি দিন মজুত করে রাখা যায় না। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে চাক্তাই খাতুনগঞ্জের অনেক আড়তে পানি ঢুকেছে। তখন হয়তো আড়তে পানি ঢুকে পেঁয়াজগুলো নষ্ট হতে পারে।