রাজশাহী বাঘা উপজেলায় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় উপজেলার বাউসা গ্রামের সুভাষ চন্দ্র (৪৫) নামে এক পেঁয়াজ ব্যবসায়ীর বাড়ির ছাদ থেকে লুকিয়ে রাখা প্রায় ১৫ মণ পেঁয়াজ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহীন রেজার কাছে মুচলেকা দিয়ে ছাড় পান তিনি।
ব্যবসায়ী সুভাষ চন্দ্র মুচলেকায় উল্লেখ করেন, ‘আগামী দুই দিনের মধ্যে তিনি বাড়িতে মজুতকৃত সব পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করে দেবেন।’
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ নভেম্বর) রাতে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান চালায় বাঘা থানা পুলিশ।
রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) নুরে আলম বলেন, ‘আমরা খবর পেয়েছি- উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা ইচ্ছাকৃতভাবে পেঁয়াজ মজুত করে বাজারে ঘাটতির সৃষ্টি করছেন। প্রশাসন এই ব্যাপারে মাঠে নেমেছে। বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে হলেও পেঁয়াজের সিন্ডিকেট ভাঙা হবে।’
মোল্লা কলেজে হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে মোল্লা কলেজে আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর ২ টা নাগাদ বিপুল পুলিশ তাদের উদ্ধারে কলেজের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের উপর চড়াও হলে পুলিশ পুলিশ পিছু হাটে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ওয়ারি বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার ছালেহ বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ভেতর সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থীরা৷ আটকে আছে। আমরা তাদের উদ্ধারের জন্য ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু আমাদের উপরে চড়াও হয়েছে। পরে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছি। তাদেরকে আমরা এই বিষয়টা অবগত করেছি। বিকাল ৪টায় আমরা কলেজ কতৃপক্ষের সাথে আলোচনায় বসবো।
সোহরাওয়ার্দী কলেজে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোল্লা কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
শীতের আগমনে বাজারে সরবরাহ বাড়ছে সব শাক-সবজির। এতে কমতে শুরু করেছে দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে প্রতিটি সবজির দাম। আঁটিপ্রতি অর্ধেকে নেমেছে বিভিন্ন শাকের দাম। ক্রেতাদের মনে স্বস্তি ফেরার কথা হলেও খুচরা বাজারের নানা কারসাজিতে অস্বস্তিতে রয়েছে ক্রেতারা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কেজিপ্রতি ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৯৫ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৭০-৭৫ টাকা, মানভেদে নতুন আলু ১২০-১৩০ টাকা কেজি, রসুন ২৭০-২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শীতের সবজির মধ্যে প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৭০ টাকা কেজি, করলা ৬০ টাকা কেজি, বরবটি ৬০ টাকা কেজি, শিম ১০০ টাকা কেজি, পটল ৫০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০ টাকা কেজি, শসা ৫০ টাকা কেজি, প্রতি পিস ফুলকপি মানভেদে ৮০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ১৩০ টাকা, মূলা ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ৮০ থেকে ১০০ টাকা ও কুমড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে শাকের মধ্যে লাল শাক, লাউ শাক, মুলা শাক, পুঁই শাক ২০ থেকে ৪০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মুরগির বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০-১৬৫ টাকা, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
খুচরা বিক্রেতা শিমুল জানান, বাজারে এখন গত সপ্তাহের তুলনায় দাম কম আছে। শীতের সবজি তো মাত্র আসতে শুরু করেছে। সপ্তাহখানেক যেতে দেন। এরপর দাম আরও কমে যাবে। এবার বন্যায় প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। এজন্য দাম কিছুটা বেশি। এখন আবার আরেক দফায় চাষ হচ্ছে। সেগুলো বাজারে এলেই দাম কমতে শুরু করবে।
বড় বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, শীতকালীন আগাম সবজি বাজারে এসেছে কয়েকদিন হলো। এরমধ্যে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক কমেছে, দিনযত যাবে দাম আরও কমে যাবে।
ব্যবসায়ীরা দাম কমার কথা বললেও দাম নিয়ে অস্বস্তিতে ক্রেতারা।
আলমগীর হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, শীতকালীন সবজি হলেও এখনও বাজারে দাম নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। পাইকারি বাজারে দাম কম হলেও খুচরা ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দামে। এ সিন্ডিকেট কেউ বন্ধ করতে পারেনি। যার কারণে দাম কমলেও সাধারণ মানুষ তার সুবিধা পায় না।
বাজারে আলুর দাম নিয়ে অস্বস্তিতে ক্রেতারা। পুরাতন আলু ৭০ টাকার অধিক এবং নতুন আলু কিনতে ১৩০ টাকার অধিক গুণতে হচ্ছে। আলুর দাম নিয়ে আরেক ক্রেতা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অন্যান্য বছর এ সময়ে আলু ৩০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে থাকত। এ বছর সে তুলনায় দাম বেশি।
বাজার করতে আসা গৃহিণী রুমা আক্তার বলেন, মানে বাজারে একটা না একটা দরকারি জিনিসের দাম বাড়তি থাকবেই। হয় ডিমের দাম, না হয় কাঁচামরিচ, না হয় আলু। এভাবেই চলছে। আমরা কাটছাঁট করে কোনোরকম টিকে আছি।
