‘টেলিভিশন ও পত্রিকার অনলাইনেরও অনুমোদন নিতে হবে’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপ করছেন তথ্যমন্ত্র্রী ড. হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফার.কম

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলপ করছেন তথ্যমন্ত্র্রী ড. হাছান মাহমুদ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফার.কম

শুধুমাত্র অনলাইন পত্রিকা নয়, স্যাটেলাইট টেলিভিশন এবং দৈনিক পত্রিকাগুলোর অনলাইন ভার্সনেরও অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, ‘পত্রিকার পাশাপাশি টেলিভিশনগুলো অনলাইন ভার্সনে যেসব কনটেন্ট প্রচার করছে, তার কোনো অনুমোদন তাদের দেওয়া হয়নি। এজন্য তারা এসব প্রচার করতে পারে না। যদি কেউ প্রচার করতে চায় সেগুলোকে আমরা একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চাই এবং যথাযথ অনুমোদন নিয়েই সেটি করতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে তার নিজ দফতরে সমসাময়িক বিষয় আলাপকালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে একটি খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল, যেসব দৈনিক পত্রিকা মিডিয়াভুক্ত তারা অনলাইন ভার্সন চালাতে পারবে। তবে এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করেছি, দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সন প্রচারের ক্ষেত্রেও একটি নিয়ম নীতির মধ্যে থাকা দরকার।’

বিজ্ঞাপন

বিদেশি ডাবিংকৃত সিরিয়াল প্রচারে অনুমোদন লাগবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন চ্যানেলে যে বিদেশি ডাবিংকৃত অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে সেগুলোর জন্য অনুমতি নেওয়া বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছি। এগুলো একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাওয়া প্রয়োজন। একটি সিনেমা যেমন মুক্তি পেতে হলে সেন্সরবোর্ড হয়ে আসতে হয়, তেমনি অনেক লম্বা সময় ধরে প্রচারিত হওয়া বিদেশি ডাবিংকৃত সিরিয়াল প্রচারের ক্ষেত্রেও অনুমতির প্রয়োজন আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে একটি কমিটি করেছি। গত ২৭ নভেম্বর এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সেই কমিটির প্রধান থাকবেন সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশিদ, বিশিষ্ট নাট্যজন সারা জাকের, টেলিভিশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের একজন প্রতিনিধি ও অভিনয় শিল্পী সংঘের একজন প্রতিনিধি। একজন উপসচিব এই কমিটির সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন।’

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এখন থেকে যেকোনো টেলিভিশনে বিদেশী কোন ডাবিংকৃত সিরিয়াল প্রচার করতে হয় তাহলে তা এই কমিটির কাছে আসবে। এই কমিটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যাচাই বাছাই করে দেখবে এটি আমাদের দেশে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে, আমাদের নতুন প্রজন্মের মনন তৈরির প্রেক্ষাপটে আমাদের সমাজে কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলছে কিনা। এই বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দিলেই তা প্রচারিত হবে।’

তিনি বলেন, ‘মোবাইল কোম্পানিগুলো নানা ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়ছে আবার সেখানে বিজ্ঞাপনও নিচ্ছে এটির লাইসেন্স তাদেরকে দেওয়া হয়নি। তাদেরকে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তারা যেভাবে ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করছে এবং সেখানে আবার বিজ্ঞাপন নিয়ে তারা ব্যবসা করছে। এটি বন্ধ করতে আমরা ইতোমধ্যে টেলিকমিউনিকেশন মিনিস্ট্রিতে চিঠি দিয়েছি, আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে আলোচনা করেছি। এসব বিষয়কে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।’