শহীদ মিনারে অজয় রায়ের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা

  • ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শহীদ মিনারে অজয় রায়ের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা, ছবি: বার্তা২৪.কম

শহীদ মিনারে অজয় রায়ের প্রতি সর্বস্তরের শ্রদ্ধা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বরেণ্য বুদ্ধিজীবী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অজয় রায়ের মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছে সর্বস্তরের মানুষ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহটি রাখা হয়। এ সময় নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ফুল দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা হাসানুল হক ইনু, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ভিসি অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান, প্রো-ভিসি মো সামাদ, নারী আন্দোলনের নেত্রী ড মাহফুজা খানম, মুক্তিযুদ্ধ সংগঠনসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে বেলা ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহটি আনা হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে নাগরিকদের শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর মরদেহ রাখা হয় সেখানে।

নারী আন্দোলনের নেত্রী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি মাহফুজা খানম বলেন, ‘আমার শিক্ষক, যার সঙ্গে আমার ওঠাবসা ছিল পঞ্চাশ বছর ধরে। ষাটের দশকে আমরা একসঙ্গে মোনায়েম-আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন করেছি। স্যার একাধারে বিজ্ঞান মনস্ক, মুক্তমনা এবং একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তাকে হারানোটা সত্যি অনেক বেশি বেদনার।’

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মরদেহটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে নেওয়া হবে। সেখান থেকে জগন্নাথ হলে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন অজয় রায়। মৃত্যুর সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ২৫ নভেম্বর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি হন অধ্যাপক অজয় রায়। ধীরে ধীরে শ্বাসকষ্ট বাড়লে দু’দিন পর তাকে কৃত্রিম শ্বাস দেওয়া শুরু হয়।

শিক্ষা আন্দোলন মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক অজয় রায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদেরও একজন। বর্তমানে তিনি ওই কমিটির উপদেষ্টা। চার বছর আগে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারানো বিজ্ঞানমনস্ক লেখক অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় গত ২৮ অক্টোবর আদালতে গিয়ে ছেলে হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।

একুশে পদকপ্রাপ্ত পদার্থবিদ অজয় রায়ের দুটি গবেষণা নোবেল কমিটিতে আলোচিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অবসরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির ইউজিসি অধ্যাপকও ছিলেন তিনি।