২৫০ টাকার পেঁয়াজ সরকার বিক্রি করছে ৪৫ টাকায়!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নানামুখী উদ্যোগেও পেঁয়াজের ঝাঁজ কমানো যাচ্ছে না। পেঁয়াজের অস্থির বাজারের দায়ভার পড়েছে সরকারের ওপর। যদিও মানুষের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সর্বোচ্চ ভর্তুকি দিয়ে মিশর, তুরস্ক ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে তাৎক্ষণিকভাবে আকাশ পথেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। সেই পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে ২৫০ টাকা খরচ পড়লেও সরকার ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছে টিসিবির মাধ্যমে।

সাধারণত ভারত থেকে সড়ক পথে এবং মিয়ানমার থেকে নৌ পথে পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও এবারই প্রথম আকাশ পথে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। কেবল মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়েই সরকার তড়িৎ গতিতে পেঁয়াজ আমদানি করে। আকাশ পথে পেঁয়াজের প্রথম চালান আসে গত ২০ নভেম্বর। পাকিস্তানের করাচি থেকে ৮২ টন পেঁয়াজ নিয়ে কার্গো প্লেন ঢাকায় অবতরণ করে।

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব মতে দেশে প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টন। এ হিসেব ধরে মাসে প্রয়োজন ১ লাখ ৯৫ হাজার টন। বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ থেকে ২৫ লাখ টন। দেশে উৎপাদনও হচ্ছে ২৩-২৪ লাখ টন। এর মধ্যে বীজ এবং পচে যাওয়া অংশ বাদ দিলে থাকে ১৬-১৭ লাখ টন। তাই প্রতি বছর প্রায় ৭-৯ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়। আর সেই আমদানির সিংহভাগই আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে। টিসিবি’র হিসাবে পেঁয়াজ আমদানির ৯০ ভাগই ভারতের বাজারের ওপর নির্ভরশীল।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির হতে থাকে। বর্তমানে রেকর্ড দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর ৩০-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। বাজারে ২০০ টাকার নিচে পেঁয়াজ পাওয়া দুষ্কর।

পেঁয়াজের চলমান সংকট মোকাবেলায় আকাশ পথে ও নদী পথে মিশর, তুরস্ক, পাকিস্তান, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করলে সড়ক পথে আসতে যেখানে ৪-৫ দিন সময় লাগে সেখানে মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসতে লাগছে দেড় থেকে দুই মাস। যে কারণে চাইলেও হুট করে দাম কমানোর প্রতিশ্রুতি দিতে পারছে না সরকার।

তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে জাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানির ফলে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আনা হচ্ছে তার ২৫ শতাংশই পচনজনিত কারণে নষ্ট হচ্ছে ফলে ঘাটতি কিছুটা মেটানো সম্ভব হলেও বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় মিশর ও তুরস্ক থেকে নদী পথে পেঁয়াজের প্রথম চালান ২৯ নভেম্বর বন্দরে এসে পৌঁছায়। আরও কয়েকটি চালান নদী পথেই রয়েছে। এসব পেঁয়াজ যখন দেশের বাজারে ঢুকবে তখনই কেবল দাম নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নদী পথে আমদানি করা পেঁয়াজের চালান আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, গত দুই মাসে আমাদের বন্দরে প্রায় ২০ হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে। এখানে বেশির ভাগ জাহাজ আসে সিঙ্গাপুর থেকে তাই আমরা বলতে পারব না আসলে কোন দেশ থেকে আসছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে বিক্রি করা হচ্ছে সারা দেশে। বর্তমানে ঢাকায় ৫০টি ট্রাকে ৪৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছে টিসিবি। প্রতি ট্রাকে ১ হাজার কেজি পেঁয়াজ থাকে। সেখান থেকে জন প্রতি ১ কেজি করে পেঁয়াজ কেনার সুযোগ রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে প্রায় ৩০০টি ট্রাকে একই দামে পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরকারের পদক্ষেপ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, চাইলেই চট করে সমস্যার সমাধান হবে না। বুঝতে হবে আমরা এতদিন একটি মাত্র দেশের ওপর নির্ভরশীল ছিলাম। তারা বন্ধ করে দেওয়াতে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এখন মিয়ানমারেও পেঁয়াজের দাম বেশি, তাছাড়া ভারতেও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ রুপিতে, যা টাকায় ১৪২ টাকা। আমরা এত দিন ভারত থেকে আমদানি করতাম। সেখান থেকে পেঁয়াজ আনতে লাগত ৪-৫ দিন। এখন মিশর, তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসতে লাগে দেড় থেকে দুই মাস। আর আকাশ পথে যদি পেঁয়াজ আনি প্রতি কেজি পেঁয়াজের দর পড়বে ২৫০ টাকা। আর নদী পথে আনলে খরচ পড়বে সাড়ে ৩৭ টাকা। উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্লেনে যে পেঁয়াজ আমদানি করেছি তা প্রতি কেজি ২৫০ টাকা খরচ পড়েছে, সেটা বিক্রি করছি মাত্র ৪৫ টাকায়। প্রায় ২০৫ টাকা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে।

পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, মিশর, তুরস্ক ও অন্যান্য দেশ থেকে যখন পুরোদমে পেঁয়াজের চালান দেশে আসবে এবং দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজ যখন বাজারে উঠবে তখনই কেবল বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে।

   

নোয়াখালীতে ইয়াবাসহ গৃহবধূ আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ২০০ পিস ইয়াবাসহ এক গৃহবধূকে আটক করেছে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

আটক নাজমা আক্তার (৪০) নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মার্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলের নুর নবীর স্ত্রী।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেয়। এর আগে, গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে নোয়াখালী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিল থেকে তাকে আটক করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জানায়, আটক নাজমা নোয়াখালী পৌরসভার মাস্টার পাড়ার সিরাজ মঞ্জিলে ভাড়া থাকত। ওই ভাড়া বাসা থেকে সে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে নাজমা তার পরিহিত স্যালোয়ারের ডান কোচের ভিতর থেকে ২০০ পিস ইয়াবা বের করে দেন।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল হামিদ বলেন, এ ঘটনায় আসামির বিরুদ্ধে সুধারাম মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

থাই পিএমও-তে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দিতে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই প্রধানমন্ত্রী জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বাগত জানান।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দু’নেতা দ্বিপাক্ষিক পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার কথা রয়েছে। এরপর কিছু ক্ষেত্রে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে সেখানে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে সই হবে।
দুই নেতা একান্তেও বৈঠক করবেন।

গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন অভ্যর্থনা জানান এবং এরপর সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে তাকে লাল গালিচা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করে। প্রধানমন্ত্রী গার্ড পরিদর্শন করেন।
শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন এবং এরআগে থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের পরিচয় করিয়ে দেন।

গভর্নমেন্ট হাউস ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ছয় দিনের সরকারি সফরে থাইল্যান্ড গেছেন।

সূত্র-বাসস

;

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেপ্তার ৩৯



Sajid Sumon
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, আসামিদের কাছ থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, ২২ কেজি ৫৮৯ গ্রাম গাঁজা, ১৯০ গ্রাম হেরোইন ও ১০ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

বীর মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ, পৌর মেয়রের বিচারের দাবি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মো. মঞ্জুরুল আলমের কুশপুত্তলিকা দাহ করে প্রকাশ্যে অবমাননার ঘটনায় মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাটের বিচারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে জেলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্তোরায় মেয়র রুবেল ভাটের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা এ সাংবাদিক সম্মেলন করেন। একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অবমাননার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার চেয়েছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা তাজল ইসলাম, জাফর আহমেদ ভূঁইয়া ও মোকতার আহমেদ ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মঞ্জুরুল আলম বলেন, ২০২২ সালে রায়পুর থানা মসজিদ সংলগ্ন আমি ও আমার অংশীদার যৌথভাবে একটি ৯ তলা ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করি। শুরু থেকেই মেয়র রুবেল ভাট আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়ে আসছে। কিন্তু আমি চাঁদা দেবো না বলছি। এরমধ্যেই পঞ্চম তলার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ তলার কাজ চলমান রয়েছে। গত ৪ মার্চ মেয়র রুবেল ভাটের লোকজন এসে আমাদের ভবনের সামনে রাউন্ড দেওয়াল ভেঙে দেয়। আমি এসে কারণ জানতে চাইলে তারা ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। একইদিন আমি ওমরাহর জন্য রায়পুর থেকে চলে যায়। আমার অংশীদার সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আহম্মদ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরপরও পরদিনের একটি মারামারির ঘটনা সাজিয়ে মেয়র তার কার্যালয়ের কার্যসহকারী মহিন উদ্দিন বিপুকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ চাঁদা দাবির ঘটনায় আমি মেয়র রুবেলভাটসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রায়পুর আদালতে ২১ এপ্রিল মামলা দায়ের করি। এর জের ধরে আমার বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মেয়রের লোকজন আমার কুশপুত্তলিকা দাহ ও ঝাড়ু মিছিল করেছে। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মঞ্জুরুল আলমের ব্যবসায়ীক অংশীদার সৈয়দ আহম্মদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের অন্যতম স্লোগান। এরপরও মেয়র রুবেল ভাট একজন মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করিয়েছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছে তাদের এমন অপমান কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন রুবেল ভাট বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। আগে জানতাম না, পরে শুনেছি। আমি পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র আমার পক্ষে লোকজন আসতেই পারে। কেউ যদি এসে মিছিল বা অন্য কিছু করে তাতো আমার বিষয় না। পক্ষে-বিপক্ষে লোকজন থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াছিন ফারুক মজুমদার বলেন, মেয়রের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তে আদালতের নির্দেশনা পেয়েছি। আগামি ৬ জুনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে। এছাড়া পৌর কর্মচারী বিপুও একটি মামলা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা মঞ্জুরুল আলমের বিরুদ্ধে। দুটি মামলাই তদন্ত চলছে। মুক্তিযোদ্ধার কুশপুত্তলিকা দাহের ঘটনাটি জানা নেই।

রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান খান বলেন, মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মিছিল হয়েছে শুনেছি। কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘটনাটি জানা নেই। কেউ আমাকে বলেনি। এমন ধরণের ঘটনা অবশ্যই ঘৃণিত কান্ড। এ ঘটনায় তিনি মানহানি মামলা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সহযোগীতা করা হবে।

;