ফেনী পৌর তরকারি আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাফর বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি আগাম শীতকালীন সবজিতে ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমেছে। মূলা গত সপ্তাহে পাইকারিতে ৫০ টাকা বিক্রি করেছি এখন সেটি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ সবজির দাম আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এখনও পুরোদমে শীতকালীন সবজি বাজারে আসেনি, এগুলো আগাম সবজি। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দাম আরও কমে যাবে।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের হামলায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে ড. মোল্লা কলেজ ও আশেপাশের এলাকা। ভাঙচুর করা হয়েছে কলেজের ভবন। ডেমরা এলাকায় দফায় দফায় শিক্ষার্থীদের ধাওয়া চলছে। এতে দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় আহত হয়েছেন অনেকে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর এই হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষ শুরু হয়।
হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পর সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ডেমরা ফ্লাইওভারের উপর অবস্থান নেয়। নিচে একদিকে পুলিশ ও অন্যদিকে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশদের উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতেও দেখা গেছে। এছাড়া বেশ কিছু আহতদের হাসপাতালে নিতেও দেখা গেছে।
দুপুর পৌনে ২টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ডেমরা এলাকায় মোল্লা কলেজের আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলছে।
ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০'র অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। গতকাল এই সংঘর্ষের ঘটনার পর আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল হতেই কবি নজরুল কলেজের সামনে জড়ো হতে শুরু করে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০'র অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোল্লা কলেজে হামলা চালিয়েছে সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। ভাঙচুর করা হয়েছে৷ ভাঙচুর করা হয়েছে কলেজ। এ ঘটনায় ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর এই হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলা-ভাঙচুর ও সংঘর্ষের পর সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ডেমরা ফ্লাইওভারের উপর অবস্থান নেয়। নিচে একদিকে পুলিশ ও অন্যদিকে মোল্লা কলেজের শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেয়। এসময় পুলিশদের উদ্দেশ্য করে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করতেও দেখা গেছে। এছাড়া বেশ কিছু আহতদের হাসপাতালে নিতেও দেখা গেছে।
ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০'র অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। গতকাল এই সংঘর্ষের ঘটনার পর আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল হতেই কবি নজরুল কলেজের সামনে জড়ো হতে শুরু করে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের দুটি গ্রুপ মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) উদ্দেশে রওনা করেছেন।
এসময় শিক্ষার্থীদের 'মোল্লার চামড়া তুলে নিবো আমরা' এমন স্লোগান দিতেও দেখা গেছে।
এর আগে গতকাল রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে ড. মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ৩০'র অধিক কলেজ সমন্বিতভাবে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
জানা যায়, গত বুধবার ভুল চিকিৎসায় ডক্টর মাহাবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের (ডিএমআরসি) এইচএসসি শিক্ষার্থী অভিজিত হাওলাদারের মৃত্যুর অভিযোগে কলেজটির শিক্ষার্থীরা ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালায়। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার কবি নজরুল ও সোহরাওয়াদী কলেজের ছাত্রদলের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনরত ডিএমআরসি কলেজের বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ চালায়।
আক্রমণের প্রতিবাদে গতকাল ঢাকা ও তার আশেপাশের এলাকার ডিএমআরসি কলেজ, নটরডেম কলেজ, সিটি কলেজ, ঢাকা কলেজ, নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, নারায়ণগঞ্জ সরকারি কলেজ, খিলগাও সরকারি কলেজসহ ৩০ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়াদী ও কবি নজরুল কলেজে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। পরবর্তীতে এক পক্ষ অপর পক্ষের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়।
এতে গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনের বেশি শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল ডিএমআরসি কলেজের এক শিক্ষার্থী জানায়, আজ সকালে ডিএমআরসি ও আশেপাশের কলেজগুলো ন্যাশনাল মেডিকেলের সামনে বিক্ষোভ করতে আসলে কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা পুনরায় আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে আমরা তাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করি।