রাজশাহী জেলা আ.লীগের সম্মেলন রোববার, স্বচ্ছ নেতৃত্ব চায় তৃণমূল

  • হাসান আদিব, স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

চলছে মঞ্চ প্রস্তুতের কাজ, ছবি: বার্তা২৪.কম

তিন দফা তারিখ পরিবর্তনের পর রোববার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। নগরীর বিভাগীয় মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে সম্মেলনের ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে চলছে মঞ্চ তৈরি ও সাজ-সজ্জার শেষ মুহূর্তের কাজ।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। উদ্বোধন করবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। সম্মেলনে প্রধান বক্তা থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন
সম্মেলনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি কমিটির সভা

সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক মেরাজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘সম্মেলনের সব প্রস্তুতি শেষ। নেতৃত্ব ঠিক করতে ইলেকশন এবং সিলেকশন, দু’ধরনের প্রস্তুতি রাখা হচ্ছে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সভায় ৩৬০ জনকে কাউন্সিলর করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা যেভাবে বলবেন, সেভাবে নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে।’

এদিকে, সম্মেলন ঘিরে নেতাদের মধ্যে পদ-পদবির জন্য তোড়জোড় শুরু হলেও কর্মীদের মধ্যে তেমন উন্মাদনা নেই। কারণ জেলার পুরোনো ইউনিটগুলো রেখেই পাঁচ বছর পর সম্মেলন হতে যাচ্ছে। ফলে সম্মেলনের অধিকাংশ কাউন্সিলরই বর্তমান সভাপতি-সম্পাদকের অনুসারী।

বিজ্ঞাপন
সম্মেলন ঘিরে নগরজুড়ে টানানো হয়েছে ব্যানার ফেস্টুন

এজন্য ইলেকশন এড়িয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে জেলার নেতৃত্ব চাইছেন অধিকাংশ নেতা। আর ত্যাগী কর্মীরাও বলছেন- ইলেকশন হলে জেলা আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ পুরোনো দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা কম। দলের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেকশনের মাধ্যমে ক্লিন ইমেজধারী কাউকে কমিটিতে দিলে আগামীতে জেলা আওয়ামী লীগ আরও গতিশীল হবে।

জানা যায়, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলনে সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীকে সভাপতি ও আসাদুজ্জামান আসাদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে তাদের নেতৃত্বে গঠিত হয় ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি। ওই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগেই। কমিটি গঠনের দু’বছর পর থেকে সভাপতি-সম্পাদকের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে ওঠে। বন্ধ হয়ে দুই শীর্ষ নেতার মুখ দেখাদেখিও।

মঞ্চ প্রস্তুতের কার্যক্রম পরিদর্শনে নেতারা

জানতে চাইলে সম্মেলনের সমন্বয়ক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচ খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘সম্মেলন ঘিরে দলের ভেতরে-বাইরে যা বিভেদ ছিল, সব মীমাংসা হয়ে গেছে। সবাই এক টেবিলে বসে আলোচনা করে সব আয়োজন করা হয়েছে। আশা করি, রোববারের সম্মেলনে রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ চমকপ্রদ একটি নেতৃত্ব পাবে। দলের সভানেত্রী তেমন নেতৃত্ব দিতেই এ সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন।’