শ্রমিক ইউনিয়নের নৌ-ধর্মঘট প্রত্যাহার
গত মধ্যরাত থেকে চলমান বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা নৌ-ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিভিন্ন শ্রমিক ইউনিয়নের দাবি মানার বিষয়ে আলোচনার প্রেক্ষিতে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
নৌ পরিবহন খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানের বিষয়ে মনিটরিং এর জন্য নৌ পরিবহন অধিদফতর তাদের বার্ষিক সার্ভে চেক লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করবে। এ খাতের শ্রমিকদের খাদ্যভাতা প্রদানের বিষয়ে বৈঠকে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
এ প্রসঙ্গে আন্ত:মন্ত্রণালয় বৈঠক করে মার্চ ২০২০ এর মধ্যে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। তেলবাহী জাহাজ ট্যাংকারের ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুললে এ বিষয়ে আগের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া মালিকগণ তেল পরিবহন রুটে নিয়মিত ড্রেজিং এর অনুরোধ করেন।
বৈঠকে নৌ পরিবহন শ্রমিকদের প্রোভিডেন্ট ফান্ড এবং ওয়েলফেয়ার ফান্ড গঠনের বিষয়ে নৌ পরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালককে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন নদীর মুখে ড্রেজিং করে জাহাজ চলাচল নিরাপদ করতে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেন।
গত মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্কহেড শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশ নৌ-যান শ্রমিক লীগ চলমান এ নৌ ধর্মঘট আহবান করে।
বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আলী আজম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. রেজাউল হক, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক একে এম মিজানুর রহমান, বিআইডাব্লউটিএ এর চেয়ারম্যান কমোডর এম মাহবুব-উল-ইসলাম, নৌ পরিবহন অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী ও জরিপকারক মো. মনঞ্জুরুল কবীর, বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শেখ মো. ইছা মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহদাত হোসেন, নৌ-যান শ্রমিক লীগের সভাপতি শেখ মো. ওমর ফারুকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন।