জীবন সংগ্রামে জয়ী আইরিন



কান্ট্রি ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর: নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করাসহ অবহেলিত নারী সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন ছিল শৈশব থেকেই। কিন্তু স্কুলের গণ্ডি পেরোতেই বাবা মারা যান। তবুও জীবনের সাথে সংগ্রাম করে চালিয়ে গেছেন নিজের পড়ালেখা। শেষ করেছেন শহরের একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান থেকে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর পড়াশোনা। নিজ উদ্যোগে জমানো অর্থ, পারিবারিক সহযোগিতা আর বিভিন্ন সংস্থা থেকে ঋণ নিয়ে খুলে বসেন আইরিন কম্পিউটার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তারপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।

বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে অদম্য সাহস, সততা আর আপন কর্মের মাধ্যমে সফল হতে থাকেন তিনি। অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেন স্থানীয়দের মাঝে। সফলতার খেতাব স্বরূপ চট্টগ্রাম বিভাগীয় সেরাসহ স্থানীয় পর্যায়ে পেয়েছেন বেশ কয়েকবার সম্মাননা ও অসংখ্য পুরস্কার। আর এ সফলতার পেছনে তার নিজের উদ্যোগই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া সহযোগিতা ও পরামর্শ পেয়েছেন পরিবার, স্বামী, লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসন, স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের কাছ থেকে।

বলছিলাম লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড বঞ্চানগর গ্রামের আলী আকবর ও সামছুন নাহারের মেয়ে আইরিন সুলতানার কথা। দুই ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি।

শিক্ষা জীবনে আইরিন লক্ষ্মীপুর সরকারি বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শেষ করেন। এরপর লক্ষ্মীপুর শ্যামলী আইডিয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কম্পিউটারের উপর ডিপ্লোমা ইন ইনঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেন। পড়ালেখার পাশাপাশি লক্ষ্মীপুর যুব উন্নয়ন, কারিগরি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং, অটোক্যাড, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইলেকট্রনিক্স, মাছ ও সবজি চাষ, বনায়ন, হাঁস-মুরগি পালনসহ প্রায় ২০টি বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে ঢাকার সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট ইলেকট্রিক্যালে বিএইচসি ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ২য় বর্ষে অধ্যয়নরত আছেন আইরিন।

কর্মের শুরুতেই আইরিন এনজিও সংস্থা থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে একটি কম্পিউটার ক্রয় করে নিজের বাসায় মেয়েদের প্রশিক্ষণ দেন। পাশাপাশি শুরু করেন বিভিন্ন হাতের কাজ। শহরের বিভিন্ন দোকানের অর্ডারকৃত জামা- নকশি কাঁথা সেলাই করতেন।

/uploads/files/EZoO8d0hkWOoqkXna1ofgEdpS8WkNQZkL49n7dq8.jpeg

২০১১ সালে সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়নের মো. শাহজাহান ভূঁইয়ার ছেলে মো. মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তখনও থেমে যাননি তিনি। স্বপ্ন পূরণের জন্য ও আত্মনির্ভরশীল নারীদের প্রশিক্ষণ দিতে ২০১২ সালের ৯ অক্টোবর নিজের জমানো মূলধন দিয়ে শহরের ঝুমুরের মজু মার্কেটে ‘আইরিন কম্পিউটার অ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ প্রতিষ্ঠান খুলে বসেন। প্রতিষ্ঠানটি মেয়েদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শুরু করলেও বর্তমানে ছেলেমেয়ে উভয়কে আলাদা ভাবে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও কম্পিউটারের মাধ্যমে ট্রেনিং দিয়ে থাকেন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল নারীদের, গরীব-মেধাবীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন তিনি।

২০১৭ সালে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আইরিন টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (৬৭০৩৬) নামে কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে স্বল্পমেয়াদি বেসিক ৩৬০ ঘণ্টা অফিস এপ্লিকেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া, হার্ডওয়্যার অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং কোর্সের অনুমোদন পায়। এছাড়াও আউটসোর্সিংসহ আরও ৫টি ট্রেডে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন দক্ষতার সাথে। প্রতিষ্ঠানে আগত প্রশিক্ষণার্থীদের নিরাপত্তার জন্য একাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছেন।

আইরিনের এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১২ সালে ৫০ জন, ২০১৩ সালে ৮০ জন, ২০১৪ সালে ১৮২ জন, ২০১৫ সালে ২২৭ জন, ২০১৬ সালে ২১৭ জন, ২০১৭ সালে ২৫০ জন ও ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত ২০০ জনসহ মোট ১২০৬ জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ নিয়ে বিভিন্ন চাকরিসহ কর্মসংস্থান করে স্বাবলম্বী হয়েছে। তাদের মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ১৪ জন, সহ-পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ৫ জন, গ্যাস অফিসে ১ জন, জেলা পরিষদের উদ্যোক্তা ২ জন, জেলা শিক্ষা অফিসে ১ জনসহ সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শতাধিক নারী-পুরুষ। এছাড়া আবার কেউ কেউ নিজেই প্রতিষ্ঠান খুলে অন্যজনের জন্য কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করেছে।

সফলতার বিষয়ে আলাপকালে আইরিন সুলতানা বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চাকরি করবো না, চাকরি দিব’ সে কথাটিও নিজের মধ্যে লালন করি। তাই আজ সফল হতে পেরেছি। সফলতার পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছি বিভাগীয় সেরাসহ স্থানীয় বিভিন্ন সম্মাননা। সমাজের জন্য কাজ করলে সেরা হব, এটাই স্বাভাবিক। এখন স্বপ্ন অবহেলিত নারী সমাজকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং জাতীয় পর্যায়ে সেরা জয়িতা নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নেওয়া। আর সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য এখনও কোনো সরকারি সহযোগিতা পাইনি। যদি এই সহযোগিতাটা পেতাম তাহলে এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বহু নারীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারতাম। এছাড়া আগে শিক্ষিত যুবসমাজ নিয়ে কাজ করলেও এখন সমাজের অসচ্ছল, নিরক্ষর, স্বামী পরিত্যক্ত নারীদের বিনা মূল্যে প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিয়েছি।’

   

পায়ুপথে টয়লেট ব্রাশ ঢুকিয়ে কিশোরকে নির্যাতন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার জমদ্দার বাজারের আমিন স্টোরের কর্মচারী ফজর আলী প্রকাশ নয়ন (১৪)। কিছুদিন আগে এক অজ্ঞাত যুবক তাকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল আমিন স্টোরের  দ্বিতীয় তলায়। তাদের কথামত সেখানে গেলে সেখানে উপস্থিত আরও এক অজ্ঞাত যুবক নয়নের হাত চোখ ও হাত-পা বেঁধে বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার নিয়ে যায়। এরপর কিছু বুঝে উঠার আগেই নয়নের পায়ুপথে টয়লেট পরিষ্কার করার ব্রাশ ঢুকিয়ে নির্মম নির্যাতন শুরু করে তারা। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে নয়ন বলেন, ‘আমার পায়ুপথে বড় আকৃতির কিছু একটা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, টের পাই।'

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ছাগলনাইয়া উপজেলার আহমেদ শপিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২২ মে) মে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান ইমাম।

নয়নের বিষয়টি জানাজানি হলে সর্বত্র আলোচনার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে নয়ন চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুক্তভোগী নয়ন ছাগলনাইয়া বাজারে দোকানের কর্মচারী ও উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের মজলহক সওদাগর বাড়ীর কোরবান আলীর ছেলে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বার্তা২৪ কে ভুক্তভোগী নয়ন জানায়, 'তৃতীয় তলা নিয়ে গিয়ে ওই দুই যুবক শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। তারা আমাকে ভবনের একটি বাথরুমে নিয়ে যায়। সেখানে পেন্ট খুলে জোরপূর্বক আমার পায়ুপথে বড় আকৃতির কিছু একটা ঢুকিয়ে দিচ্ছে, টের পাই।'

নয়ন বলেন, দুপুরে দোকানে যাওয়ার সময় মাথায় বস্তা তুলে দিতে সাহায্য করতে এক যুবক আমাকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পরপরই কিছু বুঝে ওঠার আগে হাত-পা-চোখ বেঁধে শ্বাসরোধ করে আমাকে হত্যার চেষ্টা করে। পরে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে প্যান্ট খুলে জোরপূর্বক আমার পায়ুপথে লম্বা বড় আকৃতির কিছু একটা ঢুকিয়ে দেয় তারা। আমি আমার দোকান মালিককে ফোন করে সাহায্য চাইলে তিনি লোকজন সঙ্গে নিয়ে এসে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে জানতে পারি আমার পায়ুপথে টয়লেট পরিষ্কার করার ব্রাশ ঢুকানো হয়েছে।

ঘটনা জানাজানির পর এ নিয়ে নানা আলোচনা চলছে। কেন নয়নের উপর ওই যুবক হিংস্রভাবে চড়াও হল, কি তাদের উদ্দেশ্য ছিল, নয়ন কেন এমন বিভৎসতার শিকার হল-এর সুনির্দিষ্ট উত্তর মেলেনি।

নয়নের মা শাহেনা আক্তার বলেন, ‘যারা আমার ছেলেকে নির্যাতন করে হত্যা করতে চেয়েছে তাদের শাস্তি চাই। নয়ন জানিয়েছে ওই দুই যুবক তার সঙ্গে অন্যকিছু করেনি। তবে কেন নয়নের ওপর তারা এমন হিংস্রভাবে চড়াও হলো, কী তাদের উদ্দেশ্য ছিল কিছুই এখনো জানতে পারিনি। এর আগে আমার ছেলে তাদের কখনো দেখেনি।’

এ ঘটনায় নয়নের মা বাদি হয়ে অজ্ঞাত দুই যুবকের বিরুদ্ধে ছাগলনাইয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে ছাগলনাইয়ায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম জানান, এর পেছনে কারা জড়িত রয়েছে তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

ওসি জানান, নয়নের ভাষ্যমতে তার সাথে 'যৌনতামূলক' কোন ঘটনা ঘটেনি। নয়নের শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। ব্যথা কমলে নয়ন বাড়ি ফিরতে পারবে বলে জানিয়েছেন তারা।

;

রাজধানীতে ৬৫ বোমাসহ গ্রেফতার ৩ কারিগর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর পূর্ব বাড্ডা হজী বাড়ি এলাকায় বোমা তৈরীর কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৬৫ বোমা ও বোমা তৈরীর তিন কারিগর আটক করেছে র‍্যাব-৩। 

বুধবার (২২ মে) রাতে অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফিরোজ কবীর।

তিনি বলেন, আমরা এখান থেকে বিপুল পরিমাণ হাত বোমা উদ্ধার করেছি। বোমাগুলো শূন্যে বিস্ফোরণ ঘটানো যেতো৷ প্রতিটি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে যেত। সবকিছু বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বিপদজনক বিস্ফোরক দ্রব্য। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, জঙ্গিরা মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। মূলত আজকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে কাজটি করে আসছিল। কোথায় এগুলোর ব্যবহার হবে তা তারা আমাদের জানাতে পারে নি। আমরা ধারণা করছি, আজকেই বোমাগুলো পাঠানোর কথা ছিল। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ বলেন, ‘আমার গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কয়েকজন জঙ্গি বোমা তৈরি করে। গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারহ করে আসছে। এই তথ্য পাওয়ার পর গত ৮ থেকে ১০ দিন তাদের নজরদারিতে রাখা হয়। গত ২ থেকে ৩ দিন আগে আমরা একটা অভিযান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জঙ্গিদের নিজেদের মতানৈক্যের কারণে সেটি সম্ভব হয় নি। আজ বিকেলে এই স্থানের তথ্য পেয়ে অভিযান চালাই। তারা বাড্ডার এই বাসায় হাত বোমা তৈরি করছিলো। অভিযানে বোমা তৈরির সময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এই সময় বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার তিনজন জানিয়েছেন, তারা সজিব নামের একজনের মাধ্যমে ২ থেকে ৩ ঘণ্টার কাজের চুক্তিতে আসেন। তারা তিনজনেই জুতার কারখানায় কাজ করেন। ২৬ হাজার টাকার চুক্তিতে তারা এ কাজে আসেন। এখানে ছোট একটি ঘরে বোমাগুলো তৈরি শেষে ঘরটি তালা মেরে চলে যাবে। আর চাবি নির্দিষ্ট স্থানে মাটি খুড়ে রেখে যাওয়ার কথা ছিল। এই তথ্য সজিব ছাড়া কেউ জানবে না কোথায় চাবি। বোমাগুলো আজ রাতেই গাজীপুর যাওয়ার কথা ছিল। গাজীপুর থেকে কার কাছে যাবে সেটা মাসুম নামে একজন জানে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বোম ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বোমাগুলোর গঠন, ওজনসহ বিস্তারিত পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, বোমাগুলো অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই বোমাগুলো শূন্যে বিস্ফোরণ ঘটাতে সম্ভব৷ প্রতিটি বোমা বিস্ফোরণে ৩০ মিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়তে সক্ষম ছিল। সবকিছু বিবেচনায় আমাদের মনে হয়েছে বিপজ্জনক বিস্ফোরক দ্রব্য। 

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘জঙ্গিরা মূলত কাট আউট পদ্ধতিতে কাজ করে। আজকে যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা টাকার বিনিময়ে কাজটি করছিল। যেহেতু সামনেই উপজেলা নির্বাচন ও ঈদসহ বেশকিছু রাষ্ট্রিয় অনুষ্ঠান ছিল, তাই সেসময়ে বোমাগুলো ব্যবহারের কথা থাকতে পারে। আমরা সজিব ও মাসুম নামের দুজনের নাম পেয়েছি। তাদের পেলে মাসুমের ওপরে কারা আছে সে ব্যাপারে তথ্য পাওয়া যাবে।’

বাড়িটিতে কতদিন ধরে ছিল জানতে চাইলে ফিরোজ কবীর বলেন, ‘তারা তিন স্থানে বোমা তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছিল। ডেমরা, সাভার ও গাজীপুরের মধ্যবর্তী একটি এলাকায় প্রস্তুতি নিয়েছিল। সজিব মূলত বাসা ঠিক করার দায়িত্ব পালন করে। তার সিগন্যালেই বাসা ঠিক করা হয়। পরবর্তীতে কারিগররা এসে কাজ শুরু করে। আজ সন্ধ্যায় এই স্থানটির নাম পেয়েছি। এর আগে ডেমরায় কাজ করার কথা ছিল। পরবর্তীতে এই বাসায় এসে কারিগররা এসে কাজ শুরু করে। এই বাসায় সজিব উপস্থিত ছিল। কিন্তু র‌্যাবের উপস্থিতি পেয়ে সটকে পড়েছে।  এ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে কাজ করছি।’

বোমা তৈরির সরঞ্জাম তৈরির ‍সংগ্রহ হতো কিভাবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক পণ্য আছে যেগুলো সরাসরি অবৈধ না। যেমন ম্যাচ, সাইকেলের বল, কাচের টুকরো অবৈধ না। এগুলো আলাদাভাবে কেনা অবৈধ না। যখন এটা কিনে এনে জন-ক্ষতিকর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে তখন এটা অবৈধ। আমরা বেশ কিছু দিন ধরে তাদের নজরদারি করেছি। আমরা দেখেছি বোমা তৈরির সরঞ্জাম বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছে। কেমিক্যাল রাজশাহী থেকে এসেছে। কাচের টুকরো যাত্রাবাড়ি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। অর্থাৎ আলাদা আলাদা স্থান থেকে প্রয়োজনীয় উপকরণ সংগ্রহ করা হয়েছে। এগুলোর সমন্বয় করেছে সজিব। আজ বিকেল থেকেই কাজ শুরু করেছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের অভিযান চলমান। বোম ডিসপোজাল ইউনিট সিদ্ধান্ত নেবে বোমাগুলো বহন করে দূরে নিয়ে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব হলে দূরে কোথায় এগুলো নিষ্ক্রিয় করা হবে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এর আগে, বুধবার (২২ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কারখানা অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান।

উল্লেখ্য, বাড্ডা থানার টেকপাড়া এলাকার একটি বাড়িতে হাতবোমা তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে বাড়িটি ঘিরে রেখেছিল র‍্যাব। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট।

;

খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মুন্না, সম্পাদক মিলন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের ১৮ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি এবং তিন সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোরের খুলনা ব্যুরো এডিটর মাহবুবুর রহমান মুন্নাকে সভাপতি এবং ঢাকা পোস্টের নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা মোহাম্মদ মিলনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়েছে।  

বুধবার (২২ মে) দুপুরে খুলনা প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক হারুন সভাকক্ষে অ্যাসোসিয়েশনের এক সভায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে তিন বছর মেয়াদি নতুন এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের তিন সদস্যের উপদেষ্টারা হলেন, অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা ও এনটিভিবিডিডটকমের খুলনা ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব।  

কার্যনির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আলমগীর হান্নান (জাগো নিউজ টোয়েন্টি ফোরডটকম), সহ-সভাপতি মাহমুদ সোহেল (খুলনা নিউজ ডট কম), যুগ্ম সম্পাদক হাসানুর রহমান তানজির (আমাদের সময় ডট কম), কোষাধ্যক্ষ একরামুল হোসেন লিপু (খুলনা গেজেট), ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম (খুলনা গেজেট), প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বেলাল হোসেন সজল (সময় নিউজ), তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক তানজীম আহমেদ (সময় নিউজ)।  

এছাড়া নির্বাহী সদস্যরা হলেন, হুমায়ুন কবীর (এসবি নিউজ), সোহেল মাহমুদ (পূর্বাঞ্চল ডট কম), বিমল সাহা (উষার আলো), এসএম মাহবুবুর রহমান (নতুন সকাল ডট কম), আশাফুর রহমান কাজল (বার্তা২৪), ফেরদৌস আলম (ঢাকা টাইমস), নিপা মোনালিসা (খুলনা গেজেট), ইমরান খান (সময়ের খবর ডট কম) ও ইয়াসিন আরাফাত মীম (উষার আলো)।

;

কক্সবাজার সৈকতে ভেসে এলো অজ্ঞাত নারীর মরদেহ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ সড়কের মেম্বার ঘাটা নামক এলাকায় সমুদ্রের পানিতে ভেসে এসেছে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ। মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।

বুধবার (২২ মে) রাত ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯ -এ কল পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, মানুষজন জড়ো হতে দেখে সেখানে গিয়ে দেখলাম সমুদ্রের পানিতে উঠানামা করছে একজনের মরদেহ। পরে ৯৯৯ -এ কল দিলে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৯৯৯ -এ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। নারীর মরদেহটি কার পরিচয় তৎক্ষনাৎ পাওয়া যায়নি। মরদেহটি উদ্ধারের পর পরিচয় না মেলায় নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। 

